শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০১৫
ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে!!
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে!!
বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
সয়াবিনসহ খোলা ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। শীতের অজুহাতে খুচরা পর্যায়ে সয়াবিনের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহের চেয়ে খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ৩ টাকা বেড়ে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে সুপার পাম অয়েল লিটারপ্রতি ৬২ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়, যা গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যা কমেছে তাতে দেশের বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম হওয়ার কথা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। কিন্তু দেশের বাজারে তার কোন প্রভাব পড়েনি। পাড়া মহল্লার দোকানে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম রাখা হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। কোথাও কোথাও আবার ১০০ টাকায় লিটার বিক্রি হতেও দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, শীতে পাম অয়েল জমাট হয়ে যায়। সে কারণে পণ্যটির ব্যবহার উপযোগিতা কম থাকে। তখন খোলা সয়াবিনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই সয়াবিনের দাম একটু বেড়েছে। এদিকে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার কারণে তুলনামূলক কম মূল্যের পাম অয়েলের দরও বেড়েছে। এ ছাড়া চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু, দেশী পিয়াজ, দেশী মসুর ডাল ও গরুর মাংস। স্বস্তির দেখা মিলছে না শীতকালীন সবজির দামেও। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় পণ্য সরবরাহ কম। এখনও পুরোদমে সরবরাহ শুরু হয়নি। তাদের আশা, চলতি মাসের শেষের দিকে পণ্যের দাম কিছুটা কমতে পারে। ডিসেম্বরে শীতকালীন পণ্যের দাম অনেকটাই কমে আসবে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালোমানের আলু বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ২৮ টাকা। যা কয়েক দিন আগেও ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা। প্রতিকেজি দেশী পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। মসুর ডালের কেজি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। পণ্যটি দীর্ঘদিন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গরু মাংসের দামও অপরিবর্তিত। প্রতিকেজি মাংস ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় ওঠানামা করছে। মতিঝিলের মাংস ব্যবসায়ী স্বপন বলেন, একবার যে পণ্যের দাম চড়ে, তা আর কমে না। গরু মাংসের দামও ৪০০ টাকা থেকে কমার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানান স্বপন। কাওরান বাজারের পাইকার ও খুচরা বিক্রেতা বোরহান উদ্দিন বলেন, কয়েকটি পণ্যের দাম উচ্চমূল্যের উপর স্থির রয়েছে। এদিকে কাঁচামরিচের দাম ওঠানামার উপর রয়েছে। আর একেক জায়গায় একেক দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে পণ্যটি। একটু ভালোমানের প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। মাঝারি মানের কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। আর নিম্নমানের বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, সাদা গোলাকার বেগুন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ঝিঙে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পটোল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, জলপাই ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, কচুর ছড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, মাঝারি লাউ ৪০ থেকে ৪৫ ও ছোট লাউ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও বড় কুমড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি বা পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে পণ্যের দর আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। যদিও এটা পর্যাপ্ত নয়। তবে আরও কমবে। এদিকে প্রতিকেজি দেশী রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ১১০ থেকে ১২০ টাকা, প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম ৩৬ টাকা, প্রতি হালি হাঁসের ডিম ৪০ থেকে ৪২ ?টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি (সাদা) ১৬০ টাকা থেকে ১৬৫ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে চালের দাম কিছুদিন আগে সামান্য বাড়লেও বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৪২ থেকে ৪৩ টাকায়, নাজিরশাইল ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা, মোটা চাল ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪২:৪৭ ৩২২ বার পঠিত