বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

বিএনপি-জামায়াতের ভয়াবহ পরিকল্পনা ফাঁস!

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » বিএনপি-জামায়াতের ভয়াবহ পরিকল্পনা ফাঁস!
বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৫



BnP Jamat

বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ

জামায়াত-বিএনপি তাদের হত্যা, সন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়াও, অবরোধ-হরতালসহ নাশকতার বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে ব্যর্থ হয়ে জঙ্গী গ্রুপগুলোর সদস্যদের মাধ্যমে দেশের যে কোন বিমানবন্দর থেকে দেশী-বিদেশী যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার পরিকল্পনা করেছিল। সে পরিকল্পনা গোয়েন্দাদের মাধ্যমে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর সোমবার থেকেই বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট এ তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের তুলনায় জোরদারের পাশাপাশি পরিবর্তনও আনা হয়েছে।

আনসারের স্থলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে আর্মড ব্যাটালিয়ন ফোর্সের (এপিবিএন) সদস্যদের। বিমানবন্দরসমূহে যাত্রীদের পাশাপাশি তাদের আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীদের যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, জঙ্গী গ্রুপগুলোর এ ধরনের একটি পরিকল্পনা ছিল যে, দুয়েকদিনের মধ্যে তারা সুযোগ বুঝে দেশী-বিদেশী যাত্রীবাহী যে কোন বিমান ছিনতাই করবে। তাদের এ পরিকল্পনার তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে চলে আসার পর তা সরকারের উচ্চপর্যায়ে অবহিত করার সঙ্গে সঙ্গে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবত করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশীদের চলাচল, বিদেশীদের স্থাপনা, বিদেশীদের আবাসস্থলসমূহেও কঠোর নজরদারিতে আনা হয়েছে।

এর পাশাপাশি লঞ্চঘাট, ট্রেন স্টেশন, বাস টার্মিনাল, বাস স্টপেজসমূহেও বাড়তি টহল আরোপ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, এ ব্যবস্থা রেড এলার্ট নয়। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন ও জোরদার করা হয়েছে। এদিকে, দুই বিদেশী হত্যার ঘটনার রহস্য প্রায় উদ্ঘাটন করে ফেলেছে গোয়েন্দা সদস্যরা। এর মধ্যে জাপানী নাগরিক হোশি কুনিও ইতালীয় নাগরিক সিজার তাভেলাকে যে বড় ভাইয়ের নির্দেশে ভাড়াটিয়া খুনী দিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাও উন্মোচিত হয়েছে। তবে সে বড় ভাইটি কে তার নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশের ওই দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, তিনি রাজনৈতিক একটি দলের প্রভাবশালী সদস্য। পরিস্থিতি টের পেয়ে তিনি ইতোমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলেও খবর চাউর হয়েছে। তবে পুলিশ তাকে খুঁজছে।

অপরদিকে, রংপুরে জাপানী নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডের তদন্তও শেষ পর্যায়ে। এ ঘটনার আদ্যোপ্রান্ত প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বিভিন্নভাবে ভয়াবহ বোমা হামলার মাধ্যমে নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারায় রয়েছে। এ কারণেই সোমবার থেকেই বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর এবং সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব আনসারের পরিবর্তে আর্মড ব্যাটালিয়নের হাতে অর্পণ করা হয়েছে। তবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে দীর্ঘদিন ধরে পালন করে আসছে এপিবিএন সদস্যরা।

কিন্তু ঢাকা ও সিলেট বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল আনসার সদস্যরা। নাশকতার ঘটনার তথ্য ফাঁস হওয়ার পর এ দুটি বিমানবন্দরেও এপিবিএন সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে এসব ঘটনা নিয়ে যাত্রীসহ সকলকে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যেতে বিএনপি-জামায়াত ও মৌলবাদী দলগুলো জঙ্গীবাদী দলগুলো এখন এককাতারে হয়ে তাদের মরণ কামড় দিতে তৎপর হয়েছে। এসব ঘটনার মূলে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততাই সবচেয়ে বেশি। গোয়েন্দাদের তথ্যানুযায়ী, জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় জঙ্গী সংগঠনগুলো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এদের ইন্ধনেই চট্টগ্রামে সৃষ্টি হয়েছিল শহীদ হামজা ব্রিগেড নামের একটি জঙ্গী সংগঠন। এ সংগঠনটির উদ্যোগে অস্ত্র চালনা এবং বোমা ও গ্রেনেড তৈরির প্রশিক্ষণের গোপন তৎপরতা চলে।

