বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
আবার সূচকের পতন, কমেছে লেনদেনও
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » আবার সূচকের পতন, কমেছে লেনদেনওবঙ্গনিউজ ডটকমঃদেশের শেয়ারবাজারের মূল্যসূচক আবারও কমতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনও। মাঝে দুই দিন শেয়ারবাজারে সূচক বৃদ্ধির পর তৃতীয় দিনে এসে তা আবার পতনের ধারায় ফিরে গেল।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল বুধবার প্রায় ১৮ পয়েন্ট কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি কমেছে ৪৭ পয়েন্ট।
টানা আট দিন সূচক কমার পর গত সোম ও মঙ্গলবার বাজারে সূচক বেড়েছিল। দুই দিনে ঢাকার বাজারে সূচক ৫১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। মঙ্গলবার লেনদেন ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু গতকাল তা আবার ৪০০ কোটির ঘরে নেমে আসে।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা কোনো শেয়ারে লাভের মুখ দেখলেই তড়িঘড়ি করে সেই সুযোগটি নিতে চান। যেকারণে একটু দাম বাড়লেই বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। গত সোম ও মঙ্গলবার বাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকার ফলে যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ে সেগুলো বিক্রি করে অনেক বিনিয়োগকারী লাভ তুলে নেন।
মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস তাদের পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলেছে, মূলত স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলো থেকে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা ছিল বেশি।
ঢাকার বাজারে এদিন দর কমার শীর্ষে ছিল শ্যামপুর সুগার মিলস। মাত্র ৫ কোটি টাকা মূলধনের এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম এদিন ১০ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে নেমে এসেছে ৬ টাকা ৩০ পয়সায়। দরপতনের দিক থেকে শীর্ষ দশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল রহিম টেক্সটাইল। পাঁচ কোটি টাকার কম মূলধনের এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৮ শতাংশ বা ১৯ টাকা কমে প্রায় ২২২ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
একই বাজারে দর হ্রাস পাওয়া কোম্পানিগুলোর মতো দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও গতকাল স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোরই আধিপত্য ছিল। এদিন ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল অ্যাপেক্স ফুড। প্রায় ৬ কোটি টাকা মূলধনের এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম এদিন ১০ শতাংশ বা ১২ টাকা ৭০ পয়সা বেড়েছে। দর বৃদ্ধিতে শীর্ষ দশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রায় এক কোটি টাকা মূলধনের কোম্পানি জেমিনি সি ফুড। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯ শতাংশ বা ৩৩ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১৫ টাকায়।
ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৬৬ শতাংশেরই দাম কমেছে। এদিন ৩২৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয় এখানে। এর মধ্যে দাম কমেছে ২১৩টির, বেড়েছে ৭৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৫টির। দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪১৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৯৫ কোটি টাকা কম।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬৩ শতাংশেরই দাম কমেছে। সেখানে এদিন ২৪৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে দাম কমেছে ১৫৭টির, বেড়েছে ৫৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টির। দিন শেষে চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৩ কোটি টাকা কম।
বাংলাদেশ সময়: ১০:০২:৫৩ ২৫৭ বার পঠিত