রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ।

Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » স্বেচ্ছাসেবকলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ।
রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫



বঙ্গনিউজ ডটকমঃ

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শনিবার বিকালে সেচ্ছাসেবক লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় দুইজন গুরুত্বর আহত এবং চারজন কে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে,গত ১৪ সেপ্টেম্বর সেচ্ছাসেবক লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলেও এতে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন পতিরাম চন্দ্র রায় ও রশিদুল ইসলাম বাবু,সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন গোলাম রব্বানী ও রাসেল মিয়া। কাউন্সিলে ভোটাভোটির সময় পতিরাম সমর্থক ও রশিদুল সমর্থকদের মধ্যে জাল ভোটের ঘটনা নিয়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হলে এসময় সেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এমপি পংকজ দেবনাথ ভোটাভোটির ফলাফল প্রকাশ না করে ঢাকায় ফিরে গিয়ে চারদিন পর পতিরামকে সভাপতি ও গোলাম রব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির ফলাফল ঘোষণা করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজয়ী সভাপতি ও পরাজিত সভাপতি প্রার্থী দুই সমর্থকদের মধ্যে পানির ফোয়ারা চত্ত্বরে লাঠি,লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল হালিম ও কর্মী সোহেল রানা আহত হয়। এতে পরাজিত সভাপতি গ্রুপের সমর্থকরা উপজেলা চত্ত্বরে চড়াও হলে আবারো দ্বিতীয় দফা দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ খবর পেয়ে সংঘর্ষ স্থান থেকে ফিরোজ,ডালিম,আক্তার,ও কবির নামের চারজন ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এব্যাপারে পরাজিত প্রার্থী রশিদুল ইসলাম বাবু বলেন,গত ১৪ সেপ্টেম্বরের কাউন্সিল ছিল গণতন্ত্রের নামে একটি প্রহসনের ভোট। আসলে এটি ছিল একটি পকেট কমিটি। আর ভোটাভোটি ছিল একটি নাটক।
বিজয়ী প্রার্থী পতিরাম রায় বলেন, আমি জরুরী কাজে মটর সাইকেলে বাহিরে যাচ্ছি ফিরে এসে কথা বলবো। কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার স্বত্যতা নিশ্চিত করে জানান,দুই গ্রুপের মারামারির কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। দলীয় সুত্রে জানা গেছে উভয় পক্ষই মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৭:৪০   ৩০৮ বার পঠিত