শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
জীবনেও আছি, মরণেও আছি
Home Page » ফিচার » জীবনেও আছি, মরণেও আছিবঙ্গনিউজ ডটকমঃ যে শিশুটির কেউ নেই, এতিম—তার পাশে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। মৃত্যুর পর যিনি বেওয়ারিশ তার পাশেও থাকে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠানটির গোড়াপত্তন হয়েছিল কলকাতায়, ১৯০৫ সালে। ঢাকায় এর কার্যক্রম শুরু ১৯৪৭ সাল থেকে। এখন প্রতিষ্ঠানটির আছে লাশবাহী গাড়িসহ ২৪টি অ্যাম্বুলেন্স। ঢাকা শহরের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যায় বিনা মূল্যে। ঢাকার বাইরেও রয়েছে ৪৩টি জেলা শাখা। এ ছাড়া নানা সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ১১০ বছর পার করা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। এর কয়েকটি কার্যালয়, এতিমখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঘুরে এসে তৈরি হয়েছে এবারের মূল প্রতিবেদন।
২০০৯ সালের এক বিকেল। ঢাকার নীলক্ষেত মোড়। লোকজনের ভিড় লেগেই আছে। যানবাহনের শব্দ, মানুষের কোলাহলে মুখর মিরপুর রোড। এক মুহূর্তে পাল্টে গেল রাস্তার পরিবেশ। ফুটপাতের কিছু মানুষ ‘ধর ধর! গেল গেল!’ বলে ছুটে গেল রাস্তার মাঝখানে। দানব এক বাস চাপা দিয়েছে একজনকে। লোকজন ছুটে যেতে যেতেই মানুষটি আর নেই! কাছেই ঢাকা কলেজ। সেই কলেজের কয়েকজন ছাত্র ভিড়ে উঁকি দিয়ে দেখে তাদেরই এক পরিচিত মুখ রাস্তায় নিথর পড়ে আছে! খবর চলে গেল কলেজে। ছুটে এল অনেকেই। তাদেরই মধ্যে দুজন রায়হান ও আকিব। ভিড় ঠেলে মৃত মুখটার দিকে তাকাতেই স্তব্ধ হয়ে গেল দুই বন্ধু। দুর্ঘটনায় নিহত তরুণের নাম আলতাফ! তাদের প্রাণের বন্ধু।
বছর দু-এক আগের দুঃসহ স্মৃতি স্মরণ করছিল রায়হান ও আকিব। সেদিন সন্ধ্যায় ব্যস্ত রাস্তার মাঝখানে মৃত বন্ধুকে নিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিল তারা। ঘণ্টা কয়েক আগেও যে ছিল জলজ্যান্ত একজন মানুষ, এক মুহূর্তের দুর্ঘটনায় সে ‘লাশ’! বন্ধুর সেই লাশ কোথায় নেওয়া যায়, কীভাবে নেওয়া যায়? এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর মিলছিল না। কোনো হাসপাতালই সাড়া দিচ্ছিল না অ্যাম্বুলেন্স চাওয়ার পর। কেউ একজন এসে পরামর্শ দিল আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের ব্যাপারে। ফোন করা হলো। মিনিট বিশেক পরে আঞ্জুমান থেকে একটা অ্যাম্বুলেন্স এল। বন্ধুর লাশ নিয়ে বাগেরহাটে রওনা হলো রায়হান, আকিব ও তাদের বাকি সহপাঠীরা।
আঞ্জুমান মুফিদুলে এক বেলা
৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫। ঢাকার গেন্ডারিয়ার এস কে দাস রোডের ৫ নম্বর বাড়ি। রাস্তার পাশের এই বাড়িটির ফটকের ওপরে লেখা ‘আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম গেন্ডারিয়া কার্যালয়’। খোলা প্রধান ফটক। ভেতরে ঢুকে পড়ি আমরা। ঢোকার মুখে ডানে একটা অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে। আরও খানিকটা এগোতেই দালানের নিচতলায় কার্যালয়। আমরা গিয়ে বসলাম আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের ডিউটি অফিসারের কক্ষে।
হন্তদন্ত হয়ে সেই কক্ষে ঢুকলেন একজন মধ্যবয়সী। চোখমুখে রাজ্যের অনিশ্চয়তা। যতটা দ্রুত এসেছেন তার চেয়েও দ্রুত জানালেন তাঁর অ্যাম্বুলেন্স দরকার। ডিউটি অফিসার লোকটির কাছ থেকে বাড়ির ঠিকানা, গন্তব্যসহ প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে বললেন, ‘ব্যবস্থা হয়ে যাবে’। অনিশ্চয়তার রেশ না কাটলেও অ্যাম্বুলেন্স পেয়ে যে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন, মধ্যবয়সী লোকটিকে দেখে স্পষ্ট বোঝা গেল।
‘ঢাকা মহানগরীর ভেতর আমরা বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিই। যেকোনো ধর্ম-বর্ণের মানুষ এই সেবা নিতে পারেন।’ নিজেদের কার্যক্রম নিয়ে বলতে শুরু করলেন ডিউটি অফিসার মহিউদ্দিন মজনু। মনে পড়ল প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক কাজী আবুল কাসেমের কথাটি। তিনি বলেছিলেন, ‘আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য পরিচিত হলেও আমাদের রয়েছে সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম।’
