সোমবার, ২৭ জুলাই ২০১৫
টুইট মুছে ক্ষমা চাইলেন সালমান
Home Page » বিনোদন » টুইট মুছে ক্ষমা চাইলেন সালমানবঙ্গনিউজ ডটকমঃ ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা ৩০ জুলাই। কিন্তু ইয়াকুবকে ফাঁসি না দেওয়ার পক্ষে টুইট করে হইচই ফেলে দিয়েছেন ‘দাবাং’ তারকা সালমান খান। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত টুইট মুছে ফেলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এজন্য ক্ষমাও চেয়েছেন খান সাহেব।
১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে এক ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় নিহত হন ২৫৭ জন মানুষ। বোমা হামলার পরিকল্পনার পাশাপাশি তা বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় ২০০৭ সালে ইয়াকুব মেমনকে মৃত্যুদণ্ড দেন মুম্বাইয়ের সন্ত্রাসবিরোধী একটি আদালত। ৩০ জুলাই ইয়াকুবের জন্মদিন। একই দিন তাঁর ফাঁসি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুম্বাই বোমা হামলার আরেক প্রধান আসামি ইয়াকুবের ভাই টাইগার মেমনকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ। ইয়াকুবের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার আগমুহূর্তে সালমান টুইট করেন, ইয়াকুব নয়, তাঁর ভাই টাইগারকে ধরে ফাঁসি দেওয়া উচিত। ইয়াকুবকে ফাঁসি দিলে মানবতার মৃত্যু হবে বলেও মন্তব্য করেন সালমান। ধারাবাহিকভাবে আরও বেশ কয়েকটি টুইট করেন সালমান।
ইয়াকুব নয়, টাইগারের ফাঁসির পক্ষে সালমান
সালমান এই কাণ্ড ঘটানোর পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিপক্ষে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাও সালমানের কঠোর সমালোচনা করেন। এমনকি সালমানের টুইটকে ‘অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেন তাঁর বাবা সেলিম খান। সালমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামির পক্ষ নিয়ে তিনি ভারতের বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে শেষপর্যন্ত টুইট মুছে ক্ষমা চান সালমান।
ইয়াকুবকে নিয়ে করা টুইট মুছে ফেলার পাশাপাশি এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য বেশ কয়েকটি টুইট করেন সালমান। তিনি লেখেন, ‘টাইগার মেমনকে তাঁর অপরাধের জন্য ফাঁসি দিতে বলেছি আমি। আমি আরও বলেছি, টাইগারের অপরাধের দায় যেন ইয়াকুবকে নিতে না হয়। টাইগারের অপরাধে যেন ইয়াকুবকে ফাঁসি দেওয়া না হয়। আমি কিন্তু একবারও বলিনি, ইয়াকুব নির্দোষ। দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’ এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সালমান আরও লেখেন, ‘মুম্বাই বোমা হামলায় অনেক প্রাণ ঝরেছে। আমি বারবার বলেছি, একজন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু মানে মানবতার মৃত্যু। বাবা আমাকে ডেকে আমার টুইটগুলো মুছে ফেলতে বলেছেন। কারণ সেগুলো ভুল বোঝা-বুঝি সৃষ্টি করতে পারে। এ জন্য আমি সেগুলো মুছে ফেলছি। অনিচ্ছায় কোনো ধরনের ভুল বোঝা-বুঝি সৃষ্টি করে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। যাঁরা আমার টুইটগুলো ধর্মবিরোধী বলে মন্তব্য করছেন তাঁদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি সব সময় বলেছি, সব ধর্ম ও বিশ্বাসকে আমি শ্রদ্ধা করি। চিরদিন করে যাব।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৬:৫৬ ২৭৮ বার পঠিত