রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৫
‘এলাকাবাসীর ঘোষণা, লাশ আনতে দেবো না’!
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ‘এলাকাবাসীর ঘোষণা, লাশ আনতে দেবো না’!
বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
সদ্য সম্পন্ন হওয়া শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের খবরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন রাউজান আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাধারণ মানুষও।
শনিবার দিনগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের খবর শুনে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় সড়কের আশপাশের বাড়ি থেকে নারী-পুরুষ মিছিলে যোগ দিয়ে আনন্দ করেন।মিছিলে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
এ সময় তারা ‘এই মূহূর্তে খবর এলো, সালাউদ্দিনের ফাঁসি হলো, এলাকাবাসীর ঘোষণা, লাশ আনতে দেবো না’ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সাকার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় আমরা খুবই সন্তুষ্ট। আমরা তার লাশ রাউজানে আনতে দেবো না। রাউজান কলঙ্কমুক্ত হয়েছে, এখানে তার লাশ দাফন করে রাউজানকে কলঙ্ক করতে দেবো না।’
তিনি জানান, সাকার মরদেহ যাতে রাউজানে আসতে না পারে সেজন্য প্রবেশ পথ হালদা নদীর সর্তারঘাটে অবস্থান নেবেন তারা।
সূত্র জানায়, রাউজান পৌরসভার মধ্যগহিরা গ্রামের পারিবারিক নতুন কবরস্থানে সাকাকে দাফন করা হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মরদেহ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে এরইমধ্যে সাকার পারিবারিক কবরস্থান ঘিরে র্যাব, পুলিশ ও এপিবিএনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। বাড়তি নিরাপত্তায় টহল দিচ্ছে বিজিবি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, রাতেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। মরদেহ নিয়ে যাতে নির্বিঘ্নে রাউজানে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সাকার গ্রামের বাড়ি বায়তুল বিলালে গিয়ে কাউকে দেখা যায়নি। চারদিকে মানুষের চলাচলও কম দেখা গেছে।
উল্লেখ্য একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে ফাঁসির দণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৯ অক্টোবর আপিল করেন সাকা। তবে সর্বোচ্চ সাজার পরিপ্রেক্ষিতে আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১৮ নভেম্বর সেই আবেদন খারিজ করে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
শনিবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান সাকা। যদিও কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে ছেলে হুম্মাম বলেছেন, তার বাবা প্রাণভিক্ষা চাননি।
বাংলাদেশ সময়: ৭:৪৯:৫৪ ২৫১ বার পঠিত