বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০১৫

মার্শালের দিনে বগুড়াতেও রোমাঞ্চ

Home Page » ক্রিকেট » মার্শালের দিনে বগুড়াতেও রোমাঞ্চ
বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০১৫



সোহরাওয়ার্দী: ১২১, জুনায়েদ: ১০২

     

বঙ্গনিউজ ডটকমঃ প্রথম ইনিংসে তাঁর সেঞ্চুরির পরও ফলোঅন এড়াতে পারেনি দল। মার্শাল আইয়ুবের দল ঢাকা মহানগরকে তাই কাল সকালে আবার ব্যাট করতে নামতে হলো। নামতে হলো ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে। সেই লড়াইয়ে এবার জিতলেন মার্শাল। দলকে বাঁচালেন আরেকটি অসাধারণ সেঞ্চুরি করে। ম্যাচে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করা মার্শালকে এবার আর আউট করতে পারেননি খুলনার বোলাররা। পারেনি মহানগরকে অলআউট করতেও। প্রথম তিন দিন ছড়ি ঘুরিয়েও তাই ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো খুলনাকে।
অনুমিতভাবে ড্র হয়েছে খুলনার বরিশাল-সিলেটের ম্যাচটিও। রাজশাহীতে চা-বিরতির আগেই জয় নিশ্চিত করেছে রাজশাহী। তবে সব উত্তেজনা যেন জমা ছিল বগুড়ায় রংপুর-ঢাকা বিভাগের ম্যাচের জন্য। সোহরাওয়ার্দী শুভর ব্যাটিং-বীরত্বে ফলোঅন করা রংপুর ম্যাচটা প্রায় বাঁচিয়েই ফেলেছিল। প্রথম ইনিংসের ঘাটতি পুষিয়ে ঢাকা বিভাগকে ৫৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জিততে হলে লক্ষ্যটা পেরোতে হতো ৭ ওভারের মধ্যে। শুভাগত-ঝড়ে ঢাকা তা পেরিয়ে গেছে ৪.২ ওভারেই।
ইনিংসের প্রথম বলেই রানআউট রনি তালুকদার। উইকেটে এলেন শুভাগত। স্ট্রাইক পেলেন তৃতীয় বলে। বোলার সাজেদুল দিলেন ওয়াইড। ব্যাট-বলের সংযোগ হলো পরের তিন বলেই। আর তিনবারই বল আছড়ে পড়ল সীমানার বাইরে। তিন ছক্কায় ১৮ রান নিয়ে শুরু করা শুভাগত পরে ছয় মেরেছেন আরেকটি। ১৬ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৪০—দলকে জিতিয়েই ফিরেছেন শুভাগত।
এর আগে ৩ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা রংপুর থেমেছে ২৫৫ রানে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে তিনে ব্যাট করা সোহরাওয়ার্দী একাই টেনেছেন দলের ইনিংস। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সোহরাওয়ার্দী যখন আউট হলেন ইনিংস পরাজয় এড়িয়ে ফেলেছে রংপুর। ২৫০ বলে ১২১, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সোহরাওয়ার্দীর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
মিরপুরে প্রথম ইনিংসে দল ২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে এসেছিলেন মার্শাল। কাল এলেন ৩০ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ার পর। প্রথম ইনিংসের মতো কালও মার্শালকে রেখে তাড়াতাড়িই ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ। মার্শালের ম্যাচে দুই ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর সংগ্রহ মাত্র ৩ ও ১৪। এবারও আসিফ আহমেদকে নিয়ে বিপর্যয় সামলালেন মার্শাল। প্রথম ইনিংসে ১২০ রানের পর এবার দুজনের ১৪৩ রানের জুটি। ৭০ রান করে আসিফের বিদায়ের পর পুরোনো সঙ্গী মেহরাবকে নিয়ে বাকি সময়টা পার করে দিয়েছেন মার্শাল। পেয়ে গেছেন সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে জাতীয় লিগে জোড়া সেঞ্চুরিও। ২১৬ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১১৫ রান মার্শালের।
রাজশাহীতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন জুনায়েদ সিদ্দিক। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১৯৩ রান তুলেই ম্যাচের মীমাংসা করে দিয়েছেন অষ্টম সেঞ্চুরি পাওয়া রাজশাহী অধিনায়ক। শান্ত ফিরেছেন সেঞ্চুরি থেকে ৮ রানের দূরত্বে। ৭ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সাব্বির রহমান মাত্র ৩৮ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় তুলে নেন ৪৯।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল-সিলেট, খুলনা
বরিশাল: ৫২৭/৯ ডি. ও ৫৬ ওভারে ১৪৬/৭ (মোসাদ্দেক ৬১, ফজলে রাব্বী ৪৭; জায়েদ ২/১৪, অলক ২/১৮, রাহাতুল ২/৪৫)। সিলেট ১ম ইনিংস: ১৫৫.২ ওভারে ৪০০ (ইমতিয়াজ ১২৭, রাজিন ৮৯*, জাকির ৮৯, শানাজ ৫৮; সোহাগ ৪/৮৭, মোসাদ্দেক ২/৩৬, মনির ২/১১৪)।
ফল: ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন (বরিশাল)।

রাজশাহী-চট্টগ্রাম, রাজশাহী

চট্টগ্রাম: ৩৮৩ ও ১৮১। রাজশাহী: ৩০৮ ও ৫৫.৫ ওভারে ২৬০/৩ (জুনায়েদ ১০২, নাজমুল ৯২, সাব্বির ৪৯*; জুবায়ের ৩/৯২)।
ফল: রাজশাহী ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জুনায়েদ সিদ্দিক (রাজশাহী)।
ঢাকা বিভাগ-রংপুর, বগুড়া
ঢাকা বিভাগ: ৪৪৯ ও ৪.২ ওভারে ৫৫/২ (শুভাগত ৪০*; তানভীর ১/১১)। রংপুর: ২৪৮ ও ১১১.১ ওভারে ২৫৫ (সোহরাওয়ার্দী ১২১, তানভীর ২৬; মাহবুবুল ৪/৫১, শুভাগত ৩/৩৬, মোশাররফ ২/৭৬)।
ফল: ঢাকা বিভাগ ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোশাররফ হোসেন (ঢাকা বিভাগ)।
ঢাকা মহানগর-খুলনা, মিরপুর
খুলনা ১ম ইনিংস: ৪৫৫। ঢাকা মহানগর: ২৭১ ও ৮৩ ওভারে ২৪৮/৫ (মার্শাল ১১৫*, আসিফ ৭০; মিরাজ ২/৭৬)।
ফল: ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মার্শাল আইয়ু্ব (মহানগর)।

সোহরাওয়ার্দী: ১২১, জুনায়েদ: ১০২

বাংলাদেশ সময়: ১১:২০:৪৫   ৩১৯ বার পঠিত