মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

মৃত্যুর কারণ হতে পারে যেসব পোশাক!

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » মৃত্যুর কারণ হতে পারে যেসব পোশাক!
মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৫



 black_corset

বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ

মাংশাসী সেই গাছটির কথা তো সবাইই জানে, যেটা এমনিতে দেখতে সুন্দর আর রঙচঙে হলেও ধারে-কাছে গেলেই ধারালো দাঁত দিয়ে আক্রমণ করে বসে সবাইকে। ঠিক তেমনি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার্য এমন কিছু পোশাক রয়েছে যেগুলো বাইরে থেকে দেখতে সাধারণ আর আধুনিক মনে হলেও আদতে খুব সহজেই এগুলো হতে পারে আমাদের মৃত্যুর কারণ। অবাক করা হলেও সত্যি যে, মানুষ এই পোশাকগুলো নানা সময়ে তৈরি করেছে আর ব্যবহার করছে নিজেকে আরো একটু ধোপদুরস্থ দেখাতেই। কিন্তু বাস্তবে ঠিক কি কি করতে পারে এগুলো সে সম্পর্কে এতটুকুও ধারনা ছিলনা এর ব্যবহারকারীদের। সেই ইতিহাসের প্রথম থেকে শুরু করে আজকের সময়েও এমনই মানুষের হাতে তৈরি প্রাণসংহারী কিছু দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার্য পোশাক নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

১. লোহার পোশাক ক্রিনোলিন

কোমর থেকে পা অবধি ফুলের মতন গোল স্কার্ট- এমনটাই ছিল ক্রিমোলিন নির্মাতাদের পরিকল্পনা। আর এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতেই ১৯ শতকে লোহার এক খাঁচা বানায় তারা। যেটার গঠনটাই এমন যে ওপরে কাপড় পড়লে সেটা ফুলে থাকবে আর বাড়িয়ে তুলবে সৌন্দর্য। সেসময় ক্রিনোলিন হয়ে উঠেছিল সবার প্রিয়। তবে সেটা খুব বেশিদেন জন্যে নয়। মাঝে এক নারীকে এই পোশাকের কারণে ডুবে মরতে হয় নদীতে। সেই থেকে খানিকটা ভাটা পড়ে যায় ক্রিমোলিনের বাজারে। তবে তারপরেও কিছুটা প্রচলন ছিল এ পোশাকের তখনো। কিন্তু সেটাও পুরোপুরি নেই হয়ে যায় ১৮৬৩ সালে। চিলির সান্টিয়াগোর এক গীর্জায় সেবার আগুন লেগে যায় হঠাৎ ( ক্র্যাকড )। লোকেরা তখন যে যার মতন বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তাদের ভেতরে ছিল এক ক্রিনোলিন পরিহিতাও। সবটাই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু মাঝখানে বাধ সাধলো তার এই পোশাক। লোহার খাঁচা আটকে গেল দরজায়। আর সেটা এমনভাবেই যে কোনভাবেই সেটা আর বের করা বা ভেতরে আনা গেলনা। এরপরের ঘটনা? খুবই স্বাভাবিকভাবে আগুনে পুড়ে সেবার ২০০০ থেকে ৩০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল গীর্জায় ( ক্র্যাকড )।

২. করসেট

পোশাকটি এখনো ক্রিনোলিনের মতন হারিয়ে যায়নি একেবারে। এখনো অনেকেই ব্যবহার করেন এটি। এমনকি আগের মানুষদের করসেট নিয়েও জাদুঘরের বিভিন্ন স্থান সাজানো আছে কোন কোন দেশে। সেসময় নারীদের কোমরকে চিকন আর শরীরকে সুঠাম দেখানোর উদ্দেশ্যে তৈরি হয় করসেট। যেটা কিনা চাপ দিয়ে কোমরের জায়গাটিকে করে তুলতো একেবারেই চিকন। কিন্তু প্রথমটায় অনেকটা প্রশংসিত হলেও এর প্রাণসংহারী ক্ষমতা দেখা যায় তখন যখন একের পর এক মানুষ মারা যেতে থাকে এ পোশাকের কারণে। এটি এতটাই চিকন করে ফেলত কোমর আর বুকের নীচের অংশটিকে যে ফুসফুস পেটের ভেতরে গিয়ে পড়তো আর শ্বাস নিতে প্রচন্ড সমস্যা হত। এমনকি ভেতরে মাঝে মাঝে রক্তপাতের ঘটনাও বিরল ছিলোনা করসেটের কারণে (স্টাইললেইস)।

৩. চিকন স্কার্ট

প্রথমে বলা হয়েছিল ফুলে থাকা বিশাল স্কার্ট ক্রিনোলিনের কথা। আর এবার বলব এমন এক স্কার্টের কথা যেটা কিনা উপরের দিকটায় একদম ঠিক থাকলেও পায়ের হাঁটুর কাছটায় গিয়ে হয়ে যায় একেবারে চিকন। আর সেটা এতটাই চিকন যে ঠিক করে হাঁটাটাও সম্ভব হত না এর পরিধানকরীদের দ্বারা। এমনিতে ফ্যাশনটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ২০এর শতকে। তবে এর কিছুদিন পরেই এই স্কার্ট পরিহিত এক নারী হঠাৎ করে পড়ে যান রাস্তায় আর কোনভাবেই উঠতে না পেরে মুখোমুখি হন ভয়ংকর এক দূর্ঘটনার। এর পরপরই আরেক নারী দৌড়াতে না পারার কারণে মারা যান বুনো জানোয়ারের পায়ের তলায় ( এনআইপোস্ট )। আর এ দুটো ঘটনার কারণটাই ছিল ঐ স্কার্ট। এ ঘটনাগুলো ঘটনার পর থেকে একটু হলেও কমে গিয়েছিল এই স্কার্টের প্রচলন তখন। সুত্র: প্রিয়

বাংলাদেশ সময়: ৮:৩২:০৭   ৩৭৮ বার পঠিত