এর আগে ২০০৪ সালে শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন জেএমবির আত্মপ্রকাশের সময়ও জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা ছিল। চট্টগ্রামে লালখানবাজার মাদ্রাসায় ভয়াবহ গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল কারিগর ছিল শিবির কর্মী নুরুন নবী। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, নাশকতার মামলা থেকে গ্রেফতার এড়াতে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে জঙ্গী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করছে। চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল এ কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া গত ৫ অক্টোবর কর্ণফুলী এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্য ফুয়াদ এবং গত ২৩ মার্চ চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত আরশাদ ইতোপূর্বে সরাসরি শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যে সম্পৃক্ত ছিল তা সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে স্বীকার করেছে।

সূত্র জানায়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী জোটগুলোর অপরাজনীতির কারণে মানুষ হত্যার জ্বালাও পোড়াও দিনের পর দিন অবরোধ, হরতাল দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে এনেছে। বিগত সংসদ নির্বাচন বয়কট করতে গিয়ে বিএনপির শরিক জামায়াতসহ অন্য দলগুলোকে নিয়ে বর্তমান সরকারী দল আওয়ামী লীগকে কাবু করতে গিয়ে হেন কোন অপকর্ম নেই তারা জন্ম দেয়নি। এসব অপকর্মের ঘটনা জনমনে নেতিবাচক হিসেবেই স্থান করে নিয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের রাজনীতির নামে অরাজনৈতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোরহস্তে দমন করতে সক্ষম হওয়ার পর বিএনপি এ পর্যন্ত চরম বেকায়দায় রয়েছে। আর এ দলের প্রধান সহযোগী স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত ও এর আর্মড ক্যাডার সংগঠন ছাত্রশিবির আত্মরক্ষার্থে মাঠ ছাড়া অবস্থায় রয়েছে।

তবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে সুযোগ বুঝে সহিংসতার ঘটনা ঘটাচ্ছে। সর্বশেষ ঘটনাটি সংঘটিত করেছে ঢাকায় এএসআই ইব্রাহিম মোল্লাকে খুন করার মাধ্যমে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শিবির সদস্য মাসুদ স্বীকারোক্তিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। এছাড়া পুলিশের আইজিও দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম ঘটাচ্ছে। চট্টগ্রামে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি সূত্র রবিবার জানিয়েছে, চারদলীয় জোটের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যর্থ হওয়ার পর জামায়াত-শিবির জঙ্গীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখন নাশকতাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি খুন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানোর নীলনক্সা প্রণয়ন করেছে এবং সে অনুযায়ী তারা এগোচ্ছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কঠোর তৎপরতার কারণেই এদের অপারেশন কার্যক্রম ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে।

ওই সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে নিয়েই মূলত জামায়াত-শিবির ও জঙ্গী সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের গোপন বিস্তৃতি যে লাভ করেছে তা এখন স্পষ্ট। জামায়াত-শিবির এখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে সহিংস ঘটনার পথকেই তাদের অস্তিত্ব রক্ষার পথ বলে মনে করছে। বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে এদের শীর্ষ পর্যায়ে বড় ধরনের বজ্রাঘাত হয়েছে। এরা এখন না পারছে বিএনপিকে ছাড়তে, আবার না পারছে এককভাবে অস্তিত্ব রক্ষার প্রকাশ্য রাজনৈতিক লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে। সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ একটি বিশেষ টিম জামায়াত-শিবির ও জঙ্গী সংগঠনগুলোর গোপন তৎপরতা নিয়ে সর্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে। এদের এ কার্যক্রম থেকে একটি বিষয় উঠে এসেছে দেশে যে নিষিদ্ধ ও নিষিদ্ধ হয়নি এমন যেসব জঙ্গী সংগঠন রয়েছে এগুলোর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের একটি অংশের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

