শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০১৫

পরকীয়ার টানে ৫ সন্তানের মা উধাও, স্বামীর সঙ্গে ফের বিয়ে।

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » পরকীয়ার টানে ৫ সন্তানের মা উধাও, স্বামীর সঙ্গে ফের বিয়ে।
শুক্রবার, ২ অক্টোবর ২০১৫



121333_1

বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ

পরকীয়ার টানে বাড়ি ছাড়া হন পাঁচ সন্তানের জননী আছিয়া বেগম (৪০)। সেই প্রেমিকই তার সঙ্গে করেন প্রতারণা। উপায়ান্তর না দেখে ফিরে আসেন স্বামীর কাছে। কিন্তু ততক্ষণে পদ্মার পানি অনেক গড়িয়েছে। সমাজপতিরাও দেখালেন নিজেদের ক্ষমতা। ফের স্বামীর সঙ্গেই বিয়ে দিলেন আছিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার কৃষ্ণদিয়া গ্রামে। পাঁচ সন্তানের জননী আছিয়া বেগমকে তারই স্বামীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় সমাজের মাতব্বর আবদুল আজিজের নেতৃত্বে সমাজপ্রতিরা সালিশ বৈঠকে বসে বিয়ে দেন। ওই গৃহবধূ জানান, পরকীয়ার টানে তিনি ছুটে যান প্রেমিকের কাছে। প্রতারিত হয়ে ফিরে আসেন স্বামীর কাছে। আর এই সুযোগ নিয়ে সমাজপতিরা ভয়ভীতি ও চাপ দিয়ে কাবিননামা এবং কলেমা পড়িয়ে তাদের আবার বিয়ে দিয়েছে। আছিয়া ওই গ্রামের মো. মফেজ উদ্দিনের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী মিরপুর গ্রামের মৃত আসরাফ উদ্দিন শেখের মেয়ে। আছিয়া বেগম জানান, আসবাবপত্র শ্রমিক (কাঠমিন্ত্রি) মফেজ ও তার দাম্পত্য সংসারে এক ছেলে চার মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে দেয়া হয়েছে এবং লেখাপড়া করছে অন্যরা। তিন বছর আগে তার সঙ্গে মেয়ের জামাই বাড়ির সম্পর্কের এক আত্মীয় পাশ্ববর্তী মাগুড়াইল গ্রামের আজিজ খলিফার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন আজিজকে ধরে মারপিট করলে তারা ঢাকার সাভার এলাকায় পালিয়ে গিয়ে বাসা নিয়ে থাকেন। বিয়ে না করে কিছুদিন পরে সেখানে তাকে রেখে বাড়ি চলে আসেন আজিজ। তখন নিরুপায় হয়ে সেখানকার একটি টাওয়াল তৈরি কারখানায় কাজ নেন আছিয়া। কোরবানীর ঈদের পর তিনি সাভার থেকে বাবার বাড়ি চলে আসেন। এরপর মেয়েরা ও জামাই মিলে চারদিন আগে তাকে স্বামীর বাড়ি ফিরিয়ে আনেন বলেও জানান ওই গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর জামাই শহিদুল ইসলাম জানান, তার শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রহণ করলেও সমাজের মাতব্বর আবদুল আজিজ সালিশ বৈঠক ডাকেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে কৃষ্ণদিয়া গ্রামের সফিজউদ্দিনের বাড়িতে সালিশ বৈঠক হয়। সমাজপতিরা সালিশে দোররা মারতে উদ্যত হলে খবর দিয়ে পুলিশ আনা হয়। পুলিশের সামনে মাতব্বর ও সমাজপতিদের নির্দেশে স্থানীয় কাজী জহির উদ্দিন তার শ্বশুর-শাশুড়িকে তওবা পড়ান। এরপর ১০,০০০ টাকা দেনমোহর ধার্যে কাবিন করে কলেমা পড়িয়ে তাদের আবার বিয়ে দেয়া হয় বলে জানান শহিদুল ইসলাম। এ ব্যাপারে আবদুল আজিজ মাতব্বর বলেন, ওই গ্রামের ১২০টি পরিবারের নিয়ে গঠিত সমাজের মাতব্বর তিনি। মফেজ ও তার স্ত্রীর বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য এবং সর্বস্তরের লোকজন নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসে আলোচনা করা হয়। এ ঘটনায় আইন ও ধর্মীয় রীতিতে করণীয় সম্পর্কে কাজীর মতামত নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের দ্বিতীয় বিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। বিষয়টি জানতে জহির উদ্দিন কাজী ও স্থানীয় উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমার মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। শিবালয় থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৬:৪৩   ৩৫৭ বার পঠিত