শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

সবার ওপরে কুমিল্লা

Home Page » ক্রিকেট » সবার ওপরে কুমিল্লা
শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫



সিলেটের জশুয়া কবকে ফিরিয়ে দিয়ে নাঈম ইসলাম জুনিয়রের উল্লাস। বাঁহাতি এই স্পিনারের উদ্‌যাপনে সঙ্গী কুমিল্লার জয়ের নায়ক আহমেদ শেহজাদ l শামসুল হকসিলেটের জশুয়া কবকে ফিরিয়ে দিয়ে নাঈম ইসলাম জুনিয়রের উল্লাস। বাঁহাতি এই স্পিনারের উদ্‌যাপনে সঙ্গী কুমিল্লার জয়ের নায়ক আহমেদ শেহজাদ l শামসুল হকবঙ্গনিউজ ডটকমঃমাঠে প্রতিপক্ষ সিলেট সুপারস্টারস। মাঠের বাইরে রংপুর রাইডার্সও কি ছিল না এক ছায়া প্রতিপক্ষ! এক ম্যাচে এই দুই প্রতিপক্ষকেই হারিয়ে শীর্ষে থেকেই বিপিএলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।

১৪ পয়েন্ট করে নিয়ে কুমিল্লা ও রংপুর আগেই সেমিফাইনালে উঠে যাওয়ায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কাল দুই দলের পরোক্ষ লড়াইটা ছিল আসলে শীর্ষ দুইয়ে থাকার। সিলেটকে হারিয়ে নেট রানরেটে আরও এগিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস সবার ওপরে থেকেই তা নিশ্চিত করল। তবে সিলেটের বিপক্ষে জয়টা ৫০ রানের কম ব্যবধানে হলে নেট রানরেট বেশি থাকত রংপুরের। মাশরাফির দলের সামনে রংপুরের হয়ে বাধার দেয়ালটা দাঁড় করাতে পারেনি শহীদ আফ্রিদির সিলেট। কুমিল্লার ১৫০ রানের জবাবে অলআউট মাত্র ৭৯ রানে, ৭১ রানের হার।

মজার ব্যাপার, ৫০-এর কম বা বেশি রানে জেতার হিসাবটা নাকি ম্যাচের শেষ দিকে জেনেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস! ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাই দিয়েছেন তথ্যটা। তবে নয় ম্যাচের ছয়টিতে হেরে থাকা সিলেটও এ ম্যাচ থেকে কিছু পেতে পারত। কুমিল্লার ১৫০ রান ১০.৪ ওভারের মধ্যে টপকাতে পারলে ঢাকা ডায়নামাইটসের সমান হতো তাদের রানরেট।

ম্যাচে কখনোই মনে হয়নি যে সিলেট সুপারস্টারসও জিততে পারে। দুই ওপেনার জশুয়া কব (২১) ও জুনায়েদ সিদ্দিকের (১০) পর আটে নামা মুমিনুল হকই (১৫*) কেবল দুই অঙ্কে গেছেন। কুমিল্লার অফ স্পিনার শুভাগত হোম ৮ রানে ৩ উইকেট পেলেও কৃতিত্ব সব বোলারেরই। সিলেটের ইনিংস তাদের সামনে এমনই ভঙ্গুর ছিল যে, তিনটি ওভারে উইকেট পড়েছে দুটি করে। ২০ রানের ওপর জুটি বলতে নবম উইকেটে শহীদ-মুমিনুলের ২১।

কুমিল্লা ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতে নেমে আন্দ্রে রাসেল খেলার সুযোগ পেলেন মাত্র একটি বল! ১২তম ওভারে ইমরুল আউট হতেই প্যাড পরে বসেছিলেন। অলক কাপালি-আসহার জাইদির জুটি ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানকে নামারই সুযোগ দিচ্ছিল না। তবে বিপিএলে ঝড় তোলার আরেকটি সুযোগ পেতেও পারেন রাসেল। গতকালের ম্যাচ খেলে চলে যাওয়ার কথা থাকলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস চেষ্টা করছে তাঁকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত রেখে দিতে।

কুমিল্লার হয়ে কালও শুধুই অধিনায়কত্ব করেছেন মাশরাফি। নিজের ইচ্ছা আর ফ্র্যাঞ্চাইজির সমর্থন মিলিয়েই দূরে থাকছেন বোলিং থেকে, ‘বাংলাদেশের খেলা হলে হয়তো বোলিং করে ফেলতাম। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে সেই ঝুঁকি না নিলেও চলে। শতভাগ ফিট না হয়ে বোলিং করতে চাচ্ছি না। কারণ ক্যারিয়ারজুড়েই এ রকম ছোট ছোট সমস্যা পরে অনেক বড় হয়ে গেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিও আমার ইচ্ছা মেনে নিয়েছেন।’

কাল প্রথম সেমিফাইনালেই রংপুরের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা। জিতলেই সরাসরি ফাইনাল, তবে হারলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ থাকবে ‘এলিমেনটর’ ম্যাচের জয়ীদের সঙ্গে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: ২০ ওভারে ১৫০/৪ (শেহজাদ ৪২, অলক ৩২, জাইদি ৩১*, ইমরুল ২৭; শহীদ ১/১৮, আফ্রিদি ১/২০, রুবেল ১/৩০)। সিলেট সুপারস্টারস: ১৩.৫ ওভারে ৭৯ (কব ২১, মুমিনুল ১৫*; শুভাগত ৩/৮, আন্দ্রে রাসেল ২/৯, জাইদি ২/৪)।

ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ৭১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আহমেদ শেহজাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১০:১৬:৫৩   ৪৩০ বার পঠিত