বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০১৫
ফের পদোন্নতির উদ্যোগ!
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » ফের পদোন্নতির উদ্যোগ!বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
জনপ্রশাসনে আরেক দফায় পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের বিদেশ থেকে ফিরলেই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রমতে, এই পদোন্নতিটি হবে আগাম অর্থাৎ মধ্যবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে। বর্তমানে জনপ্রশাসনে ক্ষুব্ধ ও বঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা অনেক বেশি। এদের সংখ্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই নতুন এ পদোন্নতির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নতুন এই পদোন্নতি উদ্যোগের মূল উদ্যোক্তা। তিনি বিদেশ যাবার আগে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং তার গ্রিন সিগন্যাল আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। জানা গেছে, সৈয়দ আশরাফ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে শুরুতেই জনপ্রশাসনে ওএসডি’র সংখ্যা কমিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি তিনি ওএসডি কর্মকর্তাদের একটি তালিকাও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চেয়ে নিয়েছেন। অযৌক্তিকভাবে যারা দীর্ঘদিন ওএসডি হয়ে আছেন তাদের পদায়নের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যে বেশকিছু ওএসডি কর্মকর্তাকে পদায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি যাদের পদায়ন করা সম্ভব এদেরও পদায়ন করা হবে। সূত্র জানায়, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব এবং উপসচিব- এই তিন ধাপেই পদোন্নতি হবে। বিলম্বে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া যে দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হয়েছিলো তারা এখন পদোন্নতির যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। এরাই এই পদোন্নতিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তাছাড়া সার্বিকভাবে অন্যান্য লেফট আউট অর্থাৎ অতীতে যারা পদোন্নতি থেকে অযৌক্তিক কারণে বাদ পড়েছেন, এদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। বঞ্চিত ও ক্ষুব্ধদের সংখ্যা যত কমানো যায়, এটা চেষ্টা করা হবে। তবে লেফট আউট ছাড়াও বিশেষ করে যুগ্মসচিব ও উপসচিব পদে ফ্রেস কিছু কর্মকর্তা পদোন্নতির বিবেচনায় আসতে পারেন। অবশ্য এদের সংখ্যা কত হবে তা নির্ভর করছে লবিংয়ের চাপের উপর। উল্লেখ্য, প্রশাসনের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব ও উপসচিব তিনটি ধাপেই পদের চেয়ে অনেক বেশি কর্মকর্তা কর্মরত আছেন। মাত্র ৫ মাস আগে গত ৬ এপ্রিল একসঙ্গে ৮৭৩ জন কর্মকর্তাকে এই তিন ধাপে পদোন্নতি দেয়া হয়। বেশি কর্মকর্তা পদোন্নতি দেয়ার কারণে প্রশাসনে এমনিতেই এক লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক চাপের কারণে যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে হয়তো। আর এ কারণেই জনপ্রশাসনে ক্ষোভের মাত্র কমিয়ে আনা সরকারের জন্য অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব বিদেশ সফর শেষে রোববার বিকেল নাগাদ ঢাকা ফিরবেন। এরপর পদোন্নতির প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। জানা গেছে, শুরুতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সবার কাছে এসিআর চাওয়া হবে। উপসচিব পদের জন্য অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের হালনাগাদ তথ্য নেওয়া হবে। এসব কাজ সম্পন্ন করে পদোন্নতির মূল কাজ অর্থাৎ এসএসবি বৈঠক আহ্বান করতে আড়াই-তিন মাস সময় লেগে যেতে পারে বলে ধারণা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৮:৪১ ৩১৭ বার পঠিত