যেমন চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া শহীদ হামজা ব্রিগেড সৃষ্টি করেছে জামায়াত ও হেফাজত ছেড়ে চলে আসা কয়েক নেতা ও কর্মী। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উত্তর ও দক্ষিণাংশে জামায়াত-শিবিরের অতীতের যে আধিপত্য বিরাজিত ছিল তাতে ভাটা পড়লেও গোপন তৎপরতার অবসান ঘটেনি। এ কারণে সিএমপি ও জেলা পুলিশের পরিচালিত অভিযানগুলোতে যেসব সন্ত্রাসী গ্রেফতার বা আটক হচ্ছে এদের মধ্যে কোন না কোনভাবে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা উদ্ঘাটিত হচ্ছে। বর্তমানে জামায়াত-শিবিরের মাঠের রাজনৈতিক তৎপরতা নেই। কিন্তু আন্ডারগ্রাউন্ড তৎপরতা নতুনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এদের অর্থ যোগানের রুটগুলো খোলা থাকার কারণে অঘটন বা অপকর্ম ঘটানোর কাজে বেগ পেতে হয় না।

সূত্র জানায়, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জামায়াত-শিবির স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগসহ সমমনা দলগুলোর সঙ্গে মিশে গিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আবার আওয়ামী লীগের বিরোধিতায় নেমে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলোর সঙ্গে এক কাতারে হয়ে এখন লিপ্ত রয়েছে। এদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের চরিত্রও অনেকটা একই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ এবং আরও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এদের একটি বড় ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে বহুকাল ধরেই। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এদের কোনভাবেই বিতাড়িত করা কোন আমলেই সম্ভব হয়নি। এখনও তারা আছে।

তবে কচ্ছপের ন্যায় মাথা লুকিয়ে। সুযোগ পেলেই ছোবল করতে একবিন্দু বিলম্ব হবে না এই যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত ও তাদের আর্মড ক্যাডার সংগঠন ছাত্রশিবিরের। এরা এক সময় ‘আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান’- স্লোগান দিত। এখন বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশী ইসলামী জাতীয়তাবাদের স্লোগান দেয়। মূলত এদের আসল লক্ষ্যই হচ্ছে দেশকে তালেবানী স্টাইলে নিয়ে যাওয়া। গোয়েন্দাদের তথ্যানুযায়ী, দেশে ইসলামী নামে যেসব সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে এসব সংগঠনের সঙ্গে শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরাট একটি অংশ ওতোপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। এদের মূল শিকড় জামায়াত-শিবিরের মাঝেই নিহিত। অনুরূপভাবে রাজধানী ঢাকা ও দেশের অন্য স্থানগুলোতেও একই স্টাইলে জামায়াত-শিবির তাদের বর্তমান আন্ডারগ্রাউন্ড কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বুদ্ধিজীবী, ব্লগার, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য যারা অবদান রেখে চলেছেন তারাই এখন তাদের টার্গেটে পরিণত হয়ে আছে। ইতোমধ্যে বেশ ক’জন ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে। বহু বুদ্ধিজীবীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গী তৎপরতার নামে এসব ঘটনা ঘটলেও এর নেপথ্যে জামায়াত-শিবিরের আর্মড ক্যাডারদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি কোন না কোনভাবে চলে আসে। এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য উত্তরণে এরা হেন কোন অপকর্ম নেই যা করতে পিছপা হয় না। গোয়েন্দা সূত্রগুলো আরও বলছে, ইসলামী আদর্শের বুলি প্রচার করে এরা মূলত প্রগতিশীল শক্তির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ দিয়েই তাদের কর্মকাণ্ড অতীতে যেমন পরিচালিত করেছে প্রকাশ্যে, এখন করছে গোপনে।

অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপির শেল্টারে অবস্থানে থেকে জামায়াত-শিবির তাদের মূল টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যেতে এখনও বদ্ধপরিকর। যদিও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জামায়াত-শিবিরের অবস্থান এখন একেবারে নড়বড়ে। তারপরও তারা এখনও একেবারে হতাশাগ্রস্ত নয়। এদের নীতি-নির্ধারক মহল যখন যেমন তখন তেমন হয়ে কাজ করার নীতিতে বিশ্বাসী। যে কারণে বিএনপির সঙ্গে এখনও জোটবদ্ধ থাকলেও রাজনৈতিক আন্দোলনে তারা বিএনপির সঙ্গে এখন আর যৌথভাবে মাঠে নেই। কিন্তু গোপন আঁতাত ঠিকই রয়েছে। বিএনপি বর্তমানে যে কঠিন রাজনৈতিক পথপরিক্রমা অতিক্রম করছে তার উত্তরণ ঘটলে জামায়াত-শিবিরের আসল স্বরূপ প্রকাশ্যে দৃশ্যমান হবে বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।

বাংলাদেশ সময়: ৯:০১:৩১   ৪৮৯ বার পঠিত