সোমবার, ৩১ আগস্ট ২০১৫
‘লড়তে এসেছি বেড়াতে নয়’
Home Page » খেলা » ‘লড়তে এসেছি বেড়াতে নয়’বঙ্গনিউজ ডটকমঃ বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে এত বড় ম্যাচের মুখোমুখি বাংলাদেশ এর আগে আর কখনও হয়নি। ৩ সেপ্টেম্বর পার্থে অ্যাওয়ে ম্যাচে মামুনুলদের প্রতিপক্ষ এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। যে ম্যাচে খেলতে কুয়ালালামপুরে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে একটি ফিফা প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলে কালই ‘সিটি অব লাইটে’ পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। আর দলের ডাচ কোচ লোডউইক ডি ক্রুইফ ম্যাচের আগে জানিয়ে দিলেন-অস্ট্রেলিয়াকে সমীহ করলেও ভয় পাচ্ছে না তার দল। তার দল পার্থে এসেছে লড়তে, বেড়াতে নয়।
ক্রুইফের সাফ কথা-‘এশিয়ার এক নম্বর দলের বিপক্ষে খেলা নিঃসন্দেহে কঠিনতম মিশন। সেজন্য আমরা শুরু থেকেই গেমপ্ল্যান নিয়ে হুশিয়ার ও সাবধানী। ইউরোপের বড় দলগুলোতে খেলা তারকাদের নিয়ে গড়া অজি দল অবশ্যই শক্তিতে অনেক এগিয়ে। তাদের আমরা সমীহই করি। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশ লড়াইতে পিছিয়ে থাকবে না। আমরা এখানে বেড়াতে আসিনি, নিজেদের ফুটবল সামর্থ্য প্রমাণ করতে এসেছি। ফল যা-ই হোক না কেন, আমরা লড়ব।’ নিজ দলের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে ডাচ কোচ বলছিলেন-‘আমার দলের সব ফুটবলারই পুরোপুরি পেশাদার। গত তিন বছরে তাদের অনেকেই ঘরের মাঠে তারকা মর্যাদা পেয়েছে। তাদের মান যথেষ্টই ভালো। তবে দলের ফুটবলাররা এখনও শিখছে। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বটাও তাদের জন্য এমনই একটি মিশন। আশা করি অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি থেকে ভবিষ্যতের রসদ জোগাড় করবে আমার খেলোয়াড়রা। সে আশাই করছি। যেটা পরে আরও ভালো খেলার অনুপ্রেরণা ও উত্সাহ জোগাবে।’
ক্রুইফ অবশ্য মানছেন, বাছাই পর্বের ‘বি’ গ্রুপ থেকে শীর্ষ দু’দলের একটি হিসেবে পরের রাউন্ডে ওঠা বাংলাদেশের জন্য কঠিনতম মিশন। তবে যতটা সম্ভব উঁচুতে থেকেই শেষ করতে চান তিনি। কারণ সেটা হলে বাংলাদেশ ২০১৯ সালের এশিয়া কাপে খেলার টিকেট পেতে পারে। বললেন-‘বাছাই পর্বের ম্যাচ শুরুর আগে আমার টার্গেটে ছিল তৃতীয় স্থান। অবশ্য এটাও আমাদের জন্য অনেক বড় টার্গেট। কিন্তু পেশাদার ক্রীড়ায় যখন আপনি খেলবেন তখন টার্গেট তো উঁচুতে স্থির করতেই হবে। কারণ শূন্য তো আপনার লক্ষ্য হতে পারে না। এখন স্লোগান জয়ের জন্য খেল।’
নিজ দলের দুর্বলতার কথাও জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ। বলেছেন-‘ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গোল হজম করার একটা বদঅভ্যাস গড়ে উঠেছে আমার দলের। এর কারণ সম্ভবত পুরো ৯০ মিনিট একই তালে ও মনঃসংযোগে ম্যাচে খেলতে না পারা। এটা দূর করার উপায়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়মিত খেলা। তিন বছর আগে আমি যখন প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলাম তখন তারা খেলত অনেকটা ইংলিশ স্টাইলে, লম্বা লম্বা পাসে। যাতে যখন-তখন প্রতিপক্ষের কাছে বল হারাত তারা। আমি তাদের বল দখলে রেখে খেলার কৌশল শেখাচ্ছি। ইতোমধ্যেই অনেকটা আয়ত্ত করতে পেরেছে। পথ এখনও অনেক বাকি, তবে এ পর্যন্ত আমি খুশি। ফুটবল বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় খেলা। প্রতিভাও রয়েছে দেশটিতে। এখন দরকার প্রতিভা তুলে এনে ঘষেমেজে চকচকে করা ও সঠিক পথ দেখানো। ধীরে হলেও বাংলাদেশের ফুটবল এগোচ্ছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫০:৩৫ ৩৩১ বার পঠিত