রবিবার, ২৩ আগস্ট ২০১৫

হিটলারের জীবনে রহস্যময় দিক

Home Page » বিশ্ব » হিটলারের জীবনে রহস্যময় দিক
রবিবার, ২৩ আগস্ট ২০১৫



বঙ্গনিউজ ডটকমঃস্বৈরাচারী অ্যাডল্ফ হিটলারের জীবন ঘিরে এমন কতগুলো তথ্য আছে যা জানলে চোখ 

কপালে উঠতে বাধ্য। এখানে উপস্থাপনা করা হলো সেরকম সাতটি অজানা তথ্য। এগুলো নিয়ে প্রথম থেকে গুঞ্জন থাকলেও আধুনিক ঐতিহাসিক এবং গবেষকরা মনে করেন‚ এই তথ্য সত্যি। যেগুলো নাকি তার ভাবমূর্তির সঙ্গে আপাতভাবে বিরোধী।

ইহুদি প্রেমিকা :

হিটলারের প্রথম জীবন অন্ধকারে ঢাকা। জীবনীকাররাও বেশি আলো ফেলতে পারেনি। 
ভিয়েনা-সহ অস্ট্রিয়ার নানা শহরে কেটেছিল তার বাল্য এবং কৈশোর। শোনা যায়‚ ১৬ বছর 
বয়সে প্রেমে পড়েছিলেন অ্যাডল্ফ। কিশোরী স্তেফানি আইজ্যাকের। পদবি দেখেই বোঝা 
যাচ্ছে‚ সে ছিল ইহুদি পরিবারের মেয়ে। কিন্তু লাজুক হিটলার কোনো দিন মুখ ফুটে বলতে 
পারেননি প্রেমের কথা।

অ্যাডল্ফের প্রেমে নাকি অনেক মেয়েই পড়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে স্তেফানি কোনো দিন 
পাত্তা দেয়নি তাকে। অব্যক্ত প্রেম নিয়ে কবিতা‚ গান লিখেছিলেন হিটলার। এমনকি‚ 
অবসাদে আত্মঘাতী হওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। অনেক ঐতিহাসিক বলেন‚ কৈশোরে ইহুদি 
কন্যার কাছ থেকে আসা এই আঘাত তার ইহুদি বিদ্বেষের এক কারণ।

ধূম্রপানের বিরোধিতা :

রোজ গড়ে ২৫-৪০ টি সিগারেট খেতেন তিনি। কিন্তু ধীরে ধীরে ছেড়ে দেন। নাৎসিরা দেশ 
জুড়ে স্মোকিং ব্যান করতে উদ্যোগ নেয়। বন্ধ করে দেয়া হয় প্রকাশ্য ধূম পান। পরে এই 
নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। কিন্তু মানুষের মনে তামাকের প্রতি বিদ্বেষ থেকেই যায়।

একটি অণ্ডকোষ :

হিটলারের যৌনাঙ্গ নিয়ে প্রথম থেকেই বহু গুজব ছিল। কিন্তু মৃত্যুর পরে অটোপ্সিতে নাকি 
প্রমাণিত হয় সত্যি হিটলারের দেহে একটি অণ্ডকোষ ছিল। হয়তো রণাঙ্গনেই এই অঙ্গহানি 
হয়েছিল তার।

১০০ % নিরামিষাশী :

এত মানুষের রক্তে যার হাত লাল হয়েছিল‚ সেই হিটলার ছিলেন সম্পূর্ণ নিরামিষাশী। 
এমনকি‚ পশুপ্রাণীর প্রতি তিনি ছিলেন অত্যন্ত সদয়। পশুদের উপর নির্মমতা রুখতে আইন 
প্রণয়ন করেছিলেন তিনি। বলা হয়‚ এই সদয় মনোভাব যদি মানুষের উপর দেখাতেন‚ 
পৃথিবীর ইতিহাসে রক্তপাত অনেক কম হতো।

সন্ন্যাসী হওয়ার স্বপ্ন :

চার বছর বয়সে একবার জলে ডোবার হাত থেকে তাকে বাঁচান এক খ্রিস্টীয় সন্ন্যাসী। তারপর 
থেকেই হিটলারকে পেয়ে বসে সন্ন্যাসী হওয়ার স্বপ্ন। গির্জায় গিয়ে নিয়মিত ক্যারল গাইত বালক হিটলার। সেই হিটলার পাল্টে যান তার ভাই এডমুন্ডের মৃত্যুর পর থেকে। সবার থেকে 
নিজেকে সরিয়ে নেন। মনে করা হয়‚ এই বিচ্ছেদ থেকেই হিংস্রতার বীজ তার মনে বাড়তে 
থাকে।

খাবারে ইস্ট্রোজেন :

তার চরিত্রে আগ্রাসন কমাতে নাকি মার্কিন এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দারা হিটলারের খাবারে 
মিশিয়ে দিতেন ফেমিনিন হরমোন‚ ইস্ট্রোজেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ইস্ট্রোজেন দমিয়ে 
রাখতে পারেনি তাকে।

বিড়াল-আতঙ্ক :

দোর্দণ্ডপ্রতাপ ফুয়েরার যমের মতো ভয় পেতেন একটি প্রাণীকে। সেটি হলো বিড়াল। বিড়াল 
থেকে ভয়‚ বা Ailurophobia-র শিকার ছিলেন তিনি। হয়তো‚ ছোটবেলার কোনো স্মৃতি 
তাড়া করে বেড়াত তাকে। হিটলারের মতো এই আতঙ্কের শিকার ছিলেন আনো দুই 
স্বৈরাচারী‚ মুসোলিনি এবং নেপোলিয়ন বোনাপার্তে।

বাংলাদেশ সময়: ২০:০৮:০১   ২৩৪ বার পঠিত