বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০১৫

নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এনজিওকর্মী সিজারে তাভেল্লা খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এনজিওকর্মী সিজারে তাভেল্লা খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি
বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০১৫



03_274093.jpgবঙ্গ নিউজ ডট কমঃ  রাজধানীর গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় ইতালীয় নাগরিক এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক এনজিওকর্মী সিজারে তাভেল্লা খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের পর দফায় দফায় বৈঠক করছেন পুলিশ ও র‌্যাবের কর্মকর্তারা। বিদেশিদের নিরাপত্তায় তাদের ওপর নজরদারিসহ বেশ কিছু নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মহানগর পুলিশ। কিন্তু তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত দুই দিনে আলামত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ছাড়া তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। সিসিটিভি ক্যামেরার দুই শতাধিক ফুটেজ থেকেও খুনি শনাক্ত করতে পারছেন না তদন্তকারীরা। কারণ সিসিটিভিতে অন্ধকার দেখা যাচ্ছে। খুনিরা মোটরসাইকেল আরোহী হওয়ায় পাঁচটি মোটরসাইকেলকে সন্দেহের আওতায় আনা হয়েছে। সিজারে তাভেল্লার ব্যাগ, মোবাইল ফোনসেট, ল্যাপটপসহ কিছু আলামত জব্দ করেও চলছে সূত্র খোঁজার কাজ।দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের পর ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দায় স্বীকারের বিষয়টিকে তারা এখন সবচেয়ে কম গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি এবং জঙ্গিবাদের প্রসঙ্গ সামনে আনতেই কোনো মহল এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। এই সন্দেহ দুটিকে সামনে রেখেই চলছে তদন্তকাজ। পাশাপাশি তাভেল্লার ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মস্থলের কোনো বিরোধ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত কয়েকজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত চলছিল। হত্যার তদন্তে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পক্ষ থেকে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তের পাশাপাশি হত্যার কারণ অনুসন্ধানে নিজস্ব গোয়েন্দা নেটওয়ার্কে কাজ শুরু করেছে ইতালি। জঙ্গি সংগঠন আইএস ওই হত্যাকাণ্ডর দায় স্বীকার করলেও তা নিজস্ব নেটওয়ার্কে নিশ্চিত হতে চায় ইতালির গোয়েন্দা সংস্থা। তবে তাভেল্লার হত্যাকাণ্ড আইএসের কাজ নয় বলে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ইতালির দূতাবাসও একমত হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

গতকাল দুপুরে ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে তাঁর মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করতে যান। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইএস আমাদের এখানে নেই। এই যে ধুয়া উঠছে তার সত্যতা পাইনি। ইতালিয়ান সরকারও যাচাই-বাছাই করছে বিষয়টি। আমরা নিশ্চিতভাবেই বলতে চাই, বাংলাদেশ কখনো জঙ্গিবাদ উৎসাহিত করে না। ইতালিয়ান প্রেস এসেছিল। তারাও আইএস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। আমরা তাদের বলেছি, আপনাদের কাছে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে শেয়ার করবেন। একটি লোক বিদেশ থেকে মাত্রই এলো। ওই লোকটিকে কে টার্গেট করবে তা বোধগম্য হয়নি। ভিডিও ফুটেজ আছে। তবে ক্লিয়ার নয়। তবু আমরা একটি জায়গায় যেতে পারব বলে আশা করছি।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ইতালির রাষ্ট্রদূত এসে আমাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই আমরা যে অ্যাকশন নিয়েছি তিনি তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা জানিয়েছি বাংলাদেশের তরফ থেকে এটা শকিং নিউজ ছিল। যত তাড়াতাড়ি পারি হত্যাকারীদের ধরে দেব। তিনি অনেকগুলো সন্দেহের ব্যাপারে আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন।’ ঘটনাটি রাজনৈতিক বলে মনে করছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন কিছুই মন্তব্য করব না।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় দু-তিনটি দেশ তার নাগরিকদের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করেছে, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত।’

