বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫

সাঈদীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » সাঈদীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫



 

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীবঙ্গনিউজ ডটকমঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার আপিলের এ রায় প্রকাশ করা হয়। মোট রায়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬১৪।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপিল বিভাগের এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে।

এদিকে ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা প্রথম আলোকে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি দেশে ফিরে আসার পর নিশ্চয়ই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করা হবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


তবে এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পরই পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন করা হবে।

 

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিল সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে আংশিক মঞ্জুর করে এ রায় দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ওই দিন এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর চার বিচারপতি হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। 

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। রায়ের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির। সহিংসতায় প্রথম তিন দিনেই ৭০ জন নিহত হন।

 

আপিলের রায়ে বলা হয়েছিল, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর করা ফৌজদারি আপিল ও সরকারের ফৌজদারি আপিল আংশিক মঞ্জুর করা হলো। ৬,১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে সাঈদীকে খালাস দেওয়া হলো। অষ্টম অভিযোগের একটি অংশ থেকে তাঁকে খালাস এবং অপর অংশে দণ্ড পরিবর্তন করে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো। সপ্তম অভিযোগে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০,১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হলো। সাজা ও খালাসের সব সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে নেওয়া হয়।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদী গ্রেপ্তার হন। ওই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ২৮ মার্চ দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর আপিলের শুনানি শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৭:১৮   ৩১৯ বার পঠিত