রবিবার, ১২ জুলাই ২০১৫
লাভের জন্য রাজনীতি করিনা: সৈয়দ আশরাফ
Home Page » জাতীয় » লাভের জন্য রাজনীতি করিনা: সৈয়দ আশরাফবঙ্গনিউজ ডটকমঃস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, তিনি লাভের জন্য রাজনীতি করেন না। শনিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে ঢাকাস্থ হোসেনপুর সমিতি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে দফতরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি লাভের জন্য রাজনীতি করিনা। আমার বাবাও (সৈয়দ নজরুল ইসলাম) বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেঈমানি করেননি। বেঈমানি না করে তিনি মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন। আমার শরীরেও সেই রক্ত।’
অনুষ্ঠানে নিজের নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুরের জনগণের উদ্দেশে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমি মন্ত্রী থাকি বা না থাকি, রাজনীতি করি বা না করি- কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুরের জনগণের জন্য কাজ করে যাবো।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা রাখেন সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রহিম। তারা সৈয়দ আশরাফকে মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন, তারা সবসময় সৈয়দ আশরাফের পাশে থাকবেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে বৃহস্পতিবার সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দফতরবিহীন মন্ত্রী ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওইদিন সন্ধ্যায় রাজধানীতে যুবলীগের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আশরাফ। তবে দফতর থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়ে সেদিন কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি। এমনকি শুক্রবার তার বেইলী রোডের সরকারী বাসভবনে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী দেখা করতে আসেন। তবে কারো সঙ্গেই এসব বিষয়ে তিনি তেমন কথা বলেননি বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। পরে তিনি পর্যায়ক্রমে শিল্পমন্ত্রী, সংসদ উপনেতা ও উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। একাত্তরে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী সৈয়দ নজরুল নেতৃত্ব দেন মুক্তিযুদ্ধে। ময়মনসিংহের রাজনীতিতে তুমুল জনপ্রিয় এই মানুষটি বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন সামলেছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার পর সৈয়দ নজরুলকে গৃহবন্দি ও পরে কারাবন্দি করা হয়। ওই বছরের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার নেতা সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর ও আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ৫:৩৩:৩৪ ৩৩৭ বার পঠিত