শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫

আইএসের ‘পরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্র বাংলাদেশ!!!

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » আইএসের ‘পরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্র বাংলাদেশ!!!
শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫



 125925_1

বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ

দিনাজপুরে ইতালিয়ান যাজককে হামলার দায়ে জামায়াতে ইসলামের একজন স্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে পুলিশ। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিদেশি নাগরিকের উপরে হামলার দায় স্বীকার করলো জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। অনলাইনে জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী সাইট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি টুইটার বার্তায় আইএস দাবি করে তারা ইতালিয়ান ধর্মযাজক ক্রুসেডার বিদেশিকে টার্গেট করে ও হামলা চালায়। সাইলেন্সার লাগানো পিস্তল দিয়ে গুলি করে তাকে মারাত্মকভাবেভাবে আহত করা হয়। ৫৭ বছর বয়সী ধর্মযাজক পিয়েরো পারোলারি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। এ সপ্তাহে প্রকাশিত আইএসের একটি অনলাইন ম্যাগাজিন থেকে জানা যায়, আইএস তাদের বৈশ্বিক পরিধি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরবর্তী যুদ্ধক্ষেত্র রূপে বিবেচনা করছে। এদিকে, সম্প্রতি মুক্তমনা ও ইসলামবিদ্বেষী লেখকদের উপর হামলা চালানোর ঘটনায় আল-কায়েদার সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। দু’টি কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতায় মুসলিম প্রধান, উদার, শান্তিপ্রিয়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র বাংলাদেশ উগ্র জঙ্গিবাদের উত্থানে ভীত হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিদেশিদের উপর হামলার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। কিন্তু সরকার বলছে, এসব হত্যাকাণ্ড বিরোধীদলের ভাড়াটে গুণ্ডারা সংঘটিত করছে। কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর তৎপরতার কথা সরকার অস্বীকার করেছে। সরকারের প্রধান তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘সব তথ্য উপাত্ত প্রমাণ করে বিদেশি হত্যাকান্ডে আইএস জড়িত নয়। হত্যাকারীদের সাথে জঙ্গি দলের কোনো সম্পর্ক নেই।হত্যাকারীরা শুধুই সন্ত্রাসী।’ অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ‘বিতর্কিত ট্রাইবুনাল’ কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষস্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর হলে দেশটিতে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হতে পারে। সরকারের উর্দ্ধতন কিছু কর্মকর্তার মতে, সম্প্রতি বিদেশি নাগরিকের উপর হামলার ঘটনা ওই দুই নেতার বিচার বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টার ফলে হতে পারে। ২০১০ সালে গঠিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আরো অনেক সংস্থা ট্রাইবুনালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:১০:৫১   ৩০৩ বার পঠিত