রবিবার, ১ নভেম্বর ২০১৫
রাজধানীতে খুচরা পর্যায়ে সয়াবিনসহ খোলা ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে।
Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » রাজধানীতে খুচরা পর্যায়ে সয়াবিনসহ খোলা ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে।বঙ্গনিউজ ডটকমঃ রাজধানীতে খুচরা পর্যায়ে সয়াবিনসহ খোলা ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। এখনও শীত না পড়লেও সয়াবিনের দাম বাড়ার জন্য ‘অগ্রীম’ শীতেরই দোহাই দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।শুক্রবার ঢাকার একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি অন্তত ৩ টাকা বেড়ে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর মানভেদে সুপার পাম অয়েল লিটারপ্রতি ৬২ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়, যা গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের এক শীর্ষ নেতার দাবি, ‘শীতে পাম অয়েল জমে যাওয়ায়’ এর ব্যবহার উপযোগিতা কমে খোলা সয়াবিনের চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে। উল্টোদিকে আরেক পাইকার বললেন, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার কারণে তুলনামূলক কম মূল্যের পাম অয়েলের দরও বেড়েছে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ আলী ভুট্টো বলেন, “শীত চলে আসায় পাম অয়েল ও সুপার পাম অয়েলের চাহিদা কমে সয়াবিনের চাহিদা বেড়েছে। কারণ শীতে পাম অয়েল জমে যায়, আর সুপার পাম অয়েল ঘোলা হয়ে যায়। যেকারণে ক্রেতারা এই তেল (পাম ও সুপার পাম) নিতে চান না।”
“গত সপ্তাহে ২৭০০ টাকা মণ দরে সয়াবিন বিক্রি হয়েছে। চাহিদা বাড়ায় বৃহস্পতিবার লিটারে ৩ টাকা বেড়ে প্রতিমণ সয়াবিন ২৮২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।”
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীত শুরু হয়েছে। তাই পাম অয়েল বা সুপার পাম অয়েলের চাহিদা কমে খোলা সয়াবিনের চাহিদা বেড়েছে; ফলে দামও উর্ধ্বমুখী।”
সেক্ষেত্রে পাম অয়েল বা সুপার পাম অয়েলের দাম কমার কথা থাকলেও বরং খুচরা বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে।
এবিষয়ে ফকিরেরপুল বাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী শওকত হোসেন কানন বলেন, “সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার কারণে সুপার পামের দাম একটু বেড়েছে। তবে এটা খুবই সাময়িক। আগামী সপ্তাহে আবার এর দাম কমে যাবে। কারণ শীত তো চলে এসেছে।”
শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
আমদানি করা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা টাকা দরে। ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে আমদানি করা বড় দানার রসুন পাওয়া যাচ্ছে।
শীতের সবজির মধ্যে ফুল কপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বাধা কপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, প্রতি কেজি শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও প্রতি কেজি মুলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪২:১৫ ৩২০ বার পঠিত