সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৫
ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করে বিশ্বকে তাক লাগালেন বাংলাদেশি গবেষক।
Home Page » এক্সক্লুসিভ » ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করে বিশ্বকে তাক লাগালেন বাংলাদেশি গবেষক।বঙ্গনিউজ ডটকমঃ
ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করে সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন বাংলাদেশি গবেষক ড. আতাউল করিম। বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানী এমন একটি ট্রেনের নকশা করেছেন- যা চলার সময় ভূমিই স্পর্শ করবে না! ফলে তার এ অভিনব আবিষ্কার পৃথিবীজুড়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে এ ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের চিন্তা ভাবনা চলছে। জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে এ ভাসমান ট্রেনের প্রকল্পটি হাতে নেন তিনি। দেড় বছরের মাথায় ট্রেনটির প্রোটোটাইপ তৈরি করতে সক্ষম হন। যেখানে ওল্ড ড্যামিয়ান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ৭ বছর চেষ্টা করেও সফলতা পায়নি। পরের সময়টায় নাম করা বিজ্ঞানীরা এ মডেলটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছে। কিন্তু কোনো খুঁত খুঁজে না পাওয়ায় এটা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ট্রেনের প্রচলিত ধারাকে পেছনে ফেলে ড. আতাউল করিম সম্পূর্ণ নতুন এক পদ্ধতিতে এই ট্রেনের ডিজাইন করেছেন। এ ট্রেনের গঠনশৈলীও খুবই আকর্ষণীয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য, এটা চলার সময় ভূমিই স্পর্শ করবে না। ট্রেনটি চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাবলীলভাবে চলবে। এর গতিও অনেক বেশি হবে। অনেকটা বুলেট ট্রেনের মতো! জার্মানি, চীন ও জাপানে ১৫০ মাইলের বেশি গতির ট্রেন আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে এগুলির সঙ্গে আতাউল করিমের ভাসমান ট্রেনের পার্থক্য হচ্ছে, ওই ট্রেনে প্রতিমাইল ট্র্যাক বসানোর জন্য গড়ে খরচ পড়ে ১১ কোটি ডলার। আর সে জায়গায় আতাউল করিমের আবিষ্কৃত এই ট্রেনে খরচ হবে মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ডলার। প্রসঙ্গত ড. আতাউল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আমেরিকার অ্যালাবামা ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এমএস, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএস এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি পান যথাক্রমে ১৯৭৮, ১৯৭৯ এবং ১৯৮১ সালে। পেশাগত জীবনে তিনি অত্যন্ত সফল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৭:২৩ ২৯৮ বার পঠিত