বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
গণতন্ত্রের হিসাব-নিকাশ
Home Page » মুক্তমত » গণতন্ত্রের হিসাব-নিকাশবঙ্গনিউজ ডটকমঃনানা আন্তর্জাতিক দিবসের মতো গণতন্ত্রেরও একটি আন্তর্জাতিক দিন রয়েছে। গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর সেই ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ পালিত হয়েছে। এ ধরনের দিবসগুলোর যেমন বছর বছর একটি নতুন থিম বা স্লোগান থাকে, তেমনি এবারের গণতন্ত্র দিবসেরও একটি মূল থিম রয়েছে। ইংরেজিতে ‘স্পেস ফর সিভিল সোসাইটি’। বাংলায় ‘নাগরিক সমাজের জন্য জায়গা বা স্থান’। মূল থিমটিকে সহজভাবে ব্যাখ্যা করলে যা দাঁড়ায় তা হচ্ছে, গণতন্ত্রে নাগরিক সমাজের জন্য একটি স্পেস বা জায়গা দরকার। নাগরিক সমাজের জোরালো উপস্থিতি একটি কার্যকর ও স্থিতিশীল গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত এবং নাগরিক সমাজ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পায় না। বর্তমান বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে সারা দুনিয়ার গণতন্ত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে খুব আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না। দুনিয়াজুড়ে গণতন্ত্রের অবক্ষয়ই লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের দুই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এ ব্যাপারে উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। প্রমোশন অব আ ডেমোক্রেটিক অ্যান্ড ইকুইট্যাবল ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার-সংক্রান্ত নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ আলফ্রেড দ্য জেয়াস এবং রাইটস টু ফ্রিডম অব পিসফুল অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনের স্পেশাল র্যা পর্টিয়ার মাইনা কিয়াই গণতন্ত্রের এই অবক্ষয় দশার জন্য ‘কিছু দেশে সরকারের দমন-পীড়নমূলক নীতি ও জনমানুষের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা দমনকারী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান’ প্রভাবকে দায়ী করেছেন। তাঁরা বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশের সরকারগুলোর কাছে এই অবক্ষয় রোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের চার দিন আগে ১১ সেপ্টেম্বর জেনেভা থেকে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে পাঠানো এক বার্তায় তাঁরা বলেন, গণতন্ত্র এখন একটি বহু ব্যবহার করা শব্দে পরিণত হয়েছে। তাঁরা মনে করেন শুধু নির্বাচন একটি দেশকে গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত করে না। এই নির্বাচনগুলোর মাঝের সময়ে কী ঘটে, গণতন্ত্রের জন্য তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা এ ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন, যেগুলোর উত্তরের মধ্যেই মিলবে কোন দেশে গণতন্ত্রের অবস্থা কী।
যে প্রশ্নগুলো দিয়ে তাঁরা গণতন্ত্র মাপতে চান, সেগুলো অনেকটা এ রকম; জনগণ কি কথা বলতে পারে? জনগণ কি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তাদের ইচ্ছার সঙ্গে যুক্ত বা প্রভাবিত করতে পারে? সরকারের নেওয়া নীতিগুলোর সঙ্গে জনগণের চাহিদা ও ইচ্ছার সম্পর্ক রয়েছে কি? কোনো বিষয়ে জনগণ তাদের ক্ষোভের প্রতিকার না পেলে শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েতের সুযোগ পায় কি না? শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভিন্নমত প্রকাশকে সহ্য ও তার বিকাশকে মেনে নেওয়া হয় কি না? এই প্রশ্নগুলো বিবেচনায় নিয়ে যেকোনো দেশের নাগরিক তাঁর দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা কী, তা মাপামাপি করে দেখতে পারেন।
গণতন্ত্র দিবসে বছর বছর নতুন থিম নেওয়ার পেছনে কারণ থাকে। মানবাধিকার-বিষয়ক জাতিসংঘের এই দুই বিশেষজ্ঞের মতে, গণতান্ত্রিক সমাজে নাগরিক সমাজের জায়গা সংকুচিত হয়ে আসছে। তাঁরা মনে করেন, গণতন্ত্র হলো আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের বাস্তবায়ন এবং বিশ্বকে আরও শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ানুগ ও স্থিতিশীল করার এক দরকারি উপকরণ। আর এই মহৎ উদ্দেশ্য হাসিলে নাগরিক সমাজ এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাঁরা জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর প্রতি নাগরিক সমাজের জন্য আরও বেশি কাজের ক্ষেত্র নিশ্চিত করার আহ্বান জানান, যাতে গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে তারা তাদের যৌক্তিক সুযোগ পায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ (স্পেশাল র্যা পর্টিয়ার) হাইনার বিলেনফোল্ড। তাঁর পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকের সঙ্গে কথা বলে তিনি এই ধারণা পেয়েছেন। তবে বিষয়টি শুধু জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের পর্যবেক্ষণের বিষয় নয়, বাংলাদেশে যে নাগরিক সমাজের কাজের ক্ষেত্র নানা কারণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে, সেটা সাদা চোখেই ধরা পড়ছে। অথচ বাংলাদেশের সৃষ্টি, একটি গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সৃষ্টির কাজে দেশের নাগরিক সমাজ সব সময়ই রাজনৈতিক শক্তির সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।
এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের শিক্ষা বা ৬ ও ১১ দফার আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এবং এর ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতাসংগ্রাম—নানা পর্যায় দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বা বুদ্ধিজীবীদের চিন্তাভাবনা বা মতামতে সমৃদ্ধ হয়েছে। রাজনৈতিক সমাজ ও নাগরিক সমাজ একাকার হয়েই তখন স্বাধীনতার পক্ষে নানা ক্ষেত্রে ও নানা মাত্রায় লড়াই করেছে। রাজনৈতিক অবস্থান এবং গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার কারণেই প্রাণ দিয়েছেন অসংখ্য বুদ্ধিজীবী। স্বাধীনতার পর শরণার্থী বা বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসনে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে নাগরিক সমাজের লোকজনের গৌরবময় ভূমিকার কথা কি ভুলে যাওয়ার বিষয়?
এরশাদের সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে এক করতে নাগরিক সমাজের ভূমিকাকে আমরা মনে করতে পারি। নব্বই সালে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তিন জোটের যুক্ত ঘোষণা ও রূপরেখা তৈরির ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিল নাগরিক সমাজ। আশির দশকজুড়ে গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লড়াই বা বন্যার সময়ে বিভিন্ন পেশাজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও ছাত্র-যুবকর্মীরা কীভাবে মাঠে থেকে কাজ করেছেন, রাজপথের দখল নিয়েছেন, তা আমাদের মনে আছে। আজ দেশে যে যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছে, তার কৃতিত্ব নিশ্চয়ই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের। কিন্তু এর ভিত্তি তৈরিতে গণ-আদালত বা জাহানারা ইমামের ভূমিকাকে আমরা অস্বীকার করব কীভাবে?
ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতায় টিকে থাকার হিসাব-নিকাশকে মাথায় রেখে রাজনীতি চলে। এটাই রাজনীতির নিয়ম। রাজনৈতিক দলগুলো এসব বিবেচনা থেকেই তাদের কর্মসূচি নেয় ও পালন করে। কিন্তু একটি সমাজে এমন অনেক বিষয় থাকে ও ঘটনা ঘটে, যেগুলো প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলো বিবেচনায় নেয় না বা অনেক ক্ষেত্রে সুযোগও থাকে না। এ ধরনের নানা ইস্যুতে অবস্থান ও মতামত তুলে বা কখনো জনমত সৃষ্টি করে নাগরিক সমাজ তার ভূমিকা পালন করে। রাজনৈতিক দলগুলো (ক্ষমতাসীন বা বিরোধী) কখনো চাপে পড়ে বা কখনো স্বেচ্ছায় এই বিষয়গুলো মেনে নেয়। গণতান্ত্রিক বিশ্বে তাই নাগরিক সমাজ গণতন্ত্রের সহায়ক শক্তি হিসেবেই বিবেচিত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে বর্তমানে নাগরিক সমাজবিরোধী একটি অবস্থান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে দেশে নাগরিক সমাজের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে আসার দায় যেমন সরকার ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর রয়েছে, তেমনি নাগরিক সমাজকেও এর দায় নিতে হবে। এটা খুবই হতাশার যে আমাদের নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশ রাজনৈতিক দলগুলোর দৃশ্যমান ও সরাসরি সমর্থকে পরিণত হয়েছে। অনেক ইস্যুতেই এখন সবাই আর একসঙ্গে মুখ খুলতে পারেন না। দলের সুবিধা বা অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে তাঁরা মুখ খোলেন বা বন্ধ রাখেন।
বাংলাদেশে এসে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ হাইনার বিলেনফোল্ড দেশটি নাগরিক সমাজের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে যাওয়া বা সামগ্রিক যে ধারণা পেয়েছেন, তা তিনি আগামী বছর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে জমা দেবেন। এ নিয়ে পরে যে বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, সেখানে তাঁর পর্যবেক্ষণ গুরুত্ব পাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আগেই বলেছি, গণতন্ত্র, মানবাধিকার বা কোনো দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি—এসব এখন আর শুধু নিজস্ব ব্যাপার নয়। সবকিছুই এখন বৈশ্বিক, আন্তর্জাতিক। বাংলাদেশের ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যে অংশগ্রহণমূলক হয়নি, তা যেমন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে এসেছে, তেমনি এ বছরের শুরুর দিকে দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যে সহিংসতা হলো, তাও তাদের বিবেচনায় রয়েছে। এই গত বুধবারও (৯ সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের এ বছরের সহিংসতা নিয়ে আলোচনা হলো।
ইইউ পার্লামেন্টের প্লেনারিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এক লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন পার্লামেন্টের সদস্য জিয়ানলুকা বুয়োনান্নো। তিনি তাঁর লিখিত প্রশ্নে মন্তব্য করেছেন, বিদ্রোহী গেরিলারা আন্দোলনের ক্ষেত্রে সাধারণত যে পথ নেয়, বিএনপির সমর্থক ও তাদের ইসলামি মিত্র জামায়াতে ইসলামী সে কায়দায় কাজ করেছে। সাধারণ লোকজনকে তারা শিকারে পরিণত করেছে, যানবাহনে আগুন দিয়ে নারী ও শিশুসহ অসহায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। তাঁর প্রশ্ন; এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও শান্তি নিশ্চিত করতে এবং ভয়ংকর অস্থিতিশীলতা এড়াতে দেশটি এবং এর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সহায়তার জন্য ইইউর উদ্যোগ বা পরিকল্পনা কী?
ইইউ পার্লামেন্টের পক্ষে এই লিখিত প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইইউ পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তানীতি-বিষয়ক প্রতিনিধি ফেদেরিকা মোঘেরিনি। ৯ সেপ্টেম্বর দেওয়া জবাবে তিনি বলেছেন, ইইউ যেকোনো সুযোগেই সরকার ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে উদ্বেগ তুলে ধরছে। সহিংসতা বন্ধ ও সমস্যার একটি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে রাজনৈতিক পক্ষগুলোকে অব্যাহতভাবে উৎসাহিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। অন্যদিকে, একটি সংলাপের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে মধ্যপন্থী কণ্ঠগুলোকে সহায়তা করে যাচ্ছে।
গণতন্ত্র দিনে দিনে বেশি মাত্রায় আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রের বিকাশ, জোরদার বা এর ক্ষয় রোধ করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ, সহায়তা বা তৎপরতা লাগে। গণতন্ত্রের জন্য আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালনে সেটাই উদ্দেশ্য। কোন দেশে গণতন্ত্রের কী অবস্থা তা নিয়ে বছর বছর একটি সূচক প্রকাশিত হয়। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে এই সূচকটি আবার মনে করা যেতে পারে। ‘গ্লোবাল ডেমোক্রেসি র্যা ঙ্কিং’-এর সর্বশেষ ২০১৪ সালের সূচকে ১১২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ৮০ নম্বরে। ভারতের স্থান ৭০-এ। উপমহাদেশের অন্য দেশগুলো (পাকিস্তান ১০৯, শ্রীলঙ্কা ৮৫, নেপাল ৮৯) বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। ২০১৪ সালের সূচকে বাংলাদেশ আগের বছরের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেশি পেয়েছে। অর্থাৎ, গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ২০১৪ সালে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে।
২০১৪ সালে বাংলাদেশে নির্বাচন হয়েছে, সে বছর গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশ এগিয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য দুই নির্বাচনের মাঝের বছরগুলোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের অবস্থা বোঝার জন্য জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা যে প্রশ্নের উত্তরগুলোকে জরুরি মনে করেন তা আগেই উল্লেখ করেছি। এসব প্রশ্নের জবাবের ওপরই নির্ভর করবে গণতন্ত্রের নতুন সূচকে বাংলাদেশ কোথায় জায়গা করে নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১১:২৪ ৪৪৪ বার পঠিত