‘জাতিকে বিব্রত করতেই খুন’ : গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ এই খুনের ঘটনাটি জাতিকে বিব্রত করার জন্য ঘটানো হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) সহায়তা করছে র‌্যাব।’ তিনি বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন বা বিব্রত করার জন্য ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। তবে সব বিষয়ই আমরা খতিয়ে দেখছি।’

সিসিটিভি ফুটেজ অস্পষ্ট, সন্দেহে পাঁচ মোটরসাইকেল : সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার গুলশানের ৯০ নম্বর সড়ক, ৮৩ নম্বর ও ৮৪ নম্বরসহ আশপাশের সড়কের কাছে থাকা দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে খুনিদের চলাচলের ব্যাপারে চিত্র উদ্ধারের চেষ্টা করেছেন গোয়েন্দারা। গতকাল আরো অর্ধশতাধিক ফুটেজ যাচাই করা হয়। তবে দুই শতাধিক ফুটেজ থেকেও খুনিদের চেহারা বা খুনের দৃশ্য বের করা যায়নি। র‌্যাব ও পুলিশের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থলের কাছের ডেল্টা টাওয়ারের ফুটেজসহ পাঁচটি ফুটেজ থেকে হত্যার আগে ও পরের বেশ কিছু চিত্র নিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এতে একটি ঘটনা ঘটার পর লোকজনের চলাচল এবং মোটরসাইকেলে তিন যুবকের চলাচল দেখা গেছে, যা অস্পস্ট। এদিকে হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে আশপাশের এলাকায় চলাচলকারী চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলকে সন্দেহের আওতায় এনেছেন গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থলের আশপাশের মোবাইল ফোন কললিস্টও যাচাই করা হচ্ছে। সেখানে স্বল্প সময়ের একটি কললিস্টকে সবচেয়ে বেশি সন্দেহের আওতায় আনা হয়েছে। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত এসব সূত্র ধরে খুনি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় গোপনের শর্তে বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে খুনি শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা প্রযুক্তির পাশাপাশি ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও চেষ্টা করছি।’

জানতে চাইলে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। এর জন্য অনেক আলামত ও উপাদান সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ তার একটি। এখনো কোনো সূত্র থেকে খুনি শনাক্ত করা যায়নি।’

তাভেল্লার কিছু খোয়া যায়নি : গুলশান-২ নম্বরের ৫৪ নম্বর সড়কের ১১/বি নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলায় বি/৫ নম্বর ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন তাভেল্লা। ওই বাড়ি ও অফিসে গিয়ে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করলেও সংশ্লিষ্টরা তা জানায়নি। তবে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সিজারে তাভেল্লার বাবার নাম Tavella Corrado। জীবনবৃত্তান্তে তাঁর ঠিকানার স্থানে লেখা আছে- V. Setteefoni, 14 Casola, Valsenio, 48010 RA। তিনি ইতালির ভেটেরিনারি ফেকন্ডি অব বোলাঙ্গা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে ভেটেরিনারি মেডিসিন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। তাভেল্লা ইতালির ভাষা ছাড়াও ইংরেজি, স্পেনিশ, ফ্রেঞ্চ ভাষা জানতেন। তিনি ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, সুদান, কোরিয়া, তিউনিসিয়াসহ ১২টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। তাভেল্লা ইতালিতে অক্সফামে কর্মরত ছিলেন। গত মে মাসে বাংলাদেশে এসে তিনি ১২ লাখ টাকা বেতনে আইসিসিও করপোরেশনে যোগ দেন। সিজারে তাভেল্লার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে কয়েক বছর আগে। এরপর এক জার্মান বান্ধবীকে নিয়ে তিনি ইতালিতে থাকতেন। তাঁর একটি মেয়ে আছে। বাংলাদেশে আসার পর গত জুন মাসে তাঁর বান্ধবী এখানে আসেন। তিনি তাভেল্লার বাসায় দুই সপ্তাহ অবস্থান করে চলে গেছেন।

সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর ১টার দিকে তদন্তকারী একটি দল ইতালীয় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাভেল্লার বাসার তালা ভাঙে। তাঁর বাসায় তল্লাশি চালিয়ে কাপড়, কাগজপত্র ও কিছু ব্যবহৃত জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি ল্যাপটপ, একটি স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৪ মোবাইল ফোন এবং একটি নকিয়া মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তাভেল্লার চার কক্ষের বাসা তল্লাশি করে মাত্র তিন হাজার টাকা পাওয়া গেছে।

গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির আহমেদ জানান, তাভেল্লা খুন হওয়ার পর ঘটনাস্থল ও তাঁর কাছ থেকে মূলত দুটি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। আলামত হিসেবে জব্দ করা সামগ্রীর মধ্যে আছে কাঁধে নেওয়ার একটি কালো ব্যাগ, একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন, ব্যাগের কিছু কাপড় ও পরিচয়পত্র। জানতে চাইলে মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি মানিব্যাগ বা টাকা নিয়ে বের হননি বলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে যা ছিল সবই উদ্ধার হয়েছে। কিছু খোয়া যাওয়ার কোনো তথ্য বা আলামত মেলেনি।’

ডিবির ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি, জরুরি বৈঠক

সিজারে তাভেল্লা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে ১১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল সকালে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মুনতাসিরুল ইসলাম। তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (পূর্ব) মাহবুব আলমকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটিতে রয়েছেন ডিবির চারটি জোনের (উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি), সহকারী কমিশনার (এসি) ও পরিদর্শকরা। মাঠপর্যায়ের রহস্য উন্মোচনে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ থেকে গঠিত কমিটি কাজ করবে। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে মাঠপর্যায়ের পুলিশকে ডেকে সতর্ক করেছেন ডিএমপির কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। সূত্র জানায়, বৈঠকে ইটালিয়ান নাগরিক হত্যার ঘটনায় কূটনৈতিক এলাকার প্রতিটি সড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিকমতো মনিটর করতে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। গুলশান জোনসহ তিনি সব ক্রাইম জোনের ডিসিদের বলেন, কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে খুনিদের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বিদেশিদের স্থাপনা, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল, ক্লাব, এনজিও, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বিদেশিরা যে পথ দিয়ে যাওয়া-আসা করবে সেই পথে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় ফুট প্যাট্রল ডিউটি, চেকপোস্ট, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। মোটরসাইকেলে তিনজন ওঠা যাবে না। রাতের ডিউটিতে পুলিশকে বুলেট প্রুপ জ্যাকেট পরে ডিউটি করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপির কমিশনার।

এ ছাড়া বিদেশিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য সব থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাদা পোশাকে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য সিটি এসবিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশি প্রতিষ্ঠান, আবাসন এবং গুরুত্বপূর্ণ হোটেল-রেস্তোরাঁ, ক্লাব, বিভিন্ন বিদেশি কর্তৃপক্ষ পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

‘সড়কবাতির যান্ত্রিক ত্রুটি’

হত্যাকাণ্ডের সময় সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের দুটি সড়কবাতি কিছু সময়ের জন্য নিভে যায়। পরে আবার জ্বলে ওঠে। এ ঘটনাও খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। সূত্র জানায়, মঙ্গলবারই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাতিগুলো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জ্বলছিল না বা জ্বলতে সময় লেগেছিল। এ ব্যাপারে গতকাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রতিদিনের মতোই ওই দিন সুইচ অন করার জন্য মাঠপর্যায়ে কর্মরতরা দায়িত্ব পালন করেছে। হয়তো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, কোনো প্রকার কারসাজি করে দুটি বাতি কিছু সময় বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। একজন সুইচম্যান ১৫-২০টি সুইচ অন করেন। একটি সুইচে ৩০-৩৫টি বাতি জ্বলে ও নেভে। দুটি বাতি বন্ধ করতে হলে পিলারে উঠতে হবে এবং একইভাবে চালু করতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সুইচ দেওয়ার অনেক পরও বাতি জ্বলতে পারে। এদিকে পুলিশ ও র‌্যাবের কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:১৯:০১   ৪৩৯ বার পঠিত