সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

বার্সার রাত সুয়ারেজময়

Home Page » খেলা » বার্সার রাত সুয়ারেজময়
সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৫



sssssssssssss.jpgবঙ্গনিউজ ডটকমঃ আগের দুই ম্যাচের নায়ক ছিলেন নেইমার। সুয়ারেজও মন্দ করেননি। কিন্তু এইবারের বিপক্ষে উরুগুইয়ান তারকা যেন নিজেকে মেলে ধরলেন আরও ঔজ্জ্বল্য নিয়েই। হ্যাটট্রিক করে দলকে এনে দিয়েছেন ৩-১ গোলের জয়।জয়টা কী খুব সহজ ছিল বার্সেলোনার জন্য? আপাতদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও এই ম্যাচেও শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল লুইস এনরিকের দল। সুয়ারেজের দুই গোলে বার্সা পরবর্তীতে এগিয়ে গেলেও এইবারের মতো দল কিন্তু যথেষ্ট প্রতিরোধই তৈরি করেছিল। গোলের সংখ্যা না বাড়ার হতাশাতেই কিনা ম্যাচের ৮৩ মিনিটে রেফারির সঙ্গে তর্ক করে ঘাড়ে নিয়ে নিলেন সরাসরি লাল কার্ডের খড়্গ। নিজের হ্যাটট্রিকটা পূরণ করে বার্সেলোনা সমর্থকদের যেন মহা উদ্বেগ থেকেই মুক্তি দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ।

নিজের এই সাফল্যে সুয়ারেজে কতটা উচ্ছ্বসিত সেটা বোঝা গেল খেলা শেষ হওয়ার পর স্প্যানিশ টেলিভিশন চ্যানেল ক্যানাল প্লাসে চোখ রেখেই। সবাইকে সুয়ারেজ মনে করিয়ে দিলেন গত রাতটা তাঁর জন্য ছিল এক বিশেষ দিন। গত বছর ঠিক এই দিনেই বার্সেলোনার জার্সি গায়ে অভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি, ‘দিনটা ছিল আমার জন্য বিশেষ কিছু। গত বছর এই দিনেই আমার অভিষেক হয়েছিল।’

পিছিয়ে পড়েই ম্যাচটা বার্সেলোনা কঠিন করে ফেলেছিল-এ কথা স্বীকার করেছেন সুয়ারেজ নিজেই, ‘ম্যাচটা আমরা কঠিন করেছি প্রথমে পিছিয়ে পড়েই। ব্যাপারটা বারবারই ঘটছে। ব্যাপারটিতে মনোযোগ দেওয়ার বোধ হয় সময় এসে গেছে।’

ম্যাচের শুরুতে সাবেক বার্সেলোনা কোচ, ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের প্রতি শ্রদ্ধা জানাকে কমলা রঙের টি-শার্ট গায়ে দিয়ে মাঠে নামেন এনরিকে-বাহিনী। ক্যানসারে আক্রান্ত ক্রুইফ একটা সময় পর্যন্ত ছিলেন বার্সেলোনার এক অবিচ্ছেদ্য অংশই।

খেলার ১০ মিনিটেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে এইবারে আসা স্ট্রাইকার বাস্তন সোয়েপ্ট গোল করে বার্সেলোনার সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন। এই মৌসুমে এ নিয়ে অষ্টমবার মতো পিছিয়ে পড়ে খেলা শুরু হলো বার্সার।

সান্দ্রো রামিরেজ কাল লিওনেল মেসির জায়গাতেই অবতীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু মেসি যে মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করেছেন, সে মানে নিজেকে নিয়ে যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে ২০ বছর বয়সী এই তরুণ-তুর্কির। তবে বার্সেলোনার সমতাসূচক গোলে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। সার্জিও বুসকেটকসের কাছ থেকে বল নিয়ে তিনি বক্সে যে ক্রসটি তোলেন, সেটাই দুর্দান্ত হেডে গোলে পরিণত করেন সুয়ারেজ। গোলটি নিয়ে অবশ্য একটু বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে।

টেলিভিশন রিপ্লে অবশ্য দেখাচ্ছিল বুসকেটসের কাছ থেকে বল পাওয়ার সময় রামিরেজ ছিলেন অফসাইডে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুয়ারেজ আবারও এগিয়ে নেন বার্সেলোনাকে। এবার তাঁর সহায়তায় ছিলেন নেইমার। দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নেইমারের বাড়ানো পাসেই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন উরুগুইয়ান তারকা।

হাভিয়ের মাসচেরানোর হঠাৎ কাল কী হয়েছিল, সেটা বুঝতে অবশ্য বিস্তর গবেষণারই প্রয়োজন আছে। দল এগিয়ে আছে, খেলা শেষ হতে মিনিট সাতেক বাকি, এই সময় কেন তিনি হঠাৎ মাথা গরম করলেন, ব্যাপারটা ঠিক বোধগম্য নয়। সরাসরি লাল কার্ড পাওয়ায় বার্সেলোনার এই আর্জেন্টাইন তারকা এখন চার ম্যাচ বহিষ্কারাদেশের শঙ্কার সামনে দাঁড়িয়ে। এমনটি হলে আগামী ২১ নভেম্বর রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ মহারণে তাঁকে দর্শক সারিতেই বসতে হতে পারে।

দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পর বাজে কিছুর শঙ্কা ছিল। কিন্তু সুয়ারেজ তা হতে দেননি। নেইমারের বাড়ানো বল বুকে নিয়ে দারুণ শটে তিনি পূরণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক। এই জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের সঙ্গে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই অবস্থান নিল বার্সেলোনা। সূত্র: এএফপি।

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৫:২১   ২৭০ বার পঠিত