বঙ্গনিউজ ডটকমঃ ২০১৫ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১৪০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ২০১৫ সালের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় গ্রামীণফোন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গতকাল রোববার গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য ৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়। এর আগে একই বছরের জুনে ৮০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করায় মোট লভ্যাংশ বেড়ে ১৪০ শতাংশ হলো।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা দিলীপ পাল বলেন, ২০১৫ সালের কর পরবর্তী আয়ের ৯৬ শতাংশই নগদ লভ্যাংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল গ্রামীণফোনের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এই লভ্যাংশের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তোলা হবে যার রেকর্ড ডেট ২৯ ফেব্রুয়ারি রাখা হয়েছে।
২০১৫ সালে গ্রামীণফোনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৫৯ পয়সা আর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬৮ পয়সা। ২০১৪ সালে গ্রামীণফোন তাঁদের বিনিয়োগকারীদের ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তখন প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস ছিল ১৪ টাকা ৬৭ পয়সা আর শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল ২৩ টাকা ২৩ পয়সা। দেশের একমাত্র মোবাইল অপারেটর হিসেবে ২০০৯ সালে গ্রামীণফোন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
আর্থিক ফলাফল
২০১৫ সালে ১০ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা আয় করেছে গ্রামীণফোন। এই এক বছরে প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা, যা ২০১৪ সালে ছিল ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। ৫৩ দশমিক ৪ শতাংশ মার্জিনসহ এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কর পূর্ব মুনাফা হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি বলেন, বছরের শুরুটা কঠিন হলেও গ্রামীণফোন ব্যবসায়িক সাফল্য অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ডেটা ছিল প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি।
২০১৫ সালে গ্রামীণফোনের নতুন গ্রাহক বেড়েছে ৫২ লাখ, বর্তমানে তাদের গ্রাহকসংখ্যা ৫ কোটি ৬৭ লাখ। এ সময়ে নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি খরচ করেছে ১ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা। সরকারি কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে গ্রামীণফোন ২০১৫ সালে ৫ হাজার ১১০ কোটি টাকা দিয়েছে, যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৪:২৮ ৩০৫ বার পঠিত