শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

নেপালকে শুরুতেই আঘাত বাংলাদেশের

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » নেপালকে শুরুতেই আঘাত বাংলাদেশের
শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬



..বঙ্গনিউজ ডটকমঃঅনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বেশ ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা। ৬ বলের ব্যবধানে নেপালের দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে শুরুতেই আঘাত হেনেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মূল শক্তি স্পিনে হলেও আক্রমণের শুরুটা কিন্তু করেছেন পেসাররাই। এরপর দুটি জুটিতে নেপাল ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। বিপদ হয়ে ও​ঠার আগেই ঠিক সময়ে সেই জুটি দুটি ভেঙে ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতেই রেখেছেন মিরাজরা।


১৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর নেপাল প্রথম প্রতিরোধ করে তৃতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটিতে। ক্রমেই দুশ্চিন্তা বাড়াতে থাকা জুটিটা বাংলাদেশ ভেঙেছে দুর্দান্ত এক রান আউটে। চতুর্থ উইকেটে নেপাল গড়ে আরও ভালো জুটি। রান রেট বাড়িয়ে নেওয়ার তাগিদে ব্যাট চালানো নেপাল এই জুটিতে ৫৭ বলে তোলে ৫১। এবারও পেস বোলিংয়ে ​স্বস্তি ফিরে পায় বাংলাদেশ। সাইফউদ্দিন তুলে নেন তাঁর দ্বিতীয় উইকেট।

 

৩১ ওভার শেষে নেপালের স্কোর ৪ উইকেটে ১৩২। যাঁর আসল বয়স নিয়ে ওঠা বিতর্ক বেশ বিব্রত করেছিল নেপালকে, সেই অধিনায়ক রাজু রিজলের ব্যাটেই ভরসা দেখছে নেপাল। ৭১ বলে ৬১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ৫টি চার মেরেছেন, ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটিও।

 

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা নেপাল সতর্ক শুরুই করেছিল। ৫ ওভারে তোলে ১৭ রান। এরপরই প্রথম আঘাত হানেন ডান হাতি পেসার সাইফউদ্দিন। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড করেন সুনারকে। প্লেড অন হয়ে বোল্ড হয়ে যান ৭ রান করা এই ওপেনার। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে মেহেদি হাসান রানার বাউন্সার সামলাতে পারেননি তিনে নামা কারকি। নিচে ঝুঁকে বাউন্সারটি এড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যাটটি আনাড়ির মতো খাঁড়া করে রেখেছিলেন। বল ব্যাটে লেগে চলে যায় স্লিপে। ক্যাচ লুফে নিতে ভুল হয়নি সাইফ হাসানের।

 

শুরুর এই ধাক্কার পর নেপাল বেশ ভালো প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে। তৃতীয় উইকেটে অন্য ওপেনার ধামালাকে নিয়ে ১২ ওভারে ৪৪ রানের জুটি গড়েন রিজল। এই জুটি ক্রমেই যখন হুমকি হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিল, সেই সময়ই দুর্দান্ত রান আউট। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে সালেহ আহমেদকে ড্রাইভ করেছিলেন ধামালা। কিন্তু দুর্দান্ত ক্ষিপ্রতায় মিড অফে ডানে ঝাঁপিয়ে বল থামান নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখান থেকেই বল পাঠিয়ে দেন উইকেটকিপারকে। 

 

জাকিরও দারুণভাবে থ্রো লুফে নিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন। শট খেলেই দৌড় শুরু করা ধামালা ও প্রান্ত থেকে রিজলের সাড়া না পেয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। ৬২ বলে ২৫ করে ফিরেছেন।

 


কিন্তু বাংলাদেশের স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। চতুর্থ উইকেটে নেপালের যুবারা দারুণ খেলছিলেন। যাকে বলে ‘ক্লেভার ক্রিকেট’। বাউন্ডারি আসছিল, সঙ্গে সিঙ্গেল নিয়ে রানের চাকা সচল রাখা। এক সময় ওভারে ছয়েরও ওপরে রান পাচ্ছিল নেপাল। ভাগ্যও যেন পাশে ছিল তাদের। স্পিনে কাজ হচ্ছে না দেখে অধিনায়ক মিরাজ আবার আক্রমণে নিয়ে আসেন পেসার সাইফউদ্দিনকে। ২০ ওভার পর আক্রমণে এসেই সাইফ ডিপ মিডউ​ইকেটে জয়রাজ 

শেখের ক্যাচ বানান আরিফ শেখকে। ১৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে সাইফই দলের সফল বোলার।

 

দারুণ বোলিংকে বেশ উজ্জীবিত করে ফিল্ডিংটাও যদি দুর্দান্ত হয়। বাংলাদেশের যুবারা সেটাই করছেন। মিরাজও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বোলিং করাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন সাত বোলার। যদিও অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিকের বল হাতে দিনটা আজ ভালো যায়নি এখনো। ৬ ওভারে ৩২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। তবে নেপালকে ম্যাচের লাগাম বেশিক্ষণ ধরে রাখতে দেয়নি বাংলাদেশ। 

 

তাদের স্কোরটা নাগালের মধ্যে রাখতে শেষের ওভারগুলো এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরপর ব্যাটিংটাও করতে হবে ঠিকমতো। তাহলেই সেই অধরা সেমিফাইনাল!

বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৫:২৬   ২৩৯ বার পঠিত