তাদের সেসব কার্যক্রমের কয়েকটি রয়েছে গেন্ডারিয়াতেই। সেদিন আমরা ঘুরে বেড়িয়েছি তারই কয়েকটিতে। যেমন ৫ এস কে দাস রোডের বাড়িটির নিচতলার অংশ ছাড়া পুরো ভবনটি মেয়েদের এতিমখানা। যেটি পরিচিত ‘হোম’ নামে। সেখানে আছে ১৩০ জন এতিম শিশু ও কিশোরী।
‘হোমের’ দায়িত্বে থাকা সুপারের অনুমতি নিয়ে আমরা যাই ভেতরে। দুপুরের খাবার পর্ব তখন শেষ। ২০-২৫ জন শিশু বসে গেছে বই নিয়ে পড়তে। তাদেরই একজন সানজিদা আক্তার। বাবা মারা গেছেন। মায়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই চোখ জোড়া ছলছল করে উঠল। খানিক পরই চলে এলেন শিক্ষিকা রেহানা আক্তার। হাসিমুখে বললেন, ‘আমি একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়াই। আর এখানে পড়াই বিকেলে। শিশুদের কাছে এলে শান্তি পাই।’
আমাদের আলোকচিত্রী ততক্ষণে ক্যামেরা বের করেছেন ছবি তোলার জন্য। সানজিদা আক্তার হঠাৎ হাওয়া! একটু পর দেখা গেল নতুন জামা পরে সে হাজির। মুখে চওড়া হাসি। ছবি তুলবে সে। ছবি তোলার পাট চুকলে ‘হোম’ থেকে আবার রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি আমরা।
এস কে দাস রোড ধরে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে ১২/১ অক্ষয় দাস লেন। পুরোনো দোতলা এই বাড়িটি আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের জুনিয়র স্কুল। সেখানে এতিমখানার শিশুরা ছাড়াও অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরাও পড়ার সুযোগ পায়। আমরা স্কুলে ঢুকতে ঢুকতে ছুটির ঘণ্টা পড়ে গেছে। তবে সামনে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা, তাই তাদের জন্য বাড়তি ক্লাস নেওয়া হচ্ছিল। পাশের আরেকটি কক্ষে কম্পিউটার ল্যাব। সেখানে ব্যবহারিক ক্লাস করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। মন দিয়ে ক্লাস করছিল দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাসরীন জাহান। জিজ্ঞেস করলাম, ‘বড় হয়ে কী হতে চাও?’ নাসরীন কিছু না ভেবেই বলল, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার প্রকৌশল পড়তে চাই।’ নাসরীনের ‘জীবনের লক্ষ্য’ শুনে হাসি ফুটল কম্পিউটার প্রশিক্ষক আতিকুর রহমানের মুখে। বললেন, ‘নাসরীন খুব ভালো ছাত্রী। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছে। ওকে নিয়ে আমরা দারুণ আশাবাদী।’
গেন্ডারিয়া থেকে আমরা চলে আসি আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের উত্তর মুগদার অফিসে। এই কার্যালয়টিকে বলা হয় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের সেবাকেন্দ্র। এখানেই থাকে অধিকাংশ অ্যাম্বুলেন্স। এ ছাড়া এখানে রয়েছে দাফন সেবাকেন্দ্র। মুগদা কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক (সেবা) আবদুল হালিম বললেন, ‘আমরা বেওয়ারিশ লাশ নিশ্চিত হই পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। তারপর আজিমপুর ও জুরাইন কবরস্থানে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।’
আরও যত উদ্যোগ
বেওয়ারিশ লাশ দাফনের পাশাপাশি সামাজিক নানা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় চারটিসহ সারা দেশে গড়ে তুলেছে আটটি এতিমখানা, দুটি জুনিয়র হাইস্কুল, দুটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। দরিদ্র মানুষকে কর্মমুখী করার জন্য রয়েছে ‘দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প’। রয়েছে দুস্থ বয়স্ক ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা। দুর্যোগের সময় সরকারকে সহায়তা ও গরিব-নিঃস্ব পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও ত্রাণ বিতরণের কাজও নিয়মিত করে প্রতিষ্ঠানটি। সঙ্গে চিকিৎসাসেবা ও পুনর্বাসনের কাজেও তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বছরের বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ইউনিটের মাধ্যমে করা হয় সুন্নতে খতনা ক্যাম্প। এ ছাড়া বিশ্ব ইজতেমার সময় মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবাও দেয় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম।
আঞ্জুমান ট্রাস্ট ফান্ড
