বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আইএসবিরোধী বিমান হামলায় এক হতে পারে রাশিয়াও!
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » আইএসবিরোধী বিমান হামলায় এক হতে পারে রাশিয়াও!
বঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের চলমান বিমান হামলায় রাশিয়াও যোগ দিতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই জাতিসংঘের অনুমোদন থাকতে হবে। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠকের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ কথা জানিয়েছেন।
এদিকে সিরিয়া সংকট নিয়ে পশ্চিমারা তাদের ‘অনড়’ দাবি থেকে খানিকটা সরে এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ মানুষ মারা গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। যুদ্ধের ইতি টানতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন চায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু সিরিয়ায় আইএসের উত্থানের কারণে তাদের এই চাওয়া-পাওয়ার হিসাবটা জটিল হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া আইএসের পতন কিংবা গৃহযুদ্ধের অবসান চাইলেও আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পক্ষপাতী নয়।
মোটামুটি এ রকমের একটি অবস্থান নিয়ে সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সিরিয়া সংকট নিয়ে কথা বলেন বিশ্বনেতারা। সেখানেও আসাদের থাকা-না থাকা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের মতপার্থক্য ফুটে ওঠে। পুতিন বলেন, ‘আইএসবিরোধী লড়াইয়ে আসাদকে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত হবে মস্ত বড় ভুল।’ অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স দাবি করে, আসাদকে অবশ্যই সরে যেতে হবে। যদিও তাদের এ দাবির বিষয়ে কড়া জবাব দেন পুতিন। বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো) সিরিয়ার নাগরিক নয়। সুতরাং সেখানকার নেতা নির্বাচনে তাদের নাক গলানো উচিত হবে না।’
তবে অধিবেশনের পর একান্ত বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছেন ওবামা ও পুতিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানান, আইএসবিরোধী চলমান বিমান হামলায় লড়াইয়ে শরিক হওয়ার চিন্তা তাদেরও আছে। তবে এ ধরনের হামলায় অবশ্যই জাতিসংঘের অনুমোদন থাকতে হবে।
যেকোনো সমঝোতার ক্ষেত্রে সবার আগে আসাদকে সরতে হবে-এমন দাবি থেকে পশ্চিমারা কিছুটা সরে এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, পশ্চিমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো-তাদের বড় শত্রু কে? আইএস নাকি আসাদ? অনেকেই মনে করেন আইএস। অবশ্য এ ধরনের স্বীকারোক্তি প্রকাশ্যে দিতে রাজি নয় পশ্চিমারা। তবে আসাদই একমাত্র সমস্যা নয়-এমন আভাস গত সোমবার ওবামার কণ্ঠেও পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘সিরিয়া সংকট নিরসনে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছি। তা রাশিয়া কিংবা ইরান-যেকোনো দেশই হতে পারে।’ সূত্র : বিবিসি।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩২:৪৫ ৪০১ বার পঠিত