বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রতি চামড়ায় লোকসান ৫০০ টাকা।

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » প্রতি চামড়ায় লোকসান ৫০০ টাকা।
বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫



বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ

সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কোরবানির চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার মওসুমি ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। প্রতি চামড়ায় তাদের খেসারত হিসেবে লোকসান গুনতে হচ্ছে চারশ থেকে পাঁচশ টাকা করে। এতে মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে দাদন নিয়ে চামড়া ব্যবসায় নেমে পড়া ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

সূত্রমতে, চলতি বছরে সরকার মফস্বল এলাকার জন্য প্রতি বর্গফুট পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু ফরিয়ারা চামড়া কিনেছে প্রতি বর্গফুট ৬৫-৭০ টাকা দরে। আনুসঙ্গিক খরচসহ প্রতিটি পশুর চামড়া গড়ে কিনতে হয়েছে ২৪০০ টাকা দরে। কিন্তু জেলা ও উপজেলা সদরের মোকামে বিক্রি করতে গিয়ে মওসুমি ব্যবসায়ীদের গড়ে প্রতিটি চাড়মায় লোকসান দিতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এতে অনেকেই মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে কথা হয় উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের মওসুমি চামড়া ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন, কামাল মিয়া, নামা সিদলার শরিফুল মিয়াসহ অনেকের সঙ্গে। তারা জানান, ঈদের দিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ছোট-বড় গরুর চামড়া তারা এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা দরে কিনেছেন। এর সঙ্গে শ্রমিকের মজুরি ও পরিবহন খরচ যোগ করে প্রতি চামড়ায় আরো ১৫০ থেকে দুশ টাকা পড়ে। কিন্তু জেলা-উপজেলা সদরের চামড়ার মোকামে প্রতিটি চামড়া গড়ে ২২০০ টাকায় বাকিতে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।

লাভের আশায় চামড়া কিনে তারা প্রত্যেকেই ১৫-২০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনেছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী মদন, রবিউল আলম রবিনসহ অনেকেই জানান, এবার মওসুমি ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কিনে লবণজাত করে চরম বেকায়দায় পড়েছি। এখন আমাদের শেষ ভরসা ট্যানারি মালিকদের ওপর। তারা যদি চামড়ার ন্যায্যমূল্য না দেয় অর্থাৎ গড়ে প্রতি চামড়া ৩ হাজার টাকার বিক্রি করতে না পারলে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১১:৪৪   ৪৬৩ বার পঠিত