বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫
আবারও ৪০০ কোটির নিচে লেনদেন
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » আবারও ৪০০ কোটির নিচে লেনদেনবঙ্গনিউজ ডটকমঃ মাঝে দুই কার্যদিবসের ব্যবধান। তাতেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন কমে গেছে ২০০ কোটি টাকা। গত বৃহস্পতিবারও ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬০০ কোটি টাকার বেশি। আর গতকাল মঙ্গলবার তা নেমে এসেছে ৪০০ কোটির নিচে।
লেনদেনের পাশাপাশি সূচকও কমেছে বাজারে। গতকাল দিন শেষে প্রায় ১৫ পয়েন্ট কমে আবারও তা ৪৬০০ পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে দাঁড়ায় ৪৫৯৩ পয়েন্টে। এর আগে সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৫৮১ পয়েন্টে নেমেছিল। এরপর পাঁচ কার্যদিবস সূচকটি ৪৬০০ পয়েন্টের ওপরেই ছিল।
মার্চেন্ট ব্যাংক আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টসের প্রতিবেদনে মূলত বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতনকেই বাজারের পতনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইডিএলসি বলেছে, টেলিকম খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন, বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি), মবিল যমুনা লুব্রিকেন্টসের শেয়ারের দরপতন সূচক পতনে বড় ভূমিকা রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে, গ্রামীণফোন ও বিএটির প্রতিটি শেয়ারের দাম গতকাল ১ দশমিক ৩ শতাংশ, মবিল যমুনার প্রতিটি শেয়ারের দাম ২ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। আগের দিনের সমাপনী দামের সঙ্গে গতকালের সমাপনী দামের পার্থক্যের ভিত্তিতে এ হার হিসাব করেছে আইডিএলসি।
ডিএসইতে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের কোম্পানির মধ্যে মঙ্গলবার শুধু বিমা খাত, পেপার ও প্রিন্টিং, সিমেন্ট এবং চামড়া খাতের কোম্পানিগুলো সূচকে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বিষয়ে একটি সমাধানের আশ্বাসের পর সবার প্রত্যাশা ছিল বাজার ধারাবাহিকভাবে কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশার ছন্দপতন ঘটেছে।
হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘দুই দিন ধরে বাজার নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। অনেকে এটিকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন বললেও পুরোপুরিভাবে আমি তার সঙ্গে একমত নই। কারণ স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন হলে একসঙ্গে অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমতে পারে না। স্বাভাবিক মূল্য সংশোধনে সেসব শেয়ারেরই দাম কমবে যেগুলোর দাম খানিকটা বেড়েছিল। কিন্তু তেমনি দেখা যাচ্ছে না।’
ঢাকার বাজারে গতকাল ৩১৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫২টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে ১১৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৭টির দাম। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৯৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে সাড়ে ৫৮ কোটি টাকা কম।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি গতকাল ৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৫ পয়েন্টে। লেনদেন আগের দিনের চেয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা কমে নেমে এসেছে ৩০ কোটিতে।
চট্টগ্রামের বাজারে মঙ্গলবার ২৪৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২২টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৮৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৬টির দাম।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৩:০৪ ৩২৮ বার পঠিত