মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০১৫

আঙ্কারার সামরিক অভিযান আঞ্চলিক ‘ভারসাম্য বদলে’ দিতে পারে

Home Page » বিশ্ব » আঙ্কারার সামরিক অভিযান আঞ্চলিক ‘ভারসাম্য বদলে’ দিতে পারে
মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০১৫



ttttttt.jpeg  বঙ্গনিউজ ডটকমঃ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি প্রোটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজি) কয়েকটি অবস্থানে গোলাবর্ষণ করেছে তুরস্ক। পাল্টা আক্রমণ হিসেবে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন তুর্কি কর্মকর্তারা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলু সতর্ক করে দিয়েছেন, আঙ্কারার সামরিক অভিযান আঞ্চলিক ‘ভারসাম্য বদলে’ দিতে পারে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলু চলমান সামরিক তৎপরতা নিয়ে গতকাল সোমবার দেশটির সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি বলেন, চলমান সংঘাতে তুরস্কের হস্তক্ষেপ এই অঞ্চলের ভারসাম্য বদলে দিতে পারে। তবে স্থলসেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
প্রতিবেশী সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান হলেও তুরস্ক এত দিন নীরব ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আইএসবিরোধী জোটের চলমান বিমান হামলায়ও দেশটি সম্পৃক্ত হয়নি। কিন্তু অনেকটা নাটকীয়ভাবে আঙ্কারা গত সপ্তাহে তার একটি বিমানঘাঁটিকে জোটের আইএসবিরোধী অভিযানে ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এরপর সিরিয়ার ভেতরে আইএসের বিরুদ্ধে তুরস্ক নিজেও হামলা শুরু করে। তারা এই অভিযান সম্প্রসারণ করে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে নিষিদ্ধঘোষিত কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বিরুদ্ধেও।
উত্তর সিরিয়াভিত্তিক কুর্দি গ্রুপ ওয়াইপিজির সঙ্গে পিকেকের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ওয়াইপিজির যোদ্ধারাই মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে সিরীয় সীমান্তবর্তী কুর্দি শহর কোবানি থেকে আইএসকে হটিয়ে দিয়েছিল। কুর্দি গ্রুপটি এক বিবৃতিতে জানায়, তুরস্কের বেশ কয়েকটি ট্যাংক থেকে রোববার রাতে তাদের অবস্থানগুলোতে গোলাবর্ষণ করা হয়।
তুরস্কের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গোলাবর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি জানান, তুর্কি সেনাবাহিনী আক্রান্ত হওয়ার পর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ওই হামলার পেছনে কোন গোষ্ঠী জড়িত, তা স্পষ্ট নয় এবং ওয়াইপিজি তুরস্কের লক্ষ্যবস্তু নয় বলেও জানান তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘চলমান সামরিক অভিযান কেবল তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আসন্ন হুমকিগুলো দমনের চেষ্টা করছে।’
ন্যাটোর সহায়তা চায়নি: মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সদস্য তুরস্ক। আঙ্কারার অনুরোধে তুরস্কের সঙ্গে আইএস ও কুর্দি বিদ্রোহীদের চলমান সহিংসতা নিয়ে আলোচনা করতে আজ মঙ্গলবার বৈঠকে বসছেন ন্যাটোর রাষ্ট্রদূতেরা। তার আগে গতকাল ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলেনবার্গ জানিয়েছেন, আইএস ও কুর্দিবিরোধী অভিযানের জন্য তুরস্ক ন্যাটোর সামরিক সহায়তা চায়নি।
আইএসমুক্ত জোন: বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে একটি আইএসমুক্ত জোন প্রতিষ্ঠা করবে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক। দেশ দুটি এখন এ-সংক্রান্ত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে কাজ করছে। বৃহত্তর নিরাপত্তা ও সীমান্তে স্থিতিশীলতার জন্যই এ পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন একজন মার্কিন কর্মকর্তা। অবশ্য তুরস্কে দাবি মোতাবেক একটি ‘নো ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠা করা হবে না বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৮:০১   ২৩০ বার পঠিত