শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০১৫

সৈয়দপুরে বর্ষাতেও খরায় পুড়ছে ফসলের মাঠ

Home Page » জাতীয় » সৈয়দপুরে বর্ষাতেও খরায় পুড়ছে ফসলের মাঠ
শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০১৫



Aman Khetবঙ্গনিউজ ডটকমঃশ্রাবণের বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিলেও নীলফামারীর সৈয়দপুরে বর্ষাতেও খরায় পুড়ছে ফসলের মাঠ। বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা আমন চারা লাগাতে পারছেন। আর যারা আগেই আমনের চারা রোপন করেছেন সেগুলোও প্রচন্ড দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে। আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিনের প্রচন্ড তাপের কারণে লোকজনও বাইরে বেরুতে পারছেন না। উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙালিপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে শ্যালো ও মর্টার চালিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন এবং আমনের চারা রোপন করছেন। বৃষ্টির পানিতে লাগানো আগাম আমন ক্ষেত পানির অভাবে চুপসে যাচ্ছে। ক্ষেতের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ফলে ভয়াবহ সংকটে পড়েছে আমনের আবাদ। পানির অভাবে ধান ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। জমির ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। সৈয়দপুরের সর্বত্র পানির স্তর প্রায় ৩/৪ ফুট নীচে নেমে গেছে। কৃষকরা মাটি গর্ত করে ৭/৮ ফুট নীচে শ্যালো মেশিন স্থাপন করেও চাহিদা মোতাবেক পানি পাচ্ছেন না। এছাড়া কৃষকরা জমিতে পানি দেয়ার জন্য শ্যালো মেশিন মালিকদের পেছনে পেছনে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। কিন্ত পানি দেয়ার সিরিয়াল পাচ্ছেন না। মাঝে মধ্যে পানির জন্য বাক- বিতন্ডাও হচ্ছে।
দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে নদ-নদী, খাল- বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ওই পানির উপর নির্ভরশীল হয়ে যারা আমনের জমি আবাদ করেছেন তারা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তারা কোথাও পানি পাচ্ছে না। এতে ধান ক্ষেতগুলো পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। বিবর্ণ হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আগাম লাগানো ধান গাছ। কৃষকরা ফসল বিপর্যয়ের আশংকা করছেন এবং সেইসাথে কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পানির জন্য এরই মধ্যে বিভিন্নস্থানে প্রার্থণা অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোমায়রা মন্ডল বাংলা নিউজকে জানান, গোটা উপজেলায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এ পর্যন্ত ৩০ ভাগ জমিতে আমনের চারা লাগানো হয়েছে। বৃষ্টির অভাবে অবশিষ্ট জমিতে শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে কৃষকরা চারা রোপনের কাজ করছেন। এর মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩০:১৬   ২৪৫ বার পঠিত