বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৫

বকনা বাছুরের জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ

Home Page » অর্থ ও বানিজ্য » বকনা বাছুরের জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ
বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৫



বকনা বাছুরবঙ্গনিউজ ডটকমঃ দেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় ৫ শতাংশ সুদহারে একটি বকনা বাছুরের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে চারটি বকনা বাছুরের জন্য দেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকার ঋণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ থেকে গত মঙ্গলবার জারি করা এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত খাতের মোট আট ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক এবং কর্মসংস্থান ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মল্লিক স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনধিক তিন মাসের মধ্যে প্রজননক্ষম হতে পারে এমন বকনা বাছুর কেনার জন্য ঋণ প্রদান করা যাবে। এক্ষেত্রে দেশি জাতের বকনা বাছুরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিটি বকনা বাছুর কেনার জন্য ৪০ হাজার টাকা এবং রক্ষণাবেক্ষণ বা লালনপালনের জন্য ১০ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতিটি বকনা বাছুরের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা যাবে।

এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪টি বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য অনধিক ২ লাখ টাকা এ স্কিমের অধীনে ঋণ প্রদান করা যাবে। সুবিধাভোগী ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারী এবং প্রান্তিক খামারিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এর আসল পরিশোধের সময়সীমা অনধিক ৩ বছরের স্থলে ৫৪ মাস হবে। এ ঋণ পরিশোধের জন্য ঋণগ্রহীতা অনধিক ১৪ মাস গ্রেস পিরিয়ড পাবেন। ঋণ গ্রহীতাকে ৩৬ থেকে ৫৪ মাসের (গ্রেস পিরিয়ডসহ) মধ্যে গৃহীত ঋণ সমন্বয় করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গাভীকে প্রকল্পের মেয়াদকাল পাঁচ বছরের মধ্যে প্রজননকালে প্রতিবারই কৃত্রিম প্রজনন নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক এ খাতে ঋণ বিতরণের সার্বিক অবস্থা (বিতরণসহ) বাংলাদেশ ব্যাংক এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপজেলা কার্যালয়ে মাসিক বিবরণী প্রেরণ করবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফর তাদের উপজেলা কার্যালয়ের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে নমুনা ভিত্তিতে এ স্কিমের আওতায় বিতরণকৃত ঋণের সদ্ব্যবহার যাচাই করবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপজেলা কার্যালয় ঋণের সদ্ব্যবহারের কোনো বিচ্যুতি পেলে তা সরাসরি ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক শাখাকে জানাবে। ব্যাংক শাখা ত্রুটি-বিচ্যুতি নিরসনে ব্যর্থ হলে প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপজেলা কার্যালয় তাদের অধিদফতরকে জানাবে। পরে অধিদফতর বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৭:৩৩   ২৯৭ বার পঠিত