রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ১২টি ট্রলারডুবি।

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ১২টি ট্রলারডুবি।
রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫



বঙ্গনিউজ ডটকমঃ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত অন্তত ১২টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর এ ঝড়ের কবলে পড়ে আজ বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে অর্ধশতাধিক ট্রলার। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর অধিকাংশ জেলেরা অন্য ট্রলারে উঠতে পারলেও এখনও পর্যন্ত ১৫ জেলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, গত দুই দিন ধরেই সাগর উত্তাল রয়েছে। শনিবার রাত থেকে সাগরের ভয়াবহতা আরও বাড়তে থাকে। এ সময় ভারি বৃষ্টিসহ প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ার সাথে টিকতে না পেরে একে একে অনেক ট্রলার ডুবে যায়।
তিনি বলেন, সুন্দরবনসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের কচিখালি, নারকেলবাড়িয়া, কটকা, ডিমের চর, সাতবাম এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ১২টি ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর তিনি জেনেছেন। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক ট্রলারের সাথে এখনও কোনো যোগাযোগ করতে পারছে না ট্রলার মালিকরা।
তিনি আরও জানান, এসব ট্রলারের মধ্যে ঠিক কতগুলো ডুবে গেছে। আর কতগুলো সুন্দরবনসংলগ্ন বনভূমিতে আশ্রয় নিতে পেরেছে তা এখনও জানা যায়নি।
ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া একটি ট্রলারের জেলে আনোয়ার হোসেন (৪৭) জানান, শনিবার রাত থেকেই সাগর বেশ ক্ষানিকটা উত্তাল ছিল। এ সময় তারা নারকেলবাড়িয়া এলাকায় জাল ফেলে অপেক্ষায় ছিলেন তারা। একই এলাকায় আরও অর্ধশতাধিক ট্রলারও জাল ফেলে অপেক্ষায় ছিল। রবিবার ভোর রাতের দিকে আকস্মিকভাবে সাগরে ভীষণ ঝড়ের সৃষ্টি হয়। এতে সাগরের ঢেউ ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। একপর্যায়ে ঢেউয়ের প্রচণ্ডতায় তাদের ট্রলারটি উল্টে ডুবে যায়। ট্রলার ডুবে যাওয়ায় তিনিসহ আরও অনেক জেলে ঘণ্টাব্যাপী উত্তাল সাগরে ভেসে থাকার চেষ্টা করেন। পরে এফবি আল্লাহর দান এবং এফবি মায়ের দোয়াসহ বেশ কয়েকটি ট্রলার তাকেসহ শতাধিক ভাসমান জেলেকে উদ্ধার করে কূলে নিয়ে আসে।
এদিকে ডুবে যাওয়া সব ট্রলারের নাম এখনও জানা যায়নি উল্লেখ করে জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত যেসব ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে তার মধ্যে এফবি সোনাই, এফবি বাবুল, এফবি সোহাগ, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি খানজাহান আলী এবং এফবি মহারাজের নাম জানা গেছে। তিনি আরও জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে অধিকাংশ ট্রলারের জেলেরা অন্য ট্রলারে উঠতে সক্ষম হলেও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার এফবি মহারাজ নামের একটি ট্রলারের ১১ জেলে, এফবি আবদুল্লাহ ট্রলারের ১ জেলে এবং অপর দুটি ট্রলারের ৩ জেলেসহ মোট ১৫ জেলের এখনও পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৩:২৪   ৩৩৬ বার পঠিত