বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০১৫

বন্ধুর পরামর্শে পররাষ্ট্রনীতি চালাত হিলারি

Home Page » বিশ্ব » বন্ধুর পরামর্শে পররাষ্ট্রনীতি চালাত হিলারি
বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০১৫



e0661bec0d6b645103ebcb1ab45d1a7f-6.jpgবঙ্গনিউজ ডটকমঃ  যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ব্রিটিশ রাজনীতি থেকে শুরু করে আফগানিস্তান ও ইরান প্রসঙ্গ-সবকিছুতেই একজনের পরামর্শ নিতেন। কিন্তু সেই ব্যক্তি মার্কিন সরকারের কেউ ছিলেন না। তাঁর পরিচয়, তিনি হিলারির দীর্ঘদিনের বন্ধু।

হিলারির ই-মেইল বার্তা থেকেই জানা গেছে এ তথ্য। আদালতের নির্দেশে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত মঙ্গলবার হিলারির প্রায় দুই হাজার ই-মেইল প্রকাশ করেছে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।

হিলারির ওই বন্ধুর নাম সিডনি ব্লুমেন্থাল। হিলারির স্বামী বিল ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় থেকেই ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে সখ্য ছিল সাবেক এই সাংবাদিকের। ২০০৯ সালের ওই ই-মেইল বার্তাগুলোতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে হিলারির প্রথম মাসগুলোতে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করেছেন ব্লুমেন্থাল।

২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন হিলারি। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন সময়ে ব্লুমেন্থালের সঙ্গে সখ্যের এই খবর তাঁকে ডোবাতে পারে। হিলারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ২০১১ সালে বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত হয় লিবিয়া। হিলারির লিবিয়ানীতিতে ব্লুমেন্থালের প্রভাবের বিষয়ে আগে থেকেই আলোকপাত করে আসছে মার্কিন কংগ্রেসের বিরোধী রিপাবলিকান শিবির। ব্লুমেন্থাল আফ্রিকার দেশটি সম্পর্কে হিলারিকে বেশ কিছু সুদীর্ঘ ই-মেইল বার্তা পাঠান, যার কয়েকটি ছিল মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর একজন সাবেক কর্মকর্তার গোয়েন্দা প্রতিবেদন।

পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত ই-মেইলগুলোতে দেখা যায়, ব্লুমেন্থাল ২০০৯ সালের শুরুর দিকে তিনি বিভিন্ন স্পর্শকাতর ইস্যুতে হিলারির কাছে তথ্য সরবরাহ করেছেন। ওই বছরের ১৪ জুন পাঠানো এক ই-মেইল মোতাবেক, ব্লুমেন্থালকে উত্তর আয়ারল্যান্ড শান্তি প্রক্রিয়ায় ক্লিনটন ও তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী বলে মনে হয়েছে।

২০০৯ সালের শেষের দিকে হিলারিকে ব্লুমেন্থাল লেখেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কৌশল ঘোষণা করতে দেরির বিষয়টি ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৩:৩৩   ৩৭১ বার পঠিত