মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৬

খিলগাঁওয়ে আধিপত্য নিয়ে খতিবের ছেলেকে অপহরণ!

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » খিলগাঁওয়ে আধিপত্য নিয়ে খতিবের ছেলেকে অপহরণ!
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০১৬



 kidnap-logo--s20151120173233_114074

বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ

রাজধানীর খিলগাঁও বনশ্রী এলাকায় মসজিদের কমিটি নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রধান খতিবের ছেলে মুফতি হুজাইফাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের ৫৫ দিনেও তার সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অপহৃতের বাবা ও মসজিদের খতিব মাওলানা আতাউল্লাহ এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, খিলগাঁও থানার ৭/৬ দক্ষিণ বনশ্রীর আবু বক্কর (রা) মসজিদ এবং মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছি। উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পত্তির মালিক শামীম সুলতান মারা যাওয়ার পর বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা তুলে ৬ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করি। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি উক্ত মসজিদ ও মাদ্রাসার নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করে। এরপর এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি মসজিদের উপদেষ্টা, কথিত সভাপতি, সেক্রেটারি ও ক্যাশিয়ারসহ কতিপয় ব্যক্তি আমাকে মসজিদের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে জোর করে বের করে দেয়। তিনি বলেন, এরপর মসজিদের সব কিছু দখলের চেষ্টা চালায়। আমাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় মামলা ও একাধিক জিডি করি। এর জের হিসেবে গত ২৯ নভেম্বর রাতে আমার ছেলে মুফতি হুজাইফা মোবাইলে টাকা লোড করতে গেলে তাকে অপহরণ করা হয়।বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজির পরও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় গত বছর ২ ডিসেম্বর ১ নম্বর মামলা করা হয়। মামলাটি গোয়েন্দা কার্যালয়ে তদন্ত দেওয়ার পর মাদ্রাসার কেরানী আবু সাঈদ ভুঁইয়া ও তার ছেলে হাক্কানীকে আটক করে। এরপর হাক্কানীকে গোয়েন্দা অফিস থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর সাঈদ ভুঁইয়াকে রিমান্ডে নেয়। আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরে জনৈক ব্যক্তি আমার ছেলের মোবাইল থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর তাদেরকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্ত তাকে এখনো ছাড়া হয়নি। তিনি আরো জানান, ছেলেকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরেও আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তার কোন সন্ধান পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মাওলানা আতাউল্লাহ ও তার পরিবার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৩:০৪   ৩৪৫ বার পঠিত