বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
মাছের ওজন বাড়াতে
Home Page » আজকের সকল পত্রিকা » মাছের ওজন বাড়াতেবিশেষ প্রতিবেদকঃ
মাছ ভালো রাখতে ব্যবসায়ীরা ফরমালিন ব্যবহার করেন। এটা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তবে প্রশাসনের কঠিন নজরদারির কারণে ফরমালিনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় ওজন বাড়ানোর কৌশল হিসেবে মাছের ভেতর লোহা ও ক্ষতিকর রাসাইনিক জেলি ব্যবহার শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিছু মুনাফালোভী আড়ত মালিক মাছে এসব ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে বাজারজাত করছে। এক কেজি মাছে অন্তত ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম জেলি মেশানো থাকে। ফলে ক্রেতারা প্রতারিত হন। এই ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো মাছ নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হোয়াইট গোল্ড বা সাদা সোনা বলে খ্যাত চিংড়ি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় চিংড়ির ওজন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন অপদ্রব্য (জেলি, সাগু, পানি, পাউডার, সাদা লোহা) পুশ করছে। ফলে একদিকে যেমন প্রতারিত হচ্ছেন দেশি ক্রেতারা, তেমনই বিদেশি ক্রেতারা চিংড়ি আমদানিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
গত মঙ্গলবার উত্তর ও দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকার বুড়িগঙ্গা মাছের আড়ত, আল্লাহর দান মৎস্য আড়ত ও আলী মার্কেট মৎস্য আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে অভিযান চালায় র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-২) এর একটি দল। অভিযানে ৫০০ কেজি ভেজাল গলদা চিংড়ি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক জেলি, সাগু ও সাদা লোহা ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়।র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলছে। মানুষ যাতে ভেজালমুক্ত খাবার খেতে পারেন সেজন্য র্যাবের এ অভিযান। কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় মাছের ওজন বাড়াতে ক্ষতিকর রাসায়নিক জেলি ব্যবহার করছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এসব মাছে একদিকে যেমন প্রতারিত হচ্ছেন দেশি ক্রেতা, অন্যদিকে বিদেশি ক্রেতারা এ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি দ্রব্য চিংড়ি আমদানিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তাই ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৯:০৩ ৩০৮ বার পঠিত