বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট ২০১৫
মিয়ানমারে বন্যায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত
Home Page » বিশ্ব » মিয়ানমারে বন্যায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহতবঙ্গনিউজ ডটকমঃমিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বন্যায় দেশটিতে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগটিতে দেশটির কয়েক হাজার মানুষ আশ্রম ও মাঠে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। দেশটিতে টানা বর্ষণে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারী মৌসুমী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার সরকার মায়ানমারের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি এলাকাকে ‘জাতীয় দুর্যোগ কবলিত অঞ্চল’ বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মনিপুর রাজ্যের চান্ডেল এলাকায় প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ভারতের এ রাজ্যটি মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় চাইন রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত।
মিয়ানমারে প্রায় দেড় লাখ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
মিয়ানমারের যে চারটি অঞ্চলে এই বন্যায় সবচেযে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন ও চাইন রাজ্যও রয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলের কালাই এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন অঞ্চলের রাজধানী সিতউই। কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। নগরীগুলোর সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
রাখাইনে ইতোমধ্যেই এক লাখ ৪০ হাজার লোক গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে। এদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা মুসলিম। তিন বছর আগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর এরা আবার উপকূলবর্তী অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, রাখাইনের মাউংদাউ শহরে বহু বসতবাড়ি ও অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গাছপালা উপড়ে গেছে এবং রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সিতউইর উপকণ্ঠে অবস্থিত বুমাই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, বৃহস্পতিবারের ঝড়ের পর বন্যায় পার্শ্ববর্তী কয়েকটি আশ্রয় শিবিরের নবনির্মিত বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মানুষকে প্রাণ নিয়ে পালাতে হয়েছে। অনেকে এখন থেচাউং ও বুমেই গ্রামের স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘বন্যায় আরো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। রাখাইন রাজ্যের কোনো কোনো স্থানে আগামী কয়েকদিনে শক্তিশালী বাতাস বইতে পারে।’
জাতিসঙ্ঘ আরো জানায়, উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় স্থানীয় সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর সাথে সৈন্যরাও কাজ করছে। কাচিন ও কারেন রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। -
বাংলাদেশ সময়: ১:৪৮:২৫ ১৯৬ বার পঠিত