শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৫
কুনিও হোশি হত্যায় ব্যাংকের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » কুনিও হোশি হত্যায় ব্যাংকের কর্মকর্তা গ্রেপ্তারবঙ্গনিউজ ডটকমঃ জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলার আসামি হুমায়ুন কবীর হীরার এক আত্মীয়সহ দুজনকে পুলিশ রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তা।এরা হলেন- ব্র্যাক ব্যাংক রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি শাখার সেলস অ্যান্ড সার্ভিস অফিসার সুলতান নাহিদ ও ক্রেডিট কার্ড অফিসার এইচ এম শাহরিয়ার আলম।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুশান্ত চন্দ্র রায় বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে রংপুর জেলা পুলিশ ওই ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে কর্মস্থল থেকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
“সেখানে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে রংপুর পুলিশ। এরপর দুইজনকে ছেড়ে দেয়।”
বাকি দুজনকে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুরের কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, গ্রেপ্তার নাহিদ এ হত্যা মামলার আসামি হুমায়ুন কবীর হীরার খালাতো ভাই। আর শাহরিয়ার হলেন নাহিদের বন্ধু। তারা দুজনেই রাজশাহীর সাগরপাড়ায় থাকেন।
“মঙ্গলবার হীরাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নাহিদ ও শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছি।”
একই মামলায় রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাসেদ উন নবী খান বিপ্লবকেও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ব্র্যাক ব্যাংকের রাজশাহী শাখার এক কর্মকর্তা জানান, নাহিদের বাড়ি নাটোরের লালপুরে এবং শাহরিয়ারের বাড়ি ওই জেলার গুরুদাসপুর উপজেলায়।
“ছাত্র অবস্থায় তারা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে শুনেছি। তবে আমার কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই,” বলেন তিনি।
ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক খুনের পাঁচ দিনের মাথায় গত ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি গ্রামে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনজন মুখোশধারী তাকে গুলি করে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য।
আইএস এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জঙ্গি হুমকি পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’ জানালেও সরকারের দাবি, এর কোনো ‘ভিত্তি’ পাওয়া যায়নি।
নগরীর মুন্সিপাড়ায় জাকারিয়া বালার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন কুনিও। তিনি খুন হওয়ার পরপরই পুলিশ জাকারিয়া বালা, তার শ্যালক হীরা, স্থানীয় রিকশাচালক মোন্নাফ আলী, যে বাড়ির সামনে ওই জাপানি নিহত হন, সেই বাড়িওয়ালার ছেলে মুরাদ হোসেন, রংপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান লাকু ও সদস্য বিপ্লবকে আটক করে পুলিশ।
পরে কাউনিয়া থানার ওসি রেজাউল করিমের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় বিপ্লব ও হীরাকে। বাকিদের এখনও ‘জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে’ বলে জানালেও তাদের মামলায় আসামি করা হবে কি না- সে বিষয়ে কিছু বলছেন না পুলিশ কর্মকর্তারা।
কুনিও হোশির মরদেহ এখনও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। তাকে রংপুরে সমাহিত করা সম্ভব কি না তা জানতে চেয়ে জাপান দূতাবাস সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও এখন পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্
বাংলাদেশ সময়: ১০:১৭:৪৭ ২৩৮ বার পঠিত