শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫
রাকাব’র নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৮
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » রাকাব’র নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৮বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
অন্যের হয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সুপারভাইজার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে জালিয়াত চক্রের চার হোতা ও চার ভুয়া পরীক্ষার্থী রয়েছেন। তবে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে চার মাইক্রোবাসের চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে। বিকেলে রাজশাহী র্যাব-৫ এর সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। আটক চার ভুয়া পরীক্ষার্থী হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের ছাত্র ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার দুর্গাপুর গ্রামের গাজী রহমানের ছেলে মাইদুল ইসলাম (২৪), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের ছাত্র ও টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার খামারপাড়া এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে সাইম আহমেদ (২৫), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগের ছাত্র ও চাঁদপুরের দালাদী গ্রামের জাফর তালুকদারের ছেলে ওসমান গনি (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও ময়মনসিংহের ভালুকা থানার আংগারগাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে নুর আলম (২৪)। জালিয়াত চক্রের চার হোতা হলেন- ঢাকা কলেজের অনার্সের ছাত্র ও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার পানিয়ালপুকুর এলাকার হাছিম উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন (২৫), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার তালুক দুলালী গ্রামের এলাহী রাব্বানীর ছেলে জাকির হোসাইন (২৫), ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল এলাকার মঞ্জুর রহমানের ছেলে ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আল মামুন (২৭) এবং দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার রিয়াজনগর এলাকার মোফাখারুল ইসলামের ছেলে মোস্তফা কামাল (২৯)। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আব্দুস সালাম জানান, সোহেল, জাকির, মামুন মিঠু, কাজলসহ বেশ কয়েকজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জালিয়াতি করে আসছে। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেই সিন্ডিকেটটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ পর্যায়ে প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার আশ্বাসের ভিত্তিতে মূল প্রার্থীর পরিবর্তে ভুয়া মেধাবী প্রার্থী ব্যবহার করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এই চক্র একজন প্রার্থীর কাছ থেকে ন্যূনতম ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করে। যার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা অফেরতযোগ্য ও অবশিষ্ট টাকা প্রার্থী নির্বাচিত না হলে মূল পরীক্ষার্থীকে ফেরত প্রদান করার আশ্বাস দেয়। অপরদিকে, একজন মেধাবী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়ার বিনিময়ে দুই লাখ টাকা প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট এক লাখ ৮০ হাজার টাকা পরীক্ষার্থী নির্বাচিত হলে দেওয়া হয়। প্রতারক সিন্ডিকেট সদস্যদের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে জানা গেছে, ৮০ ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এই পরীক্ষার জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়। তিনি আরও জানান, সোহেল-জাকির সিন্ডিকেট প্রার্থীর প্রবেশপত্র পাওয়ার পর ফটোশপের মাধ্যমে ক্রসম্যাচ করে একটি নতুন ছবি তৈরি করে প্রবেশপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশপত্র তৈরি করে। র্যাবের অভিযানে ১১টি মোবাইল সেট, ১২টি ভুয়া প্রবেশপত্র ও নগদ এক লাখ ১১ হাজার ৬৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া জাকিরের ব্যবহৃত ফোনের মধ্যে ৮০ পরীক্ষার্থীর সব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৩:৩৬ ৩১৪ বার পঠিত