যে কেউ চার লাখ টাকার বেশি দান করে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করতে পারেন। এ অর্থ ব্যাংকে স্থায়ী হিসাবে রাখা হয়। যার লভ্যাংশ থেকে ২০ শতাংশ মূলধনের সঙ্গে যোগ হয় আর বাকি ৮০ শতাংশ দাতার ইচ্ছা অনুযায়ী খরচ করা হয়। বর্তমানে আঞ্জুমানের ৮০টি ট্রাস্ট ফান্ড রয়েছে।
যোগাযোগ
প্রধান কার্যালয়: ২৯১ ফকিরাপুল, ঢাকা। ফোন: ৭১৯১৮৮৯
কাকরাইল কার্যালয়: ৪২, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোড, কাকরাইল, ঢাকা। ফোন: ৯৩৩৬৬১১, ৯৩৪৬৯৭০
গেন্ডারিয়া কার্যালয়: ৫ এস কে দাস রোড, গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
ফোন: ৭৪৪১৬৬০, ৭৪৪০৭৮৬
মুগদাপাড়া কার্যালয়: ৩২১ উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা। ফোন: ৭২৭৪৪৩৫, ৭২৭২৭০৫
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মানে
অনেকেই মনে করেন, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম কোনো ব্যক্তির নামে একটি সেবা সংস্থা। আসলে আঞ্জুমান অর্থ সংগঠন, মুফিদুল হচ্ছে জনসেবা আর ইসলাম অর্থ শান্তি। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের অর্থ দাঁড়ায় ইসলামি জনসেবামূলক সংস্থা।
শুরুর কথা
ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাটের শেঠ ইব্রাহীম মোহাম্মদ ডুপ্লে ১৯০৫ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন এই প্রতিষ্ঠানটি। ইসলামি এই জনকল্যাণ সংস্থা মূলত পিছিয়ে পড়া মুসলিম ছেলেমেয়েদের শিক্ষা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে বেওয়ারিশ লাশ দাফন শুরু করার পরই প্রতিষ্ঠানটি পরিচিতি পায়। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করে। কলকাতায় প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সে সময়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম সালাহ্ উদ্দিন। ১৯৫০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কাজ শুরু করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। সে সময় সভাপতি ছিলেন হাবিবুল্লাহ বাহার চৌধুরী। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানটি আজকের এই অবস্থানে এসেছে। মানবসেবার জন্য প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৬ সালে পেয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কার।
মোহাম্মদ আজিম বখ্শ
মিডিয়া, পাবলিকেশন অ্যান্ড ব্রাঞ্চ অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম
‘আমরা মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকতে চাই’
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম সাধারণ মানুষের দানের অর্থে পরিচালিত একটি সংস্থা। সংস্থাটির ৩০০ সদস্যের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা পরিষদ গঠিত হয়। ৭৮ সদস্যের এই ব্যবস্থাপনা পরিষদের মেয়াদ হয় চার বছর। ঢাকার তিনটি কেন্দ্রের মাধ্যমে আমরা রোগী ও লাশ পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিই। সারা দেশে আমাদের ৪৩টি শাখা রয়েছে। এই শাখাগুলো স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে পরিচলিত হয়। যে কমিটিতে জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থাকেন। রাজধানীর তিনটি কার্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এতিমখানা ও প্রধান কার্যালয় মিলে আমাদের মোট কর্মীসংখ্যা ১৬০।
আমাদের আয়ের প্রধান উৎস দুটি—জাকাত ও সাদাকা। প্রতিষ্ঠানের কিছু দোকান রয়েছে, সেখান থেকে ভাড়া বাবদ কিছু আয় হয়। এ ছাড়া প্রতিবছর বেওয়ারিশ লাশ দাফনের জন্য সরকার অনুদান হিসেবে দেয় ৫৬ লাখ টাকা। বিদেশি কোনো অর্থ–সহায়তা নেওয়া হয় না।
কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডে নির্মাণ হচ্ছে আমাদের নিজস্ব বহুতল ভবন। আঞ্জুমান জে আর টাওয়ার নামে ভবনের ১৫ তলায় হবে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কেন্দ্রীয় অফিস। থাকবে আঞ্জুমানের টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। বাকি জায়গা ভাড়া দেওয়া হবে। এই ভবনের কাজ শেষ হলে আমাদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়বে। নতুন অনেক সেবা চালু করা যাবে। আমরা মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকতে চাই।
কাজী আবুল কাসেম
নির্বাহী পরিচালক, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৩:১৩ ৬৩৩ বার পঠিত