শনিবার, ৮ আগস্ট ২০১৫

মুস্তাফিজুরকে ওই কাটার শিখিয়েছেন যে টাইগার!

Home Page » এক্সক্লুসিভ » মুস্তাফিজুরকে ওই কাটার শিখিয়েছেন যে টাইগার!
শনিবার, ৮ আগস্ট ২০১৫



বঙ্গনিউজ ডটকমঃ বাংলাদেশের ক্রিকেটাকাশে নতুন ধ্রুবতারা মুস্তাফিজুর রহমান। বোলিং-জাদুতে এরই মধ্যে হয়ে উঠেছেন দলের ভরসা। সামনের দিনগুলোতে আরো অনেক দূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

প্রশ্ন : জাতীয় দলে হঠাৎ ডাক পাওয়ায় অবাক হয়েছিলেন?

মুস্তাফিজুর রহমান : খুব যে অবাক হয়েছি, তা বলব না। আমি তো অনেক দিন ধরেই খেলছি। অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৯, ‘এ’ দলে, ঘরোয়া ক্রিকেটে। আর সব জায়গায় উইকেট পাচ্ছিলাম। অন্য সবার মতো জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ছিল আমারও। জানতাম নিজের কাজ ঠিকঠাক করতে পারলে সুযোগ আসবে। সুযোগ আসলে সেটি যেন কাজে লাগাতে পারি, সেটি ভেবেছি সব সময়।

প্রশ্ন : সুযোগটি যে এভাবে কাজে লাগাতে পারবেন, ভেবেছিলেন? প্রথম ওয়ানডেতে, প্রথম টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়ে?

মুস্তাফিজ : ম্যান অব দ্য ম্যাচ তো আর বলেকয়ে হওয়া যায় না। আবার প্রতি ম্যাচে চার-পাঁচ উইকেট করেও পাওয়া যায় না। আমি তাই এসব ভাবিনি। আমার যা সামর্থ্য রয়েছে, সেটি দিয়ে বোলিং করতে চেয়েছি। আমার সৌভাগ্য যে, তাতে অনেকগুলো উইকেট পেয়ে যাই।

প্রশ্ন : এই উইকেটের অনেকগুলো আবার ‘কাটার’-এ পাওয়া। এটি কেমন লাগে?

মুস্তাফিজ : কাটার দিতে মজা লাগে। আর আগেও তো আপনাদের বলেছি, ছোটবেলা থেকে এটি আমি শিখিনি। বিজয় ভাইয়ের কাছেই আমার প্রথম কাটার শেখা। বিজয় ভাই (এনামুল হক) একদিন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নেটে আমাকে বলেছিল, ‘তুই স্লোয়ার বল করতে পারিস না? কর তো’। চেষ্টা করলাম, তাকে আউটও করলাম। ওই আমার মনে হলো যে, এই বোলিংটা হয়তো আমাকে দিয়ে হবে। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও যখন ওই কাটার করে ব্যাটসম্যানদের আউট করি, মজা লাগে।

প্রশ্ন : আগে যেসব ক্রিকেট খেলেছেন, এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য কতটা?

মুস্তাফিজ : অনেক পার্থক্য। এখানে খারাপ বল মানেই চার-ছক্কা। ওরা কোনো সুযোগ মিস করে না। আগে যেসব জায়গায় খেলেছি, খারাপ বলেও ব্যাটসম্যান অনেক সময় মারতে পারত না। এখানে মেরে দেয়। অনেক সতর্ক থেকে তাই বোলিং করতে হয়।

প্রশ্ন : সাতক্ষীরার ১৯ বছরের এক তরুণ হঠাৎ করে বাংলাদেশ জাতীয় দলে। খাপ খাওয়াতে সমস্যা হয়নি?

মুস্তাফিজ : ওই যে বললাম, জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন আমার সব সময় ছিল। যে কারণে প্রস্তুতিও ছিল। তবু দেশের হয়ে খেলা বিরাট পার্থক্য। সিনিয়ররা আমাকে একেবারে ছোট ভাইয়ের মতো দেখেছে। যে কারণে সবার সঙ্গে মেশা সহজ হয়েছে। ওনারা আমাকে এভাবে সহজ করে না দিলে মাঠে এত ভালো খেলতে পারতাম না। মাশরাফি ভাইয়ের কথা আর কী বলব! ওনার মতো মানুষ হয় না। আর কোচও আমাকে সাহস দিয়েছেন সব সময়।

প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মাত্র ১১ ম্যাচেই ২৫ উইকেট। এখানে দাঁড়িয়ে তিন-চার শ উইকেটের স্বপ্ন কি দেখেন?

মুস্তাফিজ : না না। সেটি তো অনেক পরের ব্যাপার। আমি কত উইকেট পাব, সেটি নিয়ে একেবারেই ভাবতে চাই না। শুধু যদি দশটা বছর খেলতে পারি, তাহলেই হবে। আর এখনকার মতো উইকেট তো আর সব সময় পাব না। সামনে খারাপ সময় আসবে। তখনো বোলিংটা জায়গামতো করতে চাই। তাহলে আবার দেখবেন উইকেট পাব

বাংলাদেশ সময়: ১২:১৭:৩৩   ৪১৮ বার পঠিত