মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০১৫

২২ লাখ বস্তিবাসীর, ১৮৫২ জন হিজড়া

Home Page » ফিচার » ২২ লাখ বস্তিবাসীর, ১৮৫২ জন হিজড়া
মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০১৫



mm_8905437901.jpgবঙ্গনিউজ ডটকম : সারাদেশে ১৩ হাজার ৯৪৩টি বস্তি রয়েছে। যার মধ্যে সিটি করপোরেশনগুলোর আওতায় প্রায় ৯ হাজার ১০৭টি বস্তি। আর কেবল ঢাকা সিটি করপোরেশনেই এর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৩৯৯টি।সবগুলো বস্তিতে প্রায় ২২ লাখ ৩২ হাজার ১১৪ জন মানুষ বাস করেন। যার ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৯২৫ জন পুরুষ, নারী ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৩৩৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের বা হিজড়াজনগোষ্ঠী ১ হাজার ৮৫২ জন।

তবে আশার কথা হলো দেশের মোট বস্তিবাসীর মধ্যে ৮৪ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী।

সোমবার (২৯ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোয় ‘বস্তি শুমারি ও ভাসমান লোকগণনা-২০১৪’র ফলাফল প্রকাশনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। ফলাফল উপস্থাপন করেন কর্মসূচির পরিচালক জাফর আহাম্মদ খান।

বস্তি শুমারি ও ভাসমান লোকগণনা-২০১৪’র ফলাফলে দেখা যায়, বস্তিগুলোতে কেবল মাত্র সাক্ষরতার হার ৩৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। ফলাফলে দেখা গেছে, বরিশাল বিভাগে এর হার ৪৯ দশমিক ০১ শতাংশ এবং ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে কম মাত্র ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ফলাফলে আরও দেখা যায়, সমগ্র দেশে মোট ১৬ হাজার ৬২১ জনের কোনো স্থায়ী বাসস্থান নেই। ঢাকা শহরে প্রায় ৭ হাজার ২৪৭ জন ভবঘুরে। বস্তিতে আসার কারণ হিসেবে ৫১ শতাংশ মানুষ খাদ্য ও কাজের খোঁজের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি দারিদ্র ২৯ শতাংশ, দুর্যোগ ১ শতাংশ, তালাক ১ শতাংশ এবং নিরাপত্তাহীনতা ২ শতাংশ। এ শুমারি ফলাফলে দেখা যায়, প্রায় ৮৪ শতাংশ বস্তিখানার কোনো কৃষি জমি নেই। ‍বাকি প্রায় ১৫ শতাংশের সামান্য কৃষি জমি আছে।

ফলাফলে আরও উঠে আসে, বস্তিতে প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষের মোবাইল ফোন রয়েছে। ৫ দশমিক ৬৮’র রিকশা, ৪৭ দশমিক ৬৭’র টেলিভিশন এবং ২ দশমিক ৫৮’র রেডিও আছে।

বস্তির ৮৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ মানুষ কোনো প্রকার সরকারি/বেসরকারি অনুদান বা সাহায্য পান না। বাকি ১৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে সাহায্য অথবা অনুদান পেয়ে থাকেন।

বস্তিতে বাস
কাঁচা/টিন প্রায় ৬৩ শতাংশ, আধাপাকা প্রায় ২৬ শতাংশ, ঝুঁপড়ি ৬ শতাংশ, পাকা ৪ শতাংশ এবং অন্যান্য ১ শতাংশ। এসব বাসস্থানে খাবার পানির উৎস নলকূপ ৫০ শতাংশ ও ট্যাপ ৪৫ শতাংশ। এসব বস্তিতে ওয়াটার সিলযুক্ত টয়লেট রয়েছে ২৬ শতাংশ, পিট টয়লেট রয়েছে ৪২ শতাংশ এবং টিনের টয়লেট রয়েছে ২১ শতাংশ বস্তিতে।

অন্যদিকে দেশের ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বস্তির রান্নার প্রধান জ্বালানিতে গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বস্তিতে কেরোসিন, ১ দশমিক ৩৪ শতাংশে বিদ্যুৎ, ৪৭ দশমিক ৮৭ শতাংশে কাঠ/বাঁশ, ১১ দশমিক ০৪ শতাংশে খড়-পাতা এবং ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ খানায় অন্যান্য জ্বালানি ব্যবহৃত হচ্ছে।

২০১৪’র ফলাফল প্রকাশনায় উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (বিবিএস) সচিব কানিজ ফাতেমা, বিবিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ, বিবিএস অতিরিক্ত সচিব বাইতুল আমীন ভুঁইয়া।

বাংলাদেশ সময়: ০:৩২:১২   ৩৮৬ বার পঠিত