বঙ্গনিউজ ডটকমঃআজ ২০ ফেব্রুয়ারি গুণী আবৃত্তিশিল্পী ও শক্তিমান অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দেশের মঞ্চ ও বেতার নাটককে জনপ্রিয় করা এবং আবৃত্তিকে শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের সংস্কৃতিজগতের কিংবদন্তি এই ব্যক্তিত্বকে নিয়ে কথা বললেন তাঁরই মেয়ে সুবর্ণামুস্তাফা।
মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা হিসেবে নয়, শিল্পী হিসেবে অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগির ব্যাপারটি কেমন ছিল?
আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে, অভিনয়শিল্পী গোলাম মুস্তাফার সঙ্গে পর্দায় সময় ভাগাভাগি করতে পেরেছি। হোক তা সিনেমা, টিভি বা রেডিও। আমরা কিন্তু একসঙ্গে আবৃত্তিও করেছি। কোথাও গিয়ে আমার মনে হয়, এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। হোক না তিনি আমার বাবা, সেটা তো বাড়িতে। তিনি ছিলেন পাহাড়ের মতো উঁচু, সাগরের মতো বিশাল, আকাশের মতো অসীম। আমি হয়তো অতটুকু ভাগ্য নিয়ে জন্মেছি, যে কিনা বাবার সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করেছে। বাবার সঙ্গে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আছে মামুনুর রশীদের শিল্পী, শহীদুল ইসলাম খোকনের দু-তিনটি সিনেমা এবং মঞ্চে গ্রন্থিকগণ কহে। এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।
কী দেখলে গোলাম মুস্তাফার শূন্যতা প্রকট বলে মনে হয়?
তাঁরা মাথার ওপর ছায়ার মতো। আমার বাবা গোলাম মুস্তাফা চলে গেলেন, ওয়াহিদুল হকও চলে গেলেন—এই ছায়াগুলো যখন মাথার ওপর থেকে চলে যায়, তখন একধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এখন তো সময়টাই ভিন্ন। সবাই খুব শর্টকার্টে বড় হতে চায়। ফাস্টফুড, ইনস্ট্যান্ট কফি, তারকা হলাম, পরশু টাকা আয় করলাম, পরের দিন আবার হারিয়ে গেলাম…ব্যাপারটা এখন ওই পর্যায়ে চলে গেছে। তবে ভালো সময় অবশ্যই আসবে। শূন্যতার কথা না বলে ভালো লাগার জায়গাটা বললে সেটাই অনেক আরামের হবে।
তা হলে ভালো লাগার ব্যাপারটি শুনি…
অভিনেতা ও সংস্কৃতিকর্মী গোলাম মুস্তাফার কবিতা পাঠ ও কবিতার প্রতি যে ভালোবাসা, তা এখনকার আবৃত্তির ছেলেমেয়েরা চমৎকারভাবে ধরে রেখেছে। আসাদুজ্জামান নূর, রূপা চক্রবর্তী, আহকামউল্লাহ ও আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ—আমার বাবার ব্যাপারে তাঁদের যে শ্রদ্ধা, তা আমাকে কৃতজ্ঞ করে। আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদসহ আবৃত্তি সংগঠনগুলো আজকের দিনে এক কাতারে এসে বাবার প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়। বাবার একটা আবৃত্তি হয় তখন। এই জিনিসগুলো তো ভালো লাগার।
আমার বাবা মারা যাওয়ার ১৩ বছর হয়ে যাচ্ছে। এই ১৩ বছর ধরে তারা নিয়মিতভাবে এই কাজটি করে যাচ্ছে। যেটা আছে, সেটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। অন্যদিকে এফডিসিতে এখন পর্যন্ত আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে কোনো স্মরণসভা হয়েছে কি
না, আমি সত্যিই তা জানি না। হয়ে থাকলেও আমাকে কখনো বলা হয়নি। আমি আমার বাবার একমাত্র সন্তান যে বাংলাদেশে থাকি, হলে তো আমি জানব নাকি? তবে এ নিয়ে আমি মোটেও
বাংলাদেশ সময়: ১০:১৬:২৭ ৪৫১ বার পঠিত