বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫
মেসির জার্মানি দুঃখ, জার্মানিরও দুঃখ মেসি
Home Page » খেলা » মেসির জার্মানি দুঃখ, জার্মানিরও দুঃখ মেসিবঙ্গনিউজ ডটকমঃ বাঁ প্রান্ত থেকে আন্দ্রে শুরলের কাটব্যাক…বক্সের ভেতরে বল পেলেন মারিও গোটশে…বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শট…বল জড়িয়ে যাচ্ছে জালে…। ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালের দুঃস্বপ্নটা অনেক দিনই তাড়া করবে লিওনেল মেসিকে। অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার মিনিট সাতেক আগে ওই গোলটি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের হাহাকার হয়েই থাকবে অনেক দিন। কত দিন যে এই দুঃস্বপ্ন দেখে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ঘুম ভেঙেছে কে জানে!
মেসির দুঃখের নাম বিশ্বকাপ। মেসির দুঃখের নাম জার্মানিও। ২০০৬, ২০১০, ২০১৪…।
তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ। কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা । জয় নিশ্চিত ধরে নিয়েই হয়তো আর্জেন্টিনা কোচ দলের সেরা কজন খেলোয়াড়কে তুলে নিলেন, সেমিফাইনালের জন্য বিশ্রাম দেবেন বলে! মেসিকে নামানোই হলো না। গোল শোধ করে দিল জার্মানি, টাইব্রেকারে বিদায় আর্জেন্টিনার!
দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। এবারও কোয়ার্টার ফাইনাল। ৪-০ গোলে আর্জেন্টিনাকে উড়িয়ে দিল জার্মানি! আর গতবারের টাটকা স্মৃতি নিয়ে আর কিছু না বলাই বরং ভালো। এভাবেই ক্লাব ফুটবলে নিজেকে সর্বকালের সেরার আসনে নিয়ে গিয়েও, রাশি রাশি ট্রফি জিতিয়েও সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ ট্রফিটাই ছুঁয়ে দেখা হলো না মেসির! এই অশ্রুসিক্ত অধ্যায়ের নাম একটাই—জার্মানি-দুঃখ!
অবশ্য জার্মান ক্লাবগুলো দাবি করতে পারে, একদম ঠিক আছে! এটা প্রকৃতিরই বিচার! আবির্ভাবের পর থেকেই যে বার্সেলোনার জার্সিতে জার্মানির ক্লাবগুলোকে এমন দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়ে এসেছেন মেসি।
বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বেয়ার লেভারকুসেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র ম্যাচে গোল করেছেন বার্সা ‘নাম্বার টেন।’ এই গোলটি দিয়েই একটা রেকর্ড হয়ে গেছে মেসির। ইউরোপিয়ান ক্লাব পর্যায়ে জার্মান ক্লাবগুলোর বিপক্ষে যেকোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন এই ২৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
২০০৫/০৬ মৌসুমে গ্রুপপর্বে ভেরডার ব্রেমেনের বিপক্ষে গোল দিয়ে শুরু। বুধবারের ম্যাচটি নিয়ে এরপর আরও ১২ ম্যাচ খেলেছেন, তাতে গোল এসেছে আরও ১৪টি। সব মিলিয়ে ১৩ ম্যাচে ১৫ গোল। এ তালিকায় তাঁর সঙ্গে কার জোর প্রতিযোগিতা চলছে অনুমান করতে পারেন? খুবই শিশুতোষ একটা অনুমান - ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। জার্মান দলগুলোর বিপক্ষে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের গোল ১৪টি।
জার্মানিতে আবার মেসির পছন্দ-অপছন্দও আছে। গোল করার জন্য সবচেয়ে ‘পছন্দে’র দল বেয়ার লেভারকুসেনই। ১৫ গোলের ৭টিই এসেছে এই দলটির বিপক্ষে। ২০১২ সালে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে এক ম্যাচেই তো করেছিলেন ৫ গোল!
দ্বিতীয় পছন্দ বায়ার্ন মিউনিখ। মেসি-বায়ার্ন বললেই গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে দুর্দান্ত গোল দুটির কথা মনে পড়ার কথা। ওগুলো ছাড়াও বাভারিয়ানদের বিপক্ষে মেসির গোল আছে আরও দুটি। এ ছাড়া আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ৩ গোল করেছেন স্টুটগার্টের বিপক্ষে। বাকি ১ গোল তো ওই যে ভেরডার ব্রেমেনের বিপক্ষে গোলটি, যেটি দিয়ে জার্মান দলগুলোর বিপক্ষে গোলের ‘উৎসব’ শুরু করেছিলেন মেসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩২:৫৩ ৩৮১ বার পঠিত