শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫

মিরপুরের আস্তা​নাটি ছিল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » মিরপুরের আস্তা​নাটি ছিল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও
শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫



রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ছয়তলা একটি ভবন ঘিরে রেখে ভেতরে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভবন থেকে বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার করা হয়। পরে বোমাগুলো বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। ছবি: সাজিদ হোসেনরাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ছয়তলা একটি ভবন ঘিরে রেখে ভেতরে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভবন থেকে বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার করা হয়। পরে বোমাগুলো বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। ছবি: সাজিদ হোসেনবঙ্গনিউজ ডটকমঃ মিরপুরের ওই বাড়িটি একাধারে গ্রেনেড ও বোমা তৈরি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাঁদের দাবি, চার মাসে ওই জঙ্গি আস্তানায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের এ ব্লকের নয় নম্বর সড়কের একটি ছয়তলা বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ওই বাড়ি থেকে ১৬টি হাতে তৈরি গ্রেনেড ও দুটি ককটেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়। পরে গ্রেপ্তার তিনজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে শাহ আলী থানায় একটি মামলা করেছেন ডিবির বোমা অপসারণ ও নিষ্ক্রিয়করণ দলের পরিদর্শক শফিউদ্দীন শেখ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।

ডিবির বোমা অপসারণ ও নিষ্ক্রিয়করণ দলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে বাড়িটিতে গ্রেনেড তৈরির পাশাপাশি সেটি জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। ওই বাড়ি থেকেই চলমান জঙ্গি কর্মকাণ্ডের গ্রেনেড ও বোমা সরবরাহ করা হচ্ছিল।

কর্মকর্তারা বলেন, এর আগে গত সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে একটি মাজারে বোমা হামলার পর গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিরা জানিয়েছিলেন যে মিরপুরের একটি ছয়তলা বাসায় তাদের বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

রাজধানীতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান, আটক ৭

বৃহস্পতিবারের অভিযানে গ্রেপ্তার তিন জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঢাকার ডিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জনকে বোমা ও গ্রেনেড বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, মিরপুরের বাড়ি থেকে গ্রেনেড, বোমা ও গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেনেড তৈরির বেশ কিছু নির্দেশিকা (ম্যানুয়াল) পাওয়া গেছে।

তবে বাড়ির মালিক আবুল হোসেন ভূঁইয়া ভাড়াটেদের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতেন না বলে দাবি করলেন। বাড়ির মালিকের ছেলে অপু বলেন, তাঁরা ওই জঙ্গিদের ভাড়া দেওয়ার সময় তেমন কোনো তথ্য রাখেননি। জঙ্গিরা ছাত্র পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল। তাঁদের ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বের হতে ও ঢুকতে দেখা যেত।

আর পুলিশের শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ভাড়াটেদের তথ্য সংগ্রহের অংশ হিসেবে ওই বাড়িতেও পুলিশের পক্ষ থেকে ফরম দেওয়া হয়েছিল। তবে ছয়তলার ওই ভাড়াটেরা তথ্য ফরম পূরণ করে ফেরত দেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩২:০৭   ৩৫২ বার পঠিত