বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৫
ফের পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ভাঙন
Home Page » প্রথমপাতা » ফের পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ভাঙনবঙ্গনিউজ ডটকমঃ তীব্র স্রোতের কারণে গত চারদিনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নদীভাঙনে লৌহজংয়ের কুমারভোগে পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের ৮০ বর্গমিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, ‘রোববার (২৩/৮/২০১৫) ইয়ার্ডের যে অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছিল, তার পূর্বে বুধবার (২৬/৮/২০১৫) সকালে আবার ভাঙন শুরু হয়।
রোববারের (২৩/৮/২০১৫) ভাঙনে ইয়ার্ডের প্রায় ২৫০ বর্গমিটার এলাকা নদীতে ভেসে যায়। এতে ইয়ার্ডের একটি জেটি, জেটির রাস্তা এবং অস্থায়ী কংক্রিট প্লান্ট বিলীন হয়। সে সময় বাঁশ ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। নতুন ভাঙন ঠেকাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানান প্রকৌশলী আবদুল কাদের।
এর আগে মূল সেতু এলাকা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রথম ভাঙন দেখা দেয় গত ২৭ জুন। মাওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার আট সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছিল। এছাড়া ভাগ্যকূলে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
নাব্য সঙ্কটে টানা ছয় দিন ধরে কার্যত বন্ধ থাকা শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি পারাপার স্বাভাবিক করতে নদীখনন শুরু হয়েছে গতকাল বুধবার সকাল থেকে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুটি বড় ড্রেজার দিয়ে আগামী এক সপ্তাহে নদীর তলদেশ থেকে প্রায় ৩ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. সুলতান উদ্দিন আহমেদ খান জানান, ‘ মঙ্গলবার (২৫/৮/২০১৫)দিনভর জরিপ শেষে বুধবার সকাল থেকে খনন শুরু হয়েছে।’পদ্মা সেতুর নদীশাসনের কাজে নিয়োজিত চীনের ঠিকাদার সিনো হাইড্রো কোম্পানির প্রতিনিধিসহ দেশি-বিদেশি ১২ জন বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তার একটি দল এই জরিপ চালায়।
প্রকৌশলী সুলতান বলেন, ‘পুরো নৌপথে ২২ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করতে হবে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় লৌহজং পয়েন্ট থেকে প্রায় ২-৩ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হবে।’ আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে নাব্য সঙ্কট কেটে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
স্রোতের সঙ্গে আসা পলি পড়ে ভরাট হচ্ছে পদ্মার লৌহজং পয়েন্টের মুখ। স্বাভাবিক ফেরি চলাচলের জন্য চ্যানেলে পানির গভীরতা সাড়ে ৭ ফুট প্রয়োজন হলেও গত কিছুদিনে তা ৬ ফুটের নিচে নেমে এসেছে। এ কারণে দুই সপ্তাহ ধরে মাওয়ার শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি পথে ফেরি চলাচল
মারাত্মকভাবে বিগ্নিত হচ্ছে। নদীর দুই পাশে সকালেও প্রায় সাড়ে ৪০০ যানবাহন আটকে থাকতে দেখা গেছে। বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক শেখর চন্দ্র রায় জানান, ‘কুসুমকলি’ ও ‘ক্যামেলিয়া’ নামের দুটি কে-টাইপ ফেরির মাধ্যমে মাঝে মাঝে অল্প কিছু গাড়ি পারাপার করার চেষ্টা হচ্ছে। নাব্য সঙ্কটের কারণ বড় ফেরি চালানো যাচ্ছে না।’
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩২:১০ ৩২৫ বার পঠিত