শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৫

ধূমকেতুতে মদ তৈরির কারখানা!

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ধূমকেতুতে মদ তৈরির কারখানা!
শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৫



বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ

হাকাশে এবার পাওয়া গেল মদের কারখানা! এই প্রথম মহাকাশে কোনো ধূমকেতুর কথা জানা গেল, যা থেকে প্রতিনিয়ত এই উপাদান বের হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আদর করে নাম দিয়েছিলেন ‘লাভজয়’। বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘প্রেমানন্দ’। এই ধূমকেতু এখন পাগল করে দিচ্ছে মহাবিশ্বে প্রাণ খুঁজে ফেরা বিজ্ঞানীদের। মিনিটে প্রায় ৩০ হাজার বোতল মদ মহাকাশে উগরে দেয় এই ধূমকেতু।

এই ধূমকেতুতে খোঁজ মিলেছে ২১ রকমের জৈব রাসায়নিকের, যার মধ্যে আছে ইথাইল অ্যালকোহল আর গ্লাইকোঅ্যালডিহাইড। সোজা কথায় মদ আর চিনি। এই দুই জটিল জৈব যৌগের ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইথাইল অ্যালকোহল থাকলে কোন সম্ভাবনা জোরদার হয়?

ইথেন গ্যাস জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করলে দু’টি জিনিস জন্মায়। ইথাইল অ্যালকোহল আর হাইড্রোজেন গ্যাস। এই ইথাইল অ্যালকোহল বা তার ‘পূর্বপুরুষ’ মিথাইল অ্যালকোহল আসলে একটি জটিল জৈব যৌগ অণুর একেবারে গোড়ার ইউনিট। যার শৃঙ্খল বাড়তে বাড়তে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে প্রোটিন বা লিপিড হয়।

চিনির হদিশ মেলায় কেন উৎসাহিত বিজ্ঞানীরা?

চিনিও প্রাণ সৃষ্টির মূল উপাদানের ইউনিট। যেমন, শুধু ইট দিয়েই তো আর বাড়ি হয় না। লাগে সিমেন্ট, চুন, বালি, সুরকিও। প্রাণ সৃষ্টির জন্য চিনিও তেমনই একটি উপাদান। চিনি অবশ্য অ্যালকোহল নয়। সেটা অ্যালডিহাইড। চিনি অনেক রকমের হয়। আমরা যে চিনি খাই, সেটা আসলে ‘গ্লাইকোঅ্যালডিহাইড’। যা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে ফ্যাট জন্মায়।

এ তো গেল এক দিক। অন্য কোথাও প্রাণ খুঁজে চলার নেশায় বুঁদ যাঁরা, তাঁরা পেলেন নতুন খোরাক! কিন্তু অন্য নেশার স্বপ্নকেও রঙিন করার মতো উপাদান আছে এই গবেষণাপত্রে। সুরার প্রেমানন্দে ডুব দিয়ে যাঁদের সুখ, তাঁরা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বোতলের মতো অ্যালকোহল মহাকাশে উগরে দেয় এই ধূমকেতু। ধরে বেঁধে রাখতে পারলে পাঁচ-দশটা বড় শহরের মদের বার চালিয়ে নেওয়া যায় অনায়াসে। তবে সুরায় ডুবে থাকাদের জন্য দুঃখের খবর- এখান থেকে এখনি মদের যোগান দেওয়ার কোন ব্যবস্থা বিজ্ঞানীরা বের করতে পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৪:১৫   ৬৩০ বার পঠিত