মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

প্রধান বিচারপতি খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হিসেবে কথা বলছেন: শামসুদ্দিন চৌধুরী

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » প্রধান বিচারপতি খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হিসেবে কথা বলছেন: শামসুদ্দিন চৌধুরী
মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬



বঙ্গনিউজ ডটকমঃপ্রধান বিচারপতি বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট মাজার গেট এলাকায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হিসেবে কথা বলছেন, আমি তার পদত্যাগ দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “অবসরের পর বিচারপতি রায় লিখতে পারবেন না, এটি বহু আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন। খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তিনি এটি করছেন। ওনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। এর আগে উনি বলেছেন, সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে। মানুষের কাছে সরকারের জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য তিনি ‘মিথ্যাচার’ করে বেড়াচ্ছেন। বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। আমি মনে করি বিচার বিভাগের মর্যাদার স্বার্থে ওনার অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘গতকাল রোববার সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে আমার বিষয়ে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। আমার বক্তব্যকে টুইস্ট করা হয়েছে। আমি সংবাদ সম্মেলনে করিনি।’ তবে অনেক ‘নতুন তথ্য’ নিয়ে সামনে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান তিনি।
বার সভাপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং প্রধান বিচারপতির ‘মতে’ আপনার সাম্প্রতিক কার্যক্রমে বিচারবিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘দেখেন, চিফ জাস্টিসতো নিজেই বলেছেন, তিনি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে মিটিং করেছেন। এতে করে কি বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণœ হচ্ছে না?’
এর আগে নানা নাটকীয়তা শেষে অবসরের পর নিজের লেখা রায় জমা দিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারক রোববার সন্ধ্যায় বলেন, তার লেখা রায় ও আদেশ গ্রহণ করতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা ‘রাজি হয়েছেন’।
বিচারপতি শামসুদ্দিন অবসর নেওয়ার আগে আপিল বিভাগের যে বেঞ্চে ছিলেন, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা সেই বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারক। অবসরের পর বিচারকদের রায় লেখার বিরোধী প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নির্দেশনার পর বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা তার লেখা রায় গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন বলে সকালেই অভিযোগ করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী।
অবসরের পর তার লেখা ১৫টির মতো রায় এবং আদেশগুলো নিতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে চিঠি লেখার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির আচরণকে ‘সংবিধানপরিপন্থিও’ বলেন তিনি।
চিঠি পাঠানো এবং রায় না নেওয়ার অভিযোগ তুলে ধরে বিচারপতি শামসুদ্দিন সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আসে। তাতে প্রধান বিচারপতি চার মাস আগে অবসরে যাওয়া বিচারপতিকে রায় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা না বলার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তার কাছে থাকা ‘অনিষ্পত্তিকৃত’ রায়ের মামলার ফাইলগুলো সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসে জমা দেবেন বলেও প্রত্যাশা করেন প্রধান বিচারপতি।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫০:৩১   ৩২১ বার পঠিত