সোমবার, ২৯ জুন ২০১৫

ছাত্রী অপহরণ : সাতজনের যাবজ্জীবন

Home Page » প্রথমপাতা » ছাত্রী অপহরণ : সাতজনের যাবজ্জীবন
সোমবার, ২৯ জুন ২০১৫



বঙ্গনিউজ ডটকমঃ ভোলার দৌলতখান উপজেলার এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত সাত ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলো-হাসনাইন, আবদুল মন্নান, আমজাদ হোসেন, মো. ইলিয়াস, রুবেল, সেলিম ও মমতাজ। তাদের মধ্যে রুবেল, সেলিম ও মমতাজ পলাতক। গতকাল রবিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আ ফ ম জহিরুল আলম এ রায় দেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি হাসনাইন দৌলতখান উপজেলার আবি আবদুল্লাহ কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্নভাবে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত ও বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিত। এমনকি হাসনাইন ওই ছাত্রীকে বিয়ের জন্য তার বাবার কাছে প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু ওই ছাত্রী ও তার বাবা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। এ কারণে ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই সকালে ওই ছাত্রী কলেজ থেকে নম্বরপত্র আনতে গেলে হাসনাইনসহ আসামিরা একটি মাইক্রোবাসে করে ছাত্রীটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ভোলা শহরের একটি বাসায় নিয়ে আটকে রাখে এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে ২৫০ টাকার স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নির্যাতন চালায়। পরবর্তী সময়ে ওই ছাত্রীকে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আসামিরা ওই ছাত্রীর চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে একই বছরের ২৭ জুলাই ফের অপহরণ করে নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় শারমিন আক্তারের বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গতকাল আদালতের বিচারক আ ফ ম জহিরুল আলম প্রধান আসামি হাসনাইনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। অন্য ছয় আসামি আবদুল মন্নান, আমজাদ হোসেন, মো. ইলিয়াস, রুবেল, সেলিম ও মমতাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো সাত মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৮:৫৩   ৪২০ বার পঠিত