মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৫
শীতে শিশুর যত্ন।।
Home Page » এক্সক্লুসিভ » শীতে শিশুর যত্ন।।বঙ্গনিউজ ডটকমঃ
শীত ঋতু না আসলেও আবহাওয়ায় উত্তপ্ততা কমেছে।ঠান্ডা গরমের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে আসছে শীত ঋতু। প্রকৃতিতে এখন শীতের মৃদু পরশ অনুভব করা যাচ্ছে।মায়েদের কাছে শীত আসা মানে শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তা দ্বিগুন বেড়ে যাওয়া। সামান্য অসাবধানতায় বাচ্চার নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সর্দি লাগা, শরীরের তাপমাত্রা কখনো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে যাওয়া, খুসখুসে কাশি ইত্যাদি নানা সমস্যা লেগেই থাকে। নবজাতকদের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। কারো চামড়ায় ফুসকুড়িও দেখা দিতে পারে।
শীতের সময় এ ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রথমেই মায়েদের উচিৎ উষ্ণ গরম পানিতে শিশুদের গোসল করাতে হবে। ফ্যানের বাতাস কমিয়ে ঘুমালেও কোনো ক্ষতি নেই। তবে ঘুমানোর আগে অবশ্যই হাতের কাছে কাথা বা মোটা কাপড় রেখে ঘুমাতে হবে। রাত গভীর হলে বা ভোরে তার গায়ে কাথা জড়িয়ে দিলে ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে না। যদি সর্দি লেগে নাক বন্ধ হয়েই যায়, তবে নরসল ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। কাশি হলে ওষুধ ব্যবহার না করে ঘরোয়া প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে-10
আধা কাপ লাল চায়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এছাড়া আধা কাপ গরম পানির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, মধু বা তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ালে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
শিশুর ত্বকের যত্নে শীতের সময় শিশুকে প্রতিদিন সামান্য গরম পানি দিয়ে গোসল করালে ভালো হয়। গোসলের আগে সরিষার তেল ব্যবহার না করে জলপাই তেল ব্যবহার করাই ভালো। গোসলের পর বেবি লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন সাবান এবং এক দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।
রাতে ঘুমানোর আগে গ্লিসারিনের সঙ্গে পানি মিশিয়ে শিশুর হাত-পায়ে লাগানো যেতে পারে। শীতের শুরুতে বাচ্চাদের পোশাকের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। এ সময় খুব গরম কাপড় পরানোর দরকার নেই। তবে মোটা সুতি কাপড় পরানো যেতে পারে। আঁটসাঁট বা উলের কাপড় পরালে শিশুর শরীর ঘেমে ঘামাচি উঠতে পারে। রাতে গলায় ও মাথায় হালকা করে পাতলা কাপড় পেঁচিয়ে রাখলে ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে না। তবে টুপি বা মোজা পরে শিশুকে কখনোই ঘুমাতে দেওয়া উচিত নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৩:৫৪ ২৯৫ বার পঠিত