শনিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৫
হিজড়া সন্তান জন্ম হওয়ার ইসলামিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » হিজড়া সন্তান জন্ম হওয়ার ইসলামিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
আমাদের সমাজে বরাবরই হিজড়াদের নিচু দৃষ্টিতে দেখা হয়। যদিও হিজড়া সম্প্রদায় বাংলাদেশে এখন তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তবুও তাদের অসহায়ত্বের শেষ নেই। তাদের মানুষ বলে গণ্যই করা হয় না। কিন্তু আপনি কি জানেন কেন হিজড়া সন্তানের জন্ম?
হিজড়া সন্তানের জন্ম সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার পাশাপাশি রয়েছে ইসলামিক ব্যাখ্যাও।
ইসলামিক ব্যাখ্যাঃ
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ হিজড়ারা জীনদের সন্তান। কোন এক বাক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কেমন করে হতে পারে। জবাবে তিনি বলেছিলেন “আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোন মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা ঐ মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় “খুন্নাস”)।
তথ্য : সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম, হাকিম
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় XX প্যাটার্ন ক্রোমোজমে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন ক্রোমোজমে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। অর্থাৎ, X এর সঙ্গে X এর মিলনে মেয়ে এবং X এর সঙ্গে Y এর মিলনে ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এবং নারীরা XX ও ছেলেরা XY ক্রোমোজম ধারণ করে। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা XYY। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।
একটা ব্যাপার হল, একটি হিজড়া শিশুকে পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি যথাযথ মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু যখন বোঝা যায় সে সাধারণ আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরি হয়ে যায়। একইভাবে কোন পুরুষ বা নারীও হিজড়া হতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৮:৪৮ ৩৯৯ বার পঠিত