মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সিরিজ হবেই :বিসিবি
Home Page » ক্রিকেট » সিরিজ হবেই :বিসিবিবঙ্গ-নিউজ ডটকমঃ
নিজেদের তরফ থেকে যা যা করা সম্ভব, তার সবই করার পর এখন অপেক্ষায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর সেই অপেক্ষাটা অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে সব রকম সংশয়ের মেঘ উবে যাওয়ার। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নিরাপত্তা প্রতিনিধিদলের বৈঠকের পর বিসিবি কার্যালয়ে ফিরে সেই অপেক্ষার কথাই জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, ‘আমরা যেটা বুঝতে পারছি, তারা তাদের ক্রিকেটার এবং প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনকে কিছুটা বিশ্বাস জোগাতে চাইছে। হয়তো এই কাজটি হয়ে গেলেই ওরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে। আমরাও চেষ্টা করছি, যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট সব নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাদের বৈঠক করিয়ে দিতে। তবে একটি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাওয়ার আশ্বাসের পর আর কিছু বাকি থাকে না। আমাদের যা যা করার কথা ছিল, আমরা তার সবই করেছি।’
সব করা হয়ে গেলেও অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গতকালই আসেনি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ আরো কিছু বৈঠকের সম্ভাবনার কথাই বলা হয়েছে। ওদিকে আবার সিএ-র টিম পারফরমেন্স ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ড নিশ্চিত করেছেন, অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য মঙ্গলবার রাতের বিমানের টিকিটও বুকিং দিয়ে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার কর্মদিবসের মধ্যেই ঢাকায় থাকা চার সদস্যের নিরাপত্তা প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে গেলে রাতেই রওনা দিতে বাধাও নেই। কিন্তু তার আগে সিএ-র প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শন ক্যারলের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের দলের ইতিবাচক পর্যবেক্ষণও পৌঁছাতে হবে। তবে ক্যারলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও সহসভাপতি মাহবুব আনামের সঙ্গে উপস্থিত থাকা নিজাম উদ্দিনের কাছে সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলই মনে হয়েছে। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশে না এলেও সিরিজের সূচিতে এর প্রভাব পড়বে বলে তাঁর মনে হচ্ছে না। তাঁর আশা, সিএ-র নিরাপত্তা প্রতিনিধিদল ঢাকায় থাকতে থাকতেই সফরে চলে আসবে স্টিভেন স্মিথের দল। ৩ অক্টোবর থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে একটি তিন দিনের ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। এরপর ৯-১৩ অক্টোবর দুই টেস্টের সিরিজের প্রথমটির জন্য নির্ধারিত ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। ১৭ অক্টোবর থেকে সিরিজের শেষ টেস্টটি হওয়ার কথা ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে।
এই সূচি মেনেই খেলা হওয়ার আশাবাদ এভাবেই ব্যক্ত করেছেন নিজাম উদ্দিন, ‘এই মুহূর্তে আমরা দেরির কোনো আশঙ্কা করছি না। সব ম্যাচ সূচি অনুযায়ীই হবে। অন্তত চেষ্টা করব, মূল ম্যাচগুলো সূচি অনুযায়ী রাখতে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের সূচি ২/১ দিন আগে থেকে হয় না, অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করতে হয়। কারণ এর সঙ্গে টিভি সম্প্রচারের ব্যাপারও জড়িত। তাই মূল ম্যাচগুলো সূচি অনুযায়ী রাখার চেষ্টা করব।’ অর্থাৎ বদলালেও কেবল তিন দিনের ওয়ার্ম আপ ম্যাচের সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ক্যারলদের বৈঠকের বিস্তারিত জানাতে গিয়ে নিজাম উদ্দিন বলেছেন, ‘ওরা এই মর্মে আশ্বস্ত হতে চাইছে যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সুবিধা ওদের দেওয়া হবে। এ জন্যই মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে সভা হয়েছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর অনেকগুলোরই প্রধানরা ওখানে ছিলেন। তাঁরা সবাই ও মন্ত্রী মহোদয় আশ্বস্ত করেছেন যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই দেওয়া হবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলকে যে মানের নিরাপত্তা দেওয়া হয়ে থাকে, এর সঙ্গে তাদের বাড়তি কোনো চাহিদা থাকলে তাও পূরণ করার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।’
বিসিবির প্রধান নির্বাহী অবশ্য এও জানিয়ে রেখেছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রতিনিধিদলও সুনির্দিষ্ট কিছু তাদের জানাতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:২১:৪১ ৪২৫ বার পঠিত