মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
২০১৫ ক্রিকেটকে দিল কত নতুন!
Home Page » ক্রিকেট » ২০১৫ ক্রিকেটকে দিল কত নতুন!১. ম্যাককালামের সাহস
গত বছরে ক্রিকেটের সেরা মুহূর্তগুলোর অধিকাংশ নিউজিল্যান্ডকে ঘিরে এবং এর অধিকাংশের জন্য ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কাছে ঋণী থাকবে সবাই। বিশ্বকাপে ম্যাককালামের আগ্রাসী অধিনায়কত্বই অন্য দলগুলো থেকে আলাদা করেছিল কিউইদের। পেসারদের জন্য তিন-চারটি স্লিপ ও একটি গালি রেখে মাঠে টেস্ট ম্যাচের আবহ নিয়ে আসতেন তিনি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট তো ৫ স্লিপ ও ১ গালি নিয়ে বল করেছিলেন। এমনকি সেমিফাইনালেও প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বোল্ট ও টিম সাউদি ৪ স্লিপ, ১ গালি নিয়ে বল করেছিলেন। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে তার ফলও পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
২. উইকেটকিপার ছাড়াই খেলা
বিপক্ষ দল রানের ফোয়ারা ছুটিয়েই চলেছে। তাতে বাধ দিতে চাই বাড়তি ফিল্ডার। নেটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে এমন পরিস্থিতিতেই পরেছিলেন উস্টারশায়ার অধিনায়ক ড্যারিল মিচেল। ওই ম্যাচে শেষ ৫ ওভারে নর্দাম্পটনশায়ারের দরকার ছিল ৬৭ রান। মিচেল দলের উইকেটকিপার বেন কক্সকে গ্লাভস ও প্যাড জোড়া খুলে বৃত্তের সীমানায় দাঁড়া করালেন। এতে বাড়ল একজন ফিল্ডার। দারুণ কাজে লাগল এই বুদ্ধি, স্পিনারদের দিয়ে বল করানোয় মাত্র ১টা লেগবাই হয়েছিল ওই সময়। ম্যাচ জিতে নিয়েছিল উস্টারশায়ার।
৩. তুরুপের তাস?-ওসব ফালতু কথা
ওয়ানডেতে স্লগ ওভারে বল করানোর জন্য দলের সেরা বোলারদের কিছু ওভার রেখে দেওয়া হয়। সব দলই এই নিয়ম মেনে চলে। কিন্তু ম্যাককালাম এসব মানলে তো! গত বিশ্বকাপে নিজের দুই মূল বোলারের কোটা চল্লিশ ওভারের অনেক আগেই শেষ করেছেন বেশ কয়েকবার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচে তো বোল্ট ও ভেট্টরির কোটা শেষ হয়েছিল ২৬ ওভারেই। ৩০ ওভার শেষে দেখা গেল সাউদির ওভারও বাকি ছিল মাত্র ১টি! তাতেও ক্ষতি হয়নি তাদের, অস্ট্রেলিয়া যে ৩২.২ ওভারেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল সেদিন।
৪. ভারত দলে পাঁচ বোলার
টেস্ট ক্রিকেট ভারতীয় দল মানেই কাজ চালানোর মতো দুই পেসার আর দুজন স্পিনার। গত বছর এ দৃশ্য থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ধোনির কাছ থেকে দায়িত্ব পেয়েই প্রথম পরিবর্তন আনলেন বোলিং আক্রমণে। টেস্ট জিততে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়াটা জরুরি, এ উপলব্ধি থেকেই দলে পাঁচ বোলার খেলানো শুরু করেন কোহলি। ফলাফল পেয়েছেন হাতে নাতে, শ্রীলঙ্কায় দুই দশক পর সিরিজ জিতে।
৫. শর্ট স্লিপ
ক্রিকেট শর্ট ফাইন লেগ, শর্ট মিড উইকেট নামে ফিল্ডিংয়ের অনেক পজিশনই আছে। কিন্তু শর্ট স্লিপ বলেও যে কিছু থাকতে পারে তা দেখালেন অ্যালিস্টার কুক। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ব্যাটের কানায় লাগা বলগুলো স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারের কাছে যাচ্ছিল না। তখনই ‘বিরক্তিকর’ কুকের মাথায় এল সেই অভিনব বুদ্ধি। জো রুটকে তৃতীয় স্লিপ থেকে ডেকে এনে মাথায় হেলমেট পরালেন, দাঁড় করালেন স্লিপ ও ব্যাটসম্যানের মাঝখানে। ব্যস, ক্রিকেটের প্রথম শর্ট থার্ড স্লিপের দেখা মিলল।
৬. গোলাপি ঘোষণা
গত বছরই ক্রিকেটে এসেছে গোলাপি বিপ্লব। দিন রাত্রির টেস্টে গোলাপি বলে খেলা হলো এই প্রথম। ফ্লাডলাইটের আলোয় গোলাপি বলে সুইংয়ের মাত্রা বেড়ে যায়। নিউ সাউথ ওয়েলস ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে তার পুরো সুযোগটা নিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। ৯ উইকেটে মাত্র ২৬২ রান করেছিল স্মিথের দল, কিন্তু ফ্লাডলাইটে বলের এমন সুইং দেখে ইনিংস ঘোষণা করে দেন এত কম রানেই। তার বোলাররা অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করেছিলেন সেদিন, মাত্র ৩ রানে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ৩ উইকেট ফেলে দিয়েছিলেন বাড়তি সুইংয়ের সাহায্য নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৬:৫১ ২৩৪ বার